হ্যালো বন্ধুরা তোমরা সবাই কেমন আছো আশা করি ভালো আছো। আমিও ভালো আছি। হতভাগা ডটকমে তোমাদের জানাচ্ছি স্বাগতম।আজকে আমি তোমাদেরকে বলবো প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া কিছু টিপস। তো চলো বন্ধুরা টিপসগুলো জেনে নেই। আশা করি তোমাদের ভালো লাগবে।
বন্ধুরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত সামগ্রী দিয়ে খুব সহজে নিজেকে অপরূপ সৌন্দর্য করে তুলতে পারা যায়।এতে করে সময়ও কম ব্যয় হয়,আর পার্শপ্রতিক্রিয়া একদম নেই বললেই চলে।
ত্বকের যত্নে হলুদের ব্যবহার:
প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহৃত হলুদের গুনাগুন কথা বলে শেষ করা যাবে না।রূপচর্চা ব্যবহৃত হলুদের অনেক ভূমিকা রয়েছে। অতীতে আমাদের নানী-দাদীরাও নানানরোগের জন্য কাঁচা হলুদ ব্যবহার করতেন। বিশেষ করে সকালে খালি পেটে কাঁচা হলুদের রসআমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকার।
আমাদের অনেকের গায়ের রং একটু ফ্যাকাসে সাদা তারা যদি একটু কাঁচা হলুদ বেটে তার সাথে অলিভ অয়েল মিশিয়েহাতে এবং পায়ে মিশিয়ে প্রতিদিন গোসল করেন,তাহলে দেখবেন ফ্যাকাশে ভাব দূর হয়ে গেছে। তাছাড়া গরুর কাঁচা দুধের সাথে একটু হলুদ বাটা মিশিয়ে ১০/১৫ মিনিট রেখে তারপর মুখ ধুয়ে ফেলবেন।
গোলাপ জলের ব্যবহার ঃ
গোলাপ জল চেনে না এমন লোক হয়তো বা খুঁজে পাওয়া যাবে না,বিয়ে বাড়ি থেকে শুরু করে মিলাদ মাহফিল পর্যন্ত ব্যবহৃত হয়ে আসছে এই গোলাপ জলগোলাপ ফুলের নির্যাস থেকে এই পানি বানানো হয়। রূপচর্চায় এর ভূমিকা রয়েছে অনেক।গ্লিসারিনের সাথে সমপরিমাণ গোলাপজল মিশিয়ে ঠোঁটে লাগালে,ঠোঁট ফাটে না এবং ঠোঁটের রঙ ও সুন্দর হয়।
তাছাড়া গোলাপ জলের সাথে লেবুর রস এবং মধু একত্রে মিশিয়ে একটি স্ক্রীনফ্রেশনার টনিক আপনি নিজেই বানাতে পারেন আর এই টনিক দিনে দুইবার তুলোর সাহায্যে আপনার মুখে লাগাতে পারেন। এতে করে মুখের চামড়ার খসখসে ভাব দূর হয়ে যাবে।এবং ত্বক হবে কোমল ও উজ্জ্বল।
ত্বকের যত্নে মধুঃ
মধুর গুণের কথা বলে শেষ করা যাবে না।মধু ত্বকের জন্য খুবই উপকারী অনেক ফেসপ্যাক মধু দিয়ে তৈরি করা হয় কয়েক ফোঁটা মধু ও কাঁচা দুধ একসঙ্গে মুখে লাগালে , মুখের রং উজ্জ্বল কোমল ও মসৃণ হয়।মধুর সাথে বেসন একত্রে মিশিয়ে একটিফেস প্যাক তৈরি করে মুখে লাগিয়ে ১০/১৫ মিনিট রেখে তারপর হালকা গরম জল দিয়ে মুখ ধুলে মুখের ত্বক সুন্দর ও মসৃণ হয়।
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্ত শেষ করলাম, আগামীতে আরো নতুন কিছু টিপস নিয়ে হাজির হব তোমাদের মাঝে। আশা করি তোমাদের ভালো লাগবে। তোমরা সবাই ভালো থেকো সুস্থ থেকো।
0 comments