টাকা আয় করার বিদেশি ইনকাম ওয়েবসাইট | প্রতিদিন 1500 টাকা আয় করুন।

কোন ধরনের টাকা ইনভেস্ট করা ছাড়াই ইনকাম করার সুযোগ পেয়ে যাবেন বিদেশী ইনকাম সাইটগুলো থেকে। কোন প্রকার ইনভেস্ট না করে, ইনকাম করার ওয়েবসাইট গুলোর বেশিরভাগ সময় তেমন বেশি পরিমাণে ইনকাম করা যায় না। তবে আপনি নিম্নে দেওয়া ওয়েবসাইট গুলো ব্যবহার করে, দক্ষতার সাথে কাজ করতে পারলে প্রতিদিন 1000-1500 টাকা বা তার বেশি পরিমানের টাকা ইনকাম করতে পারবেন আশা করা যায়। 

আজকের এই আর্টিকেলে মূলত এমন কিছু টাকা আয় করার রিয়েল বিদেশি ইনকাম ওয়েবসাইট সম্পর্কে আলোচনা করবো। সে ওয়েবসাইট গুলোতে কাজ করার আপনার যদি তেমন কোন দক্ষতা নাও থাকেব থাকে তবুও, ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করা সম্ভব হবে।

কোনো ইনভেস্ট ছাড়া ইনকাম করাটা কি সম্ভব ?

আপনার যদি প্রশ্ন এমন হয় যে, কোন ইনভেস্ট ছাড়া ইনকাম করাটা কি সম্ভব? সহজ উত্তর- হ্যাঁ অবশ্যই সম্ভব। 

কারণ বর্তমানে অনলাইনে এমন অসংখ্য টাকা আয় করার রিয়েল ইনকাম সাইট রয়েছে। যেগুলোতে নিজের নামে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে, ছোট ছোট কাজ করার বিনিময়ে ডলার ইনকাম করতে পারবেন। 

তাই বলা যেতে পারে টাকা আয় করার বিদেশি ইনকাম সাইটগুলোতে কাজ করার জন্য লাগে না। 

কিন্তু আপনি কোন ওয়েবসাইট গুলোতে কাজ করছেন। কি পরিমানের সময় দিয়ে কাজ করছেন। কতটুকু দক্ষতা আছে আপনার সেটির উপর নির্ভর করবে আপনার ইনকামের পরিমাণ। 

Article লিখে অনলাইনে ইনকাম বাংলাদেশি সাইট । হতভাগা ডট কম

বর্তমানে অসংখ্য পরিমাণের বিদেশি ইনকাম সাইট রয়েছে যেখানে কাজ করতে পারেন। যেগুলোতে নিয়মিত ছোট ছোট কিছু কাজ করে, টাকা ইনকাম করতে পারলেও সেই ইনকাম অনেক সামান্য পরিমাণের হয়ে থাকে। 

আপনি কি অনলাইন সেক্টরে কাজ করতে চান? এবং টাকা আয় করার রিয়েল বিদেশি ইনকাম সাইট খোঁজছেন? তাহলে, আপনাদের এমন কিছু সাইট খুজে বের করতে হবে যেগুলোতে অল্প কাজ করে বেশি টাকা আয় করা যায়। 

চিন্তার কোন কারণ নেই আমি আপনাদের এমন কিছু বিদেশি ইনকাম সাইট, রিয়েল ইনকাম সাইট সম্পর্কে বলে বলছি। যেগুলোতে কাজ করে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

টাকা আয় করার রিয়েল বিদেশি ইনকাম ওয়েবসাইট

তো আসন আর সময় নষ্ট না করে, রিয়েল বিদেশি ইনকাম ওয়েবসাইট সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। 

১. বিদেশি ইনকাম ওয়েবসাইট কী এবং কেন ব্যবহার করবেন?

বিদেশি ইনকাম ওয়েবসাইট হল এমন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের কাজ করে ইনকাম করতে পারেন। এগুলো ব্যবহারের প্রধান কারণ হলো এদের মাধ্যমে ডলার  করা এআয়বং অধিক আয়ের সুযোগ।

বিদেশি ইনকাম ওয়েবসাইট ব্যবহারের সুবিধা:

• High Salary: ডলার আয়ের কারণে বাংলাদেশি টাকার তুলনায় অধিক আয় পাওয়া সম্ভব।
• ইচ্ছা মতো কাজের ধরন নির্বাচন করা: লেখালেখি, গ্রাফিক ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, এবং আরও অনেক কাজে ইনকাম সম্ভব।
• ইচ্ছামতো কাজ করার সুবিধা: নিজের সময় ও লক্ষ্য অনুযায়ী কাজ করার সুযোগ।

২. জনপ্রিয় বিদেশি ইনকাম ওয়েবসাইটের তালিকা

এখানে কিছু বিশ্বস্ত এবং জনপ্রিয় বিদেশি ইনকাম ওয়েবসাইটের তালিকা দেয়া হলো যেখানে আপনি কাজ করে টাকা আয় করতে পারেন:

• Upwork: ফ্রিল্যান্সারদের জন্য অন্যতম সেরা প্ল্যাটফর্ম। এখানে বিভিন্ন ধরনের কাজ পাওয়া যায়, যেমন কন্টেন্ট রাইটিং, ডিজাইনিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, এবং মার্কেটিং।

• Fiverr: ছোট কাজের জন্য বিখ্যাত। আপনি Fiverr এ গিগ তৈরি করে আপনার সেবা বিক্রি করতে পারেন। এটি বিশেষ করে নতুনদের জন্য সহজে আয় করার একটি মাধ্যম।

• Freelancer.com: এই প্ল্যাটফর্মে প্রচুর কাজের সুযোগ রয়েছে। এখানে বায়াররা তাদের কাজ পোস্ট করেন এবং ফ্রিল্যান্সাররা বিড করেন।

• PeoplePerHour: এটি ফ্রিল্যান্সারদের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম, যেখানে প্রতি ঘণ্টার ভিত্তিতে কাজের অফার দেওয়া হয়।

• Toptal: এখানে কেবলমাত্র অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সারদের জন্য কাজের সুযোগ আছে। এটি প্রফেশনাল এবং অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সারদের জন্য অসাধারন প্ল্যাটফর্ম।

• Remote OK: বিশেষত রিমোট কাজের জন্য একটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম, যেখানে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের প্রোজেক্টে কাজের জন্য ফ্রিল্যান্সার খোঁজে থাকে।

৩. কিভাবে বিদেশি ইনকাম ওয়েবসাইটে একাউন্ট তৈরি করবেন?

বিদেশি ইনকাম ওয়েবসাইটে একাউন্ট তৈরি করা খুবই সহজ এবং সাধারণত ফ্রিতে করা যায়। নিচে সাধারণ পদ্ধতি দেয়া হলো:

• সাইন আপ করুন: প্রথমে আপনার ইমেইল অ্যাড্রেস বা গুগল একাউন্ট ব্যবহার করে সাইন আপ করুন।
• প্রোফাইল সম্পূর্ণ করুন: একটি আকর্ষণীয় প্রোফাইল ছবি, সংক্ষিপ্ত পরিচয় এবং আপনার দক্ষতা সম্পর্কিত তথ্য প্রদান করুন।
• পোর্টফোলিও তৈরি করুন: আপনার পূর্ববর্তী কাজের নমুনা বা ডেমো প্রজেক্ট সংযুক্ত করুন। এটি আপনার প্রোফাইলকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে।
• ব্যাংক/পেমেন্ট সেটআপ করুন: কাজের পারিশ্রমিক পেতে আপনার পছন্দমত পেমেন্ট পদ্ধতি, যেমন PayPal, Payoneer, বা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সংযুক্ত করুন।

৪. সহজে আয় করার ৫টি কার্যকরী বিদেশি ইনকাম সাইট

১. Amazon Mechanical Turk (MTurk): এটি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে ছোট ছোট কাজের সুযোগ থাকে। প্রশ্নাবলী পূরণ, ডাটা এন্ট্রি, ট্রান্সক্রিপশন ইত্যাদি ছোট কাজ এখানে করা যায়।

২. Clickworker: এখানে বিভিন্ন মাইক্রো-টাস্ক যেমন ডাটা কালেকশন, সার্ভে এবং ট্রান্সক্রিপশন ইত্যাদি কাজের সুযোগ আছে।

৩. Rev: এখানে ট্রান্সক্রিপশন এবং সাবটাইটেলিং কাজ করে আয় করা যায়। এটি ভিডিও এবং অডিও ফাইল ট্রান্সক্রাইব করার জন্য নির্ভরযোগ্য।

৪. Appen: এটি মাইক্রো-টাস্ক, ডাটা অ্যানালাইসিস, এবং সোশ্যাল মিডিয়া ইভাল্যুয়েশনের জন্য জনপ্রিয়।

৫. Lionbridge: বিভিন্ন প্রকারের ছোট ছোট কাজের জন্য পরিচিত একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে আপনি টেকনিক্যাল এবং ভাষা সম্পর্কিত কাজের জন্য আবেদন করতে পারেন।

আরও পড়ুন: Captcha Entry করে আয় করার উপায়

৫. বিদেশি ইনকাম ওয়েবসাইটে সফল হওয়ার কৌশল

বিদেশি ইনকাম ওয়েবসাইটে সফল হতে গেলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন। নিচে উল্লেখ করা হলো কিছু কার্যকরী টিপস:

• প্রফেশনাল প্রোফাইল তৈরি করুন: একটি স্বচ্ছ এবং প্রফেশনাল প্রোফাইল, আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং সেবার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে তৈরি করে নিতে হবে।

• নিয়মিত গিগ/জব সাবমিট করুন: কাজের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য নিয়মিত কাজের জন্য আবেদন বা গিগ আপডেট করা গুরুত্বপূর্ণ।

• ডেডলাইন মানুন: প্রতিটি প্রোজেক্ট সময় মতো সম্পন্ন করুন। এটি আপনার প্রফাইল রেটিং হাই করে এবং ভবিষ্যতে আরও কাজ পেতে সহায়তা করে।

• কোয়ালিটি বজায় রাখুন: যেকোনো কাজেই মানসম্পন্ন কাজ প্রদান করুন, কারণ ভালো রেটিং পাওয়ার মাধ্যমে আপনি সহজে নতুন কাজ পেতে পারেন।

৬. বিদেশি ইনকাম ওয়েবসাইট থেকে ইনকামের জন্য কী কী প্রয়োজনীয়তা রয়েছে?

বিদেশি ইনকাম ওয়েবসাইট থেকে আয় শুরু করতে কিছু মূল প্রয়োজনীয়তা রয়েছে:

• ইন্টারনেট সংযোগ ও কম্পিউটার/স্মার্টফোন: অনলাইন কাজের জন্য ভালো মানের ইন্টারনেট সংযোগ এবং একটি কম্পিউটার বা স্মার্টফোন অবশ্যই লাগবে।

• ভাষাগত দক্ষতা: ইংরেজি ভাষার উপর ভালো দখল থাকলে বিদেশি ক্লায়েন্টদের সাথে যোগাযোগ সহজ হবে। এতে আপনি বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

• দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা: লেখালেখি, ডিজাইনিং, ডাটা এন্ট্রি, প্রোগ্রামিং ইত্যাদির উপর দক্ষতা থাকলে আপনি দ্রুত ইনকাম করতে পারেন।

৭. পেমেন্ট গ্রহণ করার সহজ পদ্ধতি

বিদেশি ইনকাম ওয়েবসাইটগুলোতে কাজ করার পর পেমেন্ট পাওয়া যায়। বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে প্রচলিত পেমেন্ট পদ্ধতিগুলো হলো:

• PayPal: এটি অধিকাংশ ওয়েবসাইটে সহজেই পেমেন্ট প্রক্রিয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশে সরাসরি পাওয়া না গেলেও, তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে গ্রহণ সম্ভব। অথবা অন্য একটি মেথড বেছে নিন।

• Payoneer: এটি বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয়, এবং এটি অনেক ওয়েবসাইট সাপোর্ট করে।

• Direct Bank Transfer: বর্তমানে বেশিরভাগ ওয়েবসাইট সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পেমেন্ট করে থাকে।

৮. সতর্কতা: বিদেশি ইনকাম ওয়েবসাইটে জালিয়াতির ব্যাপারে সচেতন থাকুন

অনলাইনে অনেক বিশ্বস্ত প্ল্যাটফর্ম থাকলেও কিছু প্রতারণামূলক সাইটও আছে। তাই যেকোনো কাজের আগে যাচাই করুন এবং বিশ্বস্ত ওয়েবসাইটে কাজ করুন।

সর্বপরি আমাদের পরামর্শ

বিদেশি ইনকাম ওয়েবসাইটে কাজ শুরু করলে ঘরে বসে ডলার আয়ের দারুণ সুযোগ পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে কঠিন মনে হলেও ধৈর্য এবং নিয়মিত চেষ্টার মাধ্যমে আপনি সফল হতে পারেন। আশা করছি এই আর্টিকেলটি আপনাকে বিদেশি ইনকাম ওয়েবসাইট থেকে আয় শুরু করতে সহায়ক হবে।

এছাড়া টাকা আয় করার রিয়েল বিদেশি ইনকাম ওয়েবসাইট আরও অসংখ্য পরিমাণে রয়েছে। যেগুলোতে আপনারা কোন প্রকার ইনভেস্ট ছাড়াই ইনকাম করা শুরু করতে পারবেন। 

আপনারা বিদেশি ইনকাম সাইট গুলোর পাশাপাশি। বাংলাদেশ ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম করতে চাইলে, অর্থাৎ আপনি যদি আর্টিকেল লিখে ইনকাম করতে চান?

তাহলে আমাদের এই https://hotovaga.com ওয়েবসাইটে, ওয়েবসাইট ক্যাটাগরি অনুযায়ী আর্টিকেল লিখে প্রতিদিন টাকা ইনকাম করার সুযোগ নিতে পারেন।