icon
Article Details

হতভাগা ডট কম একটি একটি অনলাইন ইনকাম সাইট। এখানে রেজিস্টার করে প্রতিদিন ইনকাম করার পাশাপাশি ফ্রিতে ব্লগিং কোর্স করতে পারবেন। বিস্তারিত এখানে

ওয়েব হোস্টিং কেনার আগে যে ৩০ টি বিষয় আপনাকে জানতেই হবে- নতুবা নিশ্চিত ঠকবেন

img by Mariam
06 Jul, 2024

ওয়েবসাইট চালানোর জন্য ওয়েব হোস্টিং জরুরী। এটা হতে পারে ফ্রি অথবা পেইড।  ওয়েব হোস্টিং কেনার আগে কিছু বিষয় সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। এখানে আমরা আলোচনা করব সেই বিষয়গুলি সম্পর্কে যা আপনাকে সাহায্য করবে সঠিক ওয়েব হোস্টিং নির্বাচন করতে।

ওয়েব হোস্টিং কেনার আগে যে বিষয়গুলি না জানলে আপনি নিশ্চিত ঠকবেন। বিস্তারিত নিচে দেখুন।

আমাদের প্রথমেই জানতে হবে

১. হোস্টিং এর ধরন- Difination of web hosting

ওয়েব হোস্টিং বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। প্রধানতঃ শেয়ার্ড হোস্টিং, ভিপিএস হোস্টিং, ডেডিকেটেড হোস্টিং এবং ক্লাউড হোস্টিং

শেয়ার্ড হোস্টিং: একাধিক ওয়েবসাইট একটি সার্ভারে থাকে এবং একই রিসোর্স শেয়ার করে। এটি সস্তা এবং ছোট ব্যবসা বা ব্যক্তিগত ব্লগের জন্য উপযুক্ত।

আরও পড়ুন: শেয়ার্ড হোস্টিং কি? শেয়ার্ড হোস্টিং এর সুবিধা ও অসুবিধা

ভিপিএস হোস্টিং: ভার্চুয়াল প্রাইভেট সার্ভার (Vertual Private Server), যেখানে একটি ফিজিকাল সার্ভারকে ভার্চুয়ালি বিভক্ত করা হয়। এটি বেশি রিসোর্স এবং নিয়ন্ত্রণ প্রদান করে।

আরও পড়ুন: VPS Hosting কি? VPS Hosting এর সুবিধা ও অসুবিধা

ডেডিকেটেড হোস্টিং: পুরো একটি ফিজিকাল সার্ভার আপনার ওয়েবসাইটের জন্য বরাদ্দ করা হয়। এটি বৃহত্তর ব্যবসা বা ওয়েবসাইটের জন্য উপযুক্ত।

আরও পড়ুন: Dedicated hosting কি? Dedicated hosting এর সুবিধা ও অসুবিধা

ক্লাউড হোস্টিং: একাধিক সার্ভার একত্রে কাজ করে। এটি স্কেলেবিলিটি এবং নির্ভরযোগ্যতা প্রদান করে।

আরও পড়ুন: Cloud Hosting কি? Cloud Hosting এর সুবিধা ও অসুবিধা

২. ব্যান্ডউইথ এবং স্টোরেজ

ব্যান্ডউইথ এবং স্টোরেজ আপনার ওয়েবসাইটের সাইজ এবং ট্রাফিকের উপর নির্ভর করে নির্বাচন করতে হবে।

ব্যান্ডউইথ: আপনার ওয়েবসাইট কত ডেটা আদান-প্রদান করবে তা নির্ধারণ করে। হাই ট্রাফিক ওয়েবসাইটের জন্য বেশি ব্যান্ডউইথ প্রয়োজন।

স্টোরেজ: আপনার ওয়েবসাইটের ফাইল, ডেটাবেস ইত্যাদির জন্য পর্যাপ্ত জায়গা/ স্টোরেজ প্রয়োজন।

৩. আপটাইম এবং নির্ভরযোগ্যতা- Uptime and Trust

আপনার হোস্টিং সার্ভিস প্রোভাইডারের আপটাইম কত, তা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত ৯৯.৯% আপটাইম ভালো মানের হিসেবে গণ্য হয়। আপটাইম কম হলে আপনার ওয়েবসাইট ডাউন থাকতে পারে, যা ব্যবসায় ক্ষতি করতে পারে।

৪. সাপোর্ট সার্ভিস সিস্টেম- Good Support System

২৪/৭ কাস্টমার সাপোর্ট থাকা গুরুত্বপূর্ণ। যখন আপনার ওয়েবসাইটে কোন সমস্যা দেখা দেয়, তখন তা দ্রুত সমাধান করা প্রয়োজন। ইমেইল, লাইভ চ্যাট, ফোন সাপোর্ট ইত্যাদি সুবিধা থাকা উচিৎ।

৫. সিকিউরিটি ফিচার- Security Feature

ওয়েব হোস্টিং প্রোভাইডার কি ধরনের সিকিউরিটি ফিচার অফার করে তা জানা প্রয়োজন। SSL সার্টিফিকেট, ডিডোস প্রোটেকশন, মালওয়্যার স্ক্যানিং ইত্যাদি সিকিউরিটি ফিচার থাকা প্রয়োজন।

আরও পড়ুন: আর্টিকেল লিখে ইনকাম করার ওয়েবসাইট

৬. কন্ট্রোল প্যানেল- Control Panel Access

একটি ইউজার-ফ্রেন্ডলি কন্ট্রোল প্যানেল খুবই প্রয়োজনীয়। সিপ্যানেল বা প্লেস্ক কন্ট্রোল প্যানেল ব্যবহার করে সহজেই আপনার ওয়েবসাইট ম্যানেজ করা যায়।

৭. ব্যাকআপ পলিসি- Auto Backup Policy

অপ্রত্যাশিত ঘটনায় ওয়েবসাইট ডেটা লস হতে পারে। তাই হোস্টিং প্রোভাইডার কি ধরনের ব্যাকআপ পলিসি অফার করে তা জানা প্রয়োজন। নিয়মিত ব্যাকআপ সুবিধা থাকা জরুরি।

৮. মূল্য এবং রিনিউয়াল ফি- Price and renewal fee

হোস্টিং প্রোভাইডারের মূল্য এবং রিনিউয়াল ফি সম্পর্কে সচেতন থাকা প্রয়োজন। অনেক সময় প্রথমবার কম মূল্যে হোস্টিং পাওয়া যায়, কিন্তু রিনিউয়াল ফি বেশি হতে পারে।

৯. রিভিউ এবং রেপুটেশন- Review

হোস্টিং প্রোভাইডারের রিভিউ এবং রেপুটেশন পরীক্ষা করে দেখতে হবে। ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা জানতে পারলে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে।

১০. এডিশনাল ফিচার

কিছু হোস্টিং প্রোভাইডার এডিশনাল ফিচার অফার করে, যেমন ফ্রি ডোমেইন, ইমেইল হোস্টিং, ওয়েবসাইট বিল্ডার ইত্যাদি। এডিশনাল ফিচারগুলি আপনার ওয়েবসাইট পরিচালনা সহজ করতে পারে।

১১. স্কেলেবিলিটি- Hosting Scalability

আপনার ওয়েবসাইট বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে হোস্টিং প্ল্যান আপগ্রেড করার প্রয়োজন হতে পারে। তাই, হোস্টিং প্রোভাইডার স্কেলেবিলিটি সুবিধা প্রদান করে কিনা তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যতে যদি আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বেড়ে যায়, তাহলে সহজেই আপগ্রেড করতে পারবেন।

১২. লোকেশন- Server Location

হোস্টিং সার্ভারের অবস্থানও গুরুত্বপূর্ণ। আপনার টার্গেট অডিয়েন্স যেখানে অবস্থান করে, সেখানে সার্ভার থাকলে ওয়েবসাইটের লোডিং টাইম কম হয়। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার টার্গেট অডিয়েন্স বাংলাদেশে হয়, তাহলে এশিয়া অঞ্চলের সার্ভার নির্বাচন করা উচিত।

১৩. কনটেন্ট ডেলিভারি নেটওয়ার্ক (CDN)

CDN ব্যবহার করে আপনার ওয়েবসাইটের কনটেন্ট দ্রুত এবং নিরাপদে ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছানো যায়। অনেক হোস্টিং প্রোভাইডার ফ্রি CDN সেবা প্রদান করে। এটি আপনার ওয়েবসাইটের পারফরম্যান্স এবং সিকিউরিটি উন্নত করতে সাহায্য করে।

১৪. ই-মেইল হোস্টিং

কিছু হোস্টিং প্রোভাইডার ই-মেইল হোস্টিং সেবা অফার করে। এটি আপনার ব্যবসার জন্য প্রফেশনাল ই-মেইল এড্রেস ব্যবহার করতে সাহায্য করে। ই-মেইল হোস্টিং এর স্পেস, স্প্যাম প্রোটেকশন ইত্যাদি বিষয়গুলিও বিবেচনা করা প্রয়োজন।

১৫. ডাটাবেস সাপোর্ট

আপনার ওয়েবসাইট যদি ডাটাবেস ব্যবহার করে, তাহলে হোস্টিং প্রোভাইডার কি ধরনের ডাটাবেস সাপোর্ট প্রদান করে তা জানা জরুরি। মাইএসকিউএল, পোস্টগ্রেসকিউএল ইত্যাদি ডাটাবেস সাপোর্ট থাকা উচিত।

১৬. ফ্রেমওয়ার্ক এবং ল্যাঙ্গুয়েজ সাপোর্ট

ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্টের জন্য বিভিন্ন ফ্রেমওয়ার্ক এবং প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করা হয়। তাই আপনার হোস্টিং প্রোভাইডার কি ধরনের ফ্রেমওয়ার্ক এবং ল্যাঙ্গুয়েজ সাপোর্ট করে তা জানা প্রয়োজন। পিএইচপি, পাইথন, রুবি, জাভা ইত্যাদি ল্যাঙ্গুয়েজ সাপোর্ট থাকা গুরুত্বপূর্ণ।

১৭. ই-কর্মাস সাপোর্ট

যদি আপনার ওয়েবসাইটে ই-কর্মাস সেবা থাকে, তাহলে ই-কর্মাস সাপোর্ট এবং সিকিউরিটি ফিচার থাকা জরুরি। এসএসএল সার্টিফিকেট, পেমেন্ট গেটওয়ে ইন্টিগ্রেশন ইত্যাদি বিষয়গুলি দেখতে হবে।

১৮. ট্র্যাফিক ম্যানেজমেন্ট টুল

কিছু হোস্টিং প্রোভাইডার ট্র্যাফিক ম্যানেজমেন্ট টুল অফার করে, যা আপনার ওয়েবসাইটের ট্র্যাফিক ম্যানেজ করতে সাহায্য করে। গুগল অ্যানালিটিক্স ইন্টিগ্রেশন, ডেটা মনিটরিং ইত্যাদি ফিচার থাকলে ওয়েবসাইটের পারফরম্যান্স ট্র্যাক করা সহজ হয়।

১৯. আপগ্রেড এবং ডাউনগ্রেড অপশন

আপনার হোস্টিং প্রোভাইডার কি ধরনের আপগ্রেড এবং ডাউনগ্রেড অপশন প্রদান করে তা জানা প্রয়োজন। আপনি যদি কোন সময় হোস্টিং প্ল্যান পরিবর্তন করতে চান, তাহলে সহজেই তা করতে পারবেন কিনা তা নিশ্চিত করা উচিত।

২০. রিফান্ড পলিসি- Refund Policy

অনেক হোস্টিং প্রোভাইডার মানি-ব্যাক গ্যারান্টি অফার করে। হোস্টিং সেবা নিয়ে যদি আপনি সন্তুষ্ট না হন, তাহলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রিফান্ড নিতে পারবেন কিনা তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। tracking code: 424347

২১. সার্ভার টেকনোলজি

আপনার হোস্টিং প্রোভাইডার কোন ধরনের সার্ভার টেকনোলজি ব্যবহার করে তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। লেটেস্ট সার্ভার টেকনোলজি যেমন এসএসডি স্টোরেজ, লাইটস্পিড সার্ভার, ইত্যাদি ব্যবহার করলে আপনার ওয়েবসাইটের পারফরম্যান্স উন্নত হয়। এসএসডি স্টোরেজ দ্রুত ডেটা অ্যাক্সেস করতে সাহায্য করে, যা ওয়েবসাইটের লোডিং টাইম কমায়।

২২. ডোমেইন ম্যানেজমেন্ট

অনেক হোস্টিং প্রোভাইডার ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন সেবা অফার করে। ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন, রিনিউয়াল এবং ট্রান্সফার পদ্ধতি সহজ এবং নির্ভরযোগ্য হওয়া উচিত। এছাড়া, কিছু প্রোভাইডার ফ্রি ডোমেইন অফার করে, যা আপনার খরচ কমাতে সাহায্য করতে পারে।

২৩. ওয়েবসাইট বিল্ডার টুল

কিছু হোস্টিং প্রোভাইডার ওয়েবসাইট বিল্ডার টুল অফার করে, যা নতুন ওয়েবসাইট তৈরি করতে সহজ করে তোলে। ড্র্যাগ-এন্ড-ড্রপ ফিচার সহ ওয়েবসাইট বিল্ডার টুল থাকলে, আপনি কোডিং না জেনেও সহজেই ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।

২৪. ইকো-ফ্রেন্ডলি হোস্টিং

যদি আপনি পরিবেশ সচেতন হন, তাহলে ইকো-ফ্রেন্ডলি হোস্টিং প্রোভাইডার খুঁজে নিতে পারেন। অনেক হোস্টিং প্রোভাইডার গ্রিন হোস্টিং অফার করে, যেখানে তারা পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তি ব্যবহার করে সার্ভার পরিচালনা করে।

২৫. মাইগ্রেশন সাপোর্ট

যদি আপনি আগে থেকে অন্য কোন হোস্টিং ব্যবহার করে থাকেন এবং নতুন হোস্টিং প্রোভাইডারে মাইগ্রেট করতে চান, তাহলে মাইগ্রেশন সাপোর্ট থাকা জরুরি। অনেক হোস্টিং প্রোভাইডার ফ্রি মাইগ্রেশন সেবা প্রদান করে, যা আপনার বর্তমান ওয়েবসাইট নতুন হোস্টিং প্রোভাইডারে সরানো সহজ করে।

২৬. ডেটা সেন্টার সার্টিফিকেশন

আপনার হোস্টিং প্রোভাইডারের ডেটা সেন্টার সার্টিফিকেশন কি কি তা জানা জরুরি। সার্টিফাইড ডেটা সেন্টার আপনার ডেটা সুরক্ষিত রাখার জন্য উন্নত মানের সিকিউরিটি এবং রিলায়েবিলিটি প্রদান করে।

২৭. লোড ব্যালান্সিং- load balancing

লোড ব্যালান্সিং সার্ভিস আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বিভিন্ন সার্ভারে বিভক্ত করে এবং সার্ভার লোড সমানভাবে বিতরণ করে। এটি ওয়েবসাইট ডাউনটাইম এবং লোডিং টাইম কমাতে সাহায্য করে।

২৮. ডেটা প্রাইভেসি

আপনার হোস্টিং প্রোভাইডার ডেটা প্রাইভেসি নীতিমালা কি তা জানা জরুরি। ব্যক্তিগত তথ্য এবং সংবেদনশীল ডেটা সুরক্ষিত রাখতে উন্নত মানের ডেটা প্রাইভেসি ব্যবস্থা থাকা উচিত।

২৯. আইপি ব্লকিং এবং জিও-ব্লকিং সিস্টেম

কিছু হোস্টিং প্রোভাইডার আইপি ব্লকিং এবং জিও-ব্লকিং সুবিধা প্রদান করে। এটি আপনার ওয়েবসাইটকে নির্দিষ্ট আইপি এড্রেস বা অঞ্চল থেকে অ্যাক্সেস করতে বাধা দিতে সাহায্য করে, যা আপনার সিকিউরিটি উন্নত করতে পারে।

৩০. সাইট ট্রাফিক মনিটরিং সিস্টেম

সাইট ট্রাফিক মনিটরিং টুল আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর এবং তাদের আচরণ ট্র্যাক করতে সাহায্য করে। এই তথ্যের মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের পারফরম্যান্স এবং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করতে পারবেন।

ওয়েব হোস্টিং কেনার আগে উপরের বিষয়গুলি যাচাই করলে আপনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন এবং আপনার ওয়েবসাইটের জন্য উপযুক্ত হোস্টিং সেবা নির্বাচন করতে সক্ষম হবেন। একটি ভাল মানের ওয়েব হোস্টিং আপনার ব্যবসার বৃদ্ধি এবং সফলতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই, সময় নিয়ে রিসার্চ করুন এবং আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক ওয়েব হোস্টিং সেবা নির্বাচন করুন।

Related News

View All

To Write Your Thoughts Please Log in First

Login
Home
Task
My Team
Latest News
User Guide