আপনি কি আর্টিকেল লেখার নিয়ম শিখতে চান? এই ১৪টি ফমূলা আপনাকে জানতে হবে। বর্তমানে অনলাইনে আর্টিকেল লেখার চাহিদা উল্লেখযোগ্যহারে বেড়েছে। আর্টিকেল লেখা শুধু প্রফেশনাল লেখকদের জন্যই নয়, বরং শিক্ষার্থী, গৃহিনী বা যেকোনো ব্যক্তি, যাদের লেখালেখির প্রতি আগ্রহ আছে তারাও লেখালেখি করে অনলাইনে আয় করতে পারেন।
আর্টিকেল লেখার মাধ্যমে অনলাইনে আয় করার অনেক মাধ্যম রয়েছে। তবে, এর জন্য কিছু নিয়ম এবং প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। এই আর্টিকেলে আমরা আর্টিকেল লেখার নিয়ম এবং আর্টিকেল লিখে কিভাবে আয় করা যায় ও কিছু গোপন ট্রিক্স-টপস নিয়ে আলোচনা করব।
১। আর্টিকেল লেখার নিয়ম
আর্টিকেল লেখার জন্য কিছু সাধারণ নিয়ম এবং নির্দেশিকা অনুসরণ করা প্রয়োজন। নিম্নে আর্টিকেল লেখার কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম তুলে ধরা হলো:
-
সঠিক বিষয় নির্বাচন: আর্টিকেল লেখার প্রথম ধাপ হলো একটি নির্দিষ্ট বিষয়/Niche নির্বাচন করা। বিষয়টি এমন হতে হবে যা পাঠকদের আকর্ষণ করবে এবং আপনি যে বিষয়ে দক্ষ তা হতে হবে।
-
পর্যাপ্ত রিসার্স করা: বিষয় নির্বাচন করার পর পরবর্তী ধাপ হলো বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত রিসার্স করা। রিসার্সের মাধ্যমে আপনি নতুন তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করতে পারবেন যা আপনার আর্টিকেলকে ভ্যালু এড করবে।
-
প্রয়োজনীয় হেডিং তৈরি করা: একটি আকর্ষণীয় হিডিং তৈরি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হিডিংটি এমন Eye Catching হতে হবে যা পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে এবং তাদের আর্টিকেলটি পড়তে উৎসাহিত করবে।
-
সামারি লেখা:সামারি অংশে সংক্ষেপে আর্টিকেলের বিষয়বস্তু সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে। এটি এমন হতে হবে যাতে পাঠকরা আর্টিকেলটি পড়তে আগ্রহী হন।
-
মূলবিষয় উপস্থাপন: মূলবিষয়ে আপনার গবেষণা করা তথ্য এবং আপনার নিজস্ব বিশ্লেষণ উপস্থাপন করুন। প্রতিটি প্যারাগ্রাফে একটি নির্দিষ্ট বিষয়বস্তু আলোচনা করুন এবং পরিষ্কারভাবে উপস্থাপন করুন।
-
মোটিভেশনাল সমাপনি: সমাপনিতে আর্টিকেলের মূল বিষয়গুলো সংক্ষেপে পুনরায় উল্লেখ করুন এবং আপনার মতামত প্রদান করুন। উপসংহারটি এমন হতে হবে যাতে পাঠকরা একটি সুস্পষ্ট ধারণা পান।
-
প্রুফরিডিং/Revision: আর্টিকেল লেখার পর এটি রিভিশন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রিভিশনের মাধ্যমে বানান এবং ব্যাকরণগত ভুলগুলো সংশোধন করতে পারবেন। বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম,ইংরেজি আর্টিকেল লেখার নিয়ম,ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়ম,
২। আর্টিকেল এর প্রকারভেদ
আর্টিকেল লেখার বিভিন্ন ধরণ রয়েছে এবং প্রতিটি ধরণেই ভালো আয় করা সম্ভব। নিচে কয়েকটি জনপ্রিয় আর্টিকেল লেখার ধরণ উল্লেখ করা হলো:
-
ব্লগ পোস্ট: ব্লগ পোস্ট লেখা সবচেয়ে জনপ্রিয় আর্টিকেল লেখার ধরণ। ব্লগ পোস্টে সাধারণত নির্দিষ্ট একটি বিষয় নিয়ে লেখা হয় এবং এটি সহজ ভাষায় লেখা হয় যাতে পাঠকরা সহজেই বুঝতে পারেন।
-
নিউজ আর্টিকেল: সংবাদভিত্তিক আর্টিকেল যেখানে সাম্প্রতিক ঘটনা, খবর এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে লেখা হয়।
-
ইনফরমেশনাল আর্টিকেল: এই ধরণের আর্টিকেলে সাধারণত কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর তথ্য প্রদান করা হয়। যেমন- স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি, শিক্ষা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে লেখা।
-
রিভিউ আর্টিকেল: পণ্য বা সেবা নিয়ে রিভিউ আর্টিকেল লেখা হয়। এখানে পণ্যের গুণগত মান, সুবিধা-অসুবিধা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
-
গাইড বা টিউটোরিয়াল: নির্দিষ্ট একটি কাজ কিভাবে করতে হবে তার ধাপ নির্দেশনা দিয়ে লেখা আর্টিকেল। যেমন- রান্নার রেসিপি, সফটওয়্যার ব্যবহার ইত্যাদি।
৩। হাই ভ্যালু আর্টিকেল লেখার নিয়ম
আর্টিকেল লেখার মান উন্নয়ন করার জন্য কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো:
-
নিয়মিত লেখার অভ্যাস: নিয়মিত লেখার মাধ্যমে আপনার লেখার দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। প্রতিদিন লিখুন এবং নতুন নতুন বিষয় নিয়ে গবেষণা করুন।
-
বেশি বেশি বই পড়া: বেশি বেশি বই পড়ুন। এতে করে আপনার শব্দভাণ্ডার বৃদ্ধি পাবে এবং নতুন নতুন লেখার কৌশল শিখতে পারবেন।
-
পাঠকদের প্রতিক্রিয়া নেয়া: আপনার আর্টিকেল পড়ার পর পাঠকদের প্রতিক্রিয়া নিন। তাদের মতামত অনুযায়ী আপনার লেখার মান উন্নয়ন করতে পারবেন।
-
লেখার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা: বিভিন্ন লেখার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করুন। এতে করে আপনার লেখার গুণগত মান এবং প্রতিযোগিতামূলক মানসিকতা বৃদ্ধি পাবে।
৪। লেখার ফিচার এবং পাঠকদের মনোযোগ আকর্ষণ
একটি ভালো আর্টিকেল লেখার জন্য সঠিক লেখার ফিচার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাঠকদের মনোযোগ আকর্ষণ করার জন্য নিচে কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো:
-
সরল ও সুস্পষ্ট ভাষা ব্যবহার করা: পাঠকদের জন্য সহজবোধ্য এবং পরিষ্কার ভাষা ব্যবহার করুন। জটিল শব্দ বা বাক্যবন্ধ এড়িয়ে চলুন।
-
আকর্ষণীয় হিডিং তৈরি করুন: একটি আকর্ষণীয় হিডিং পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং তাদের আর্টিকেলটি পড়তে উদ্বুদ্ধ করে।
-
ছোট প্যারাগ্রাফ এবং সাব-হেডিং ব্যবহার করুন: বড় বড় প্যারাগ্রাফের পরিবর্তে ছোট ছোট প্যারাগ্রাফ এবং সাব-হেডিং ব্যবহার করুন। এটি পাঠকদের জন্য আর্টিকেলটি পড়া সহজ করে তোলে।
-
উদাহরণ এবং ছবি ব্যবহার করা: আপনার আর্টিকেলকে আরও আকর্ষণীয় করতে উদাহরণ এবং চিত্র ব্যবহার করুন। এটি পাঠকদের বোঝার জন্য সহায়ক।
-
পাঠকদের প্রশ্ন করা: পাঠকদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে তাদের প্রশ্ন করুন। এটি তাদের অংশগ্রহণ বাড়ায় এবং তাদের মনোযোগ ধরে রাখে। আর্টিকেল রাইটিং কি,বাংলা আর্টিকেল সাইট,কোনো আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ কোনটি,
৫। লেখার সময় নিয়ন্ত্রণ করা গুরুত্বপূর্ণ
লেখার সময় নিয়ন্ত্রণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার সময়কে সঠিকভাবে ব্যবহার করে আপনি আরো বেশি এবং ভালো মানের আর্টিকেল লিখতে পারেন। নিচে কিছু সময় নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দেওয়া হলো:
-
লেখার সময়সূচি তৈরি করা: নির্দিষ্ট সময়ে লেখার জন্য একটি সময়সূচি তৈরি করুন এবং তা মেনে চলুন। এটি আপনার কাজের সময়সূচিকে সংগঠিত করতে সাহায্য করবে।
-
তারাহুরা নির্ধারণ করুন: আপনার কাজের তারাহুরা নির্ধারণ করুন এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলিকে প্রথমে সম্পন্ন করুন। এটি আপনার সময়কে কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে সাহায্য করবে।
-
বিরতি নিয়ে কাজ করা: নির্দিষ্ট সময় পর পর বিরতি নিন। এটি আপনার মনকে সতেজ রাখবে এবং লেখার মান বাড়াতে সাহায্য করবে।
-
একাধিক কাজ এড়িয়ে চলা: একাধিক কাজ একসাথে করার চেষ্টা করবেন না। এটি আপনার মনোযোগ বিচ্ছিন্ন করতে পারে এবং কাজের গুণগত মান কমিয়ে দিতে পারে।
৬। সফল লেখক হওয়ার উপায়
একজন সফল লেখক হতে কিছু পরামর্শ অনুসরণ করা যেতে পারে:
-
নিয়মিত লেখালেখি করা: নিয়মিত লেখার অভ্যাস গড়ে তুলুন। প্রতিদিন কিছু না কিছু লিখুন। এটি আপনার লেখার দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
-
রিডারদের মতামত নেয়া: আপনার লেখা সম্পর্কে পাঠকদের মতামত গ্রহণ করুন। তাদের মতামত অনুযায়ী আপনার লেখার মান উন্নত করুন।
-
নতুন নতুন বিষয় নিয়ে রিসার্স করা: নতুন বিষয় নিয়ে গবেষণা করুন এবং নতুন তথ্য সংগ্রহ করুন। এটি আপনার আর্টিকেলকে সমৃদ্ধ করবে।
-
লেখার সঠিক টুল ব্যবহার করা: লেখার জন্য সঠিক টুল ব্যবহার করুন। যেমন- গ্রামারলি, হেমিংওয়ে অ্যাপ ইত্যাদি। এগুলো আপনার লেখাকে আরো উন্নত করতে সাহায্য করবে।
-
মাঝে মাঝে লেখার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা: বিভিন্ন লেখার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করুন। এটি আপনার লেখার দক্ষতা বাড়াবে এবং আপনাকে নতুন সুযোগ এনে দিতে পারে।
৭। আর্টিকেল রাইটার হিাসবে ভবিষ্যৎ এবং সম্ভাবনা
বর্তমানে অনলাইন কন্টেন্টের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। নতুন নতুন প্ল্যাটফর্ম এবং প্রযুক্তির উদ্ভবের কারণে লেখালেখির ক্ষেত্রেও ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। আর্টিকেল লেখার ভবিষ্যৎ এবং সম্ভাবনা নিয়ে কিছু ধারণা দেওয়া হলো:
-
মার্কেটে প্রচুর চাহিদা : ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং এর সাথে সাথে অনলাইন কন্টেন্টের চাহিদাও বাড়ছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ও সার্ভিসের প্রচারের জন্য নিয়মিত ব্লগ পোস্ট, নিউজ আর্টিকেল, রিভিউ ইত্যাদি প্রকাশ করে। ফলে, দক্ষ আর্টিকেল লেখকদের চাহিদাও বাড়ছে।
-
নানাবিধ টপিক: আর্টিকেল লেখার বিভিন্ন টপিক রয়েছে। যেমন প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ভ্রমণ, ফ্যাশন, খাবার ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখার সুযোগ রয়েছে। যে কোনো বিষয়ের উপর আর্টিকেল লিখে অনলাইনে ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে।
-
অটোমেশন এবং AI বাইপাস: আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) এবং অটোমেশন প্রযুক্তি কন্টেন্ট ক্রিয়েশনে বড় ভূমিকা রাখছে। যদিও AI কন্টেন্ট তৈরিতে সহায়ক, তবে মানুষের সৃষ্টি করা কন্টেন্টের মান এবং সৃজনশীলতার সাথে তুলনীয় নয়। ফলে, দক্ষ লেখকদের চাহিদা এখনও অনেক বেশি।
-
ফ্রি-ল্যান্সিং এবং রিমোট ওয়ার্ক করার সুযোগ: বর্তমান যুগে ফ্রি-ল্যান্সিং এবং রিমোট ওয়ার্কের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘরে বসেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য আর্টিকেল লেখা এবং আর্নিং করা এখন খুবই সহজ। এটি বিশেষ করে ছাত্র, গৃহিনী এবং অন্যান্য ব্যক্তিদের জন্য আর্থিক স্বাধীনতা এনে দিতে পারে।
-
ডিজিটাল মার্কেটিং করে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ: ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের জন্য় কন্টেন্ট মার্কেটিং একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ব্লগ পোস্ট, ইনফোগ্রাফিক, সাইট কন্টেন্ট ইত্যাদির মাধ্যমে ব্র্যান্ড প্রচারণা করা হয়। ফলে, আর্টিকেল লেখকদের চাহিদা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
৮। লেখক হিসেবে দক্ষতা উন্নয়ন কিভাবে করবেন?
একজন সফল আর্টিকেল লেখক হতে হলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা অর্জন করতে হয়। নিচে কিছু দক্ষতার কথা উল্লেখ করা হলো:
-
রিসার্স করার মনমানসিকত: ভালো রিসার্চ দক্ষতা একজন লেখকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তথ্য সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ করতে পারা, বিভিন্ন সূত্র থেকে সঠিক তথ্য গ্রহণ করা একটি ভালো লেখককে অন্যদের থেকে আলাদা করে।
-
লেখায় নতুনত্ব: লেখার ফিচার এমন হওয়া উচিত যা পাঠকদের আকর্ষণ করে এবং তাদের মনোযোগ ধরে রাখে। সরল ও প্রাঞ্জল ভাষায় লেখার চেষ্টা করুন এবং নতুনত্ব আনার চেস্টা করুন।
-
ব্যাকরণ এবং বানান: সঠিক ব্যাকরণ এবং বানান একজন লেখকের দক্ষতা প্রমাণ করে। লেখার সময় ব্যাকরণগত এবং বানানগত ভুল এড়িয়ে চলা উচিত।
-
এডিট ও রিভিশন: আর্টিকেল লেখার পর তা এডিট এবং রিভিশন করা অত্যন্ত জরুরি। এটি লেখার গুণগত মান বাড়ায় এবং পাঠকদের জন্য পাঠযোগ্য করে তোলে।
-
সময় মেইনটেইন করা: লেখার কাজ নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন করা এবং সময়ানুবর্তিতা বজায় রাখা একজন সফল লেখকের গুণ। ক্লায়েন্টের সময়সীমা মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৯। আর্টিকেল লেখার কিছু গোপন কৌশল
আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে কিছু গোপন কৌশল রয়েছে যা ব্যবহার করে আপনি আপনার লেখার মান উন্নত করতে পারেন এবং পাঠকদের আকর্ষণ করতে পারেন। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কৌশল তুলে ধরা হলো:
-
প্রথম প্যারাগ্রাফে হুক ব্যবহার: আর্টিকেলের প্রথম প্যারাগ্রাফটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি এমন হতে হবে যাতে পাঠকরা প্রথমেই আর্টিকেলটি পড়তে আগ্রহী হন। প্রথম প্যারাগ্রাফে একটি আকর্ষণীয় প্রশ্ন, তথ্য বা গল্প উপস্থাপন করুন। যেটা হুক হিসাবে কাজ করবে।
-
প্রাসঙ্গিক উদাহরণ এবং কেস স্টাডি ব্যবহার করুন: আপনার পয়েন্টগুলোকে আকর্শনীয় করার জন্য উদাহরণ এবং কেস স্টাডি ব্যবহার করুন। এটি আপনার লেখাকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলবে এবং পাঠকদের বোঝার সুবিধা হবে।
-
রিডারদের সমাধান দিন: আপনার আর্টিকেলে পাঠকদের জন্য সমাধান বা উপদেশ দিন। এটি রিডারদের আপনার আর্টিকেল থেকে কিছু শিখতে সাহায্য করবে এবং তারা আপনার লেখা উপভোগ করবে।
-
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন: আপনার লেখায় ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন। এটি পাঠকদের সাথে একটি ব্যক্তিগত সংযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করবে এবং লেখাকে আরও আকর্ষণীয় করবে।
-
সাইকোলজি ব্যবহার করুন: আপনার লেখায় কল্পনাশক্তির ব্যবহার করুন। এটি লেখাকে জীবন্ত করে তুলবে এবং পাঠকদের মনোযোগ ধরে রাখবে।
-
সংক্ষিপ্ত লেখায় বেশি ভ্যালু শেয়ার করুন: আপনার লেখাকে সংক্ষিপ্ত এবং সুনির্দিষ্ট রাখুন। অতিরিক্ত তথ্য যোগ না করে মূল পয়েন্টগুলো উপস্থাপন করুন। পাঠকরা সংক্ষিপ্ত এবং সুনির্দিষ্ট লেখাকে বেশি পছন্দ করেন।
-
অ্যাকশনেবল কন্টেন্ট লিখুন: আপনার আর্টিকেলে এমন কন্টেন্ট প্রদান করুন যা পাঠকরা বাস্তবে প্রয়োগ করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, টিপস, কৌশল, নির্দেশিকা ইত্যাদি। এটি পাঠকদের জন্য আর্টিকেলকে আরও মূল্যবান করে তুলবে। আর্টিকেল লেখার processকোনটি,
রাইটিং লেখার নিয়ম,ব্লগপোস্ট লেখার নিয়ম,ফিচার আর্টিকেল লেখার নিয়ম,রিভিউ আর্টিকেল লেখার নিয়ম,
১০। আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে যা করা উচিৎ নয়
আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় যা এড়িয়ে চলা উচিত। নিচে কিছু সাধারণ বিষয় উল্লেখ করা হলো:
-
অতিরিক্ত তথ্য যোগ না করা: অতিরিক্ত তথ্য যোগ না করে মূল পয়েন্টগুলো উপস্থাপন করুন। পাঠকরা সংক্ষিপ্ত এবং সুনির্দিষ্ট লেখাকে বেশি পছন্দ করেন।
-
অপ্রাসঙ্গিক কন্টেন্ট এড়িয়ে যাওয়া: আপনার আর্টিকেলে প্রাসঙ্গিক কন্টেন্ট যোগ করুন। অপ্রাসঙ্গিক কন্টেন্ট পাঠকদের বিরক্ত করতে পারে এবং আপনার আর্টিকেলের মান কমিয়ে দিতে পারে।
-
বানান এবং ব্যাকরণের দিকে খেয়াল রাখা: বানান এবং ব্যাকরণগত ভুল এড়িয়ে চলুন। সঠিক ব্যাকরণ এবং বানান একজন লেখকের দক্ষতা প্রমাণ করে।
-
অপরিচ্ছন্ন ফরম্যাটিং এড়িয়ে চলা: ফরম্যাটিং অপরিচ্ছন্ন হলে পাঠকদের জন্য আর্টিকেলটি পড়া কঠিন হয়ে যায়। সাব-হেডিং, প্যারাগ্রাফ, বুলেট পয়েন্ট ইত্যাদি ব্যবহার করে আর্টিকেলটিকে সুশৃঙ্খল করুন।
-
প্ল্যাজিয়ারিজম/কপি করা থেকে বিরত থাক: অন্যের লেখা কপি করা থেকে বিরত থাকুন। প্ল্যাজিয়ারিজম একজন লেখকের সুনাম নষ্ট করতে পারে এবং এটি আইনি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
১১। পাঠকদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলা গুরুত্বপূর্ণ
রিডারদের সঙ্গে একটি ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলা একটি সফল লেখকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিছু উপায় নিচে উল্লেখ করা হলো:
-
রিডারদের প্রশ্নের উত্তর দিন: পাঠকদের প্রশ্নের উত্তর দিন এবং তাদের মতামতকে গুরুত্ব দিন। এটি পাঠকদের সঙ্গে আপনার সম্পর্ককে দৃঢ় করবে।
-
সোশ্যাল মিডিয়ায় এঙ্গেজ: সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পাঠকদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করুন। আপনার লেখা শেয়ার করুন এবং পাঠকদের প্রতিক্রিয়ার প্রতি মনোযোগ দিন।
-
নিউজলেটার/নোটিফিকেশন দিন: নিয়মিত নিউজলেটার প্রেরণ করে পাঠকদের আপনার লেখার সাথে আপডেট রাখুন। এতে পাঠকদের সাথে আপনার সম্পর্ক আরো মজবুত হবে।
-
কমেন্ট সেকশন চালু রাখুন: আপনার ব্লগ বা আর্টিকেলের কমেন্ট সেকশনে সক্রিয় থাকুন। পাঠকদের মতামত জানুন এবং তাদের সঙ্গে আলোচনা করুন।
-
মাঝে মাঝে গিভওয়ের ব্যবস্থা করুন: পাঠকদের জন্য বিশেষ অফার প্রদান করুন। এটি তাদের সাথে আপনার সম্পর্ক আরও ভালো করতে সহায়তা করবে।
১২। আর্টিকেল লিখে কিভাবে আয় করবেন
আর্টিকেল লিখে ইনকাম করার জন্য বেশ কিছু উপায় রয়েছে। নিচে কয়েকটি জনপ্রিয় উপায় তুলে ধরা হলো:
-
ফ্রিল্যান্স প্ল্যাটফর্ম থেকে আয়: অনলাইন ফ্রিল্যান্স প্ল্যাটফর্ম যেমন Upwork, Fiverr, Freelancer ইত্যাদিতে নিবন্ধন করে আর্টিকেল লেখা শুরু করতে পারেন। এখানে ক্লায়েন্টদের থেকে আর্টিকেল লেখার কাজ গ্রহণ করতে পারবেন এবং কাজের ভিত্তিতে আয় করতে পারবেন।
-
ব্লগিং করে আয়: নিজস্ব ব্লগ সাইট তৈরি করে নিয়মিত আর্টিকেল লিখে আয় করা যায়। ব্লগে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এবং স্পন্সরশিপের মাধ্যমে আয় করা সম্ভব।
-
গেস্ট পোস্টিং করে আয়: বিভিন্ন জনপ্রিয় ব্লগ সাইটে গেস্ট পোস্টিং করে আয় করা যায়। গেস্ট পোস্টিংয়ের মাধ্যমে আপনি আপনার লেখার দক্ষতা প্রদর্শন করতে পারবেন এবং অনেক ক্ষেত্রে সাইটের মালিকরা অর্থ প্রদান করে থাকেন।
-
ই-বুক লিখে আয়: ই-বুক লেখার মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারেন। ই-বুক তৈরি করে Amazon Kindle Direct Publishing বা অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে বিক্রি করতে পারেন।
-
কনটেন্ট মিলস সাইট থেকে ইনকাম: কনটেন্ট মিলস হল এমন কিছু ওয়েবসাইট যেখানে লেখকরা আর্টিকেল লিখে আয় করতে পারেন। Textbroker, iWriter ইত্যাদি এমন কিছু জনপ্রিয় কনটেন্ট মিলস।
-
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আয়: সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখালেখির মাধ্যমে আয় করা যায়। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম বা লিঙ্কডইন প্রোফাইল ব্যবহার করে আপনি লেখালেখি প্রচার করতে পারেন এবং স্পন্সরশিপ পেতে পারেন।
১৩। আর্টিকেল লিখে প্যাসিভ ইনকাম করার উপায়
প্যাসিভ ইনকাম বলতে সেই আয়ের কথা বোঝায় যা একবার কাজ করে বারবার আয় হয়। আর্টিকেল লেখার মাধ্যমে প্যাসিভ ইনকাম উপার্জন করা সম্ভব। নিচে কিছু প্যাসিভ ইনকাম উপার্জনের উপায় উল্লেখ করা হলো:
-
নিজের ব্লগ পরিচালনা করা: আপনি যদি একটি ব্লগ চালান এবং সেখানে নিয়মিত আর্টিকেল পোস্ট করেন, তবে আপনি বিজ্ঞাপন, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এবং স্পন্সরড কন্টেন্টের মাধ্যমে প্যাসিভ ইনকাম উপার্জন করতে পারেন। আপনার ব্লগে বেশি ভিজিটর আসলে আপনার আয়ের পরিমাণও বাড়বে।
-
ই-বুক প্রকাশ করা: আপনি আপনার লেখাগুলোকে ই-বুক আকারে প্রকাশ করতে পারেন। ই-বুক বিক্রির মাধ্যমে আপনি প্যাসিভ ইনকাম উপার্জন করতে পারেন। অ্যামাজন কাইন্ডেল, গুগল প্লে বুকস ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মে আপনার ই-বুক বিক্রি করতে পারেন।
-
অনলাইন কোর্স তৈরি করা: আপনি যদি লেখালেখি বা অন্য কোনো বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হন, তবে আপনি অনলাইন কোর্স তৈরি করে তা বিক্রি করতে পারেন। Udemy, Teachable, Coursera ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মে আপনার কোর্স বিক্রি করতে পারেন।
-
মেম্বারশিপ সাইট তৈরি করা: আপনি একটি মেম্বারশিপ সাইট তৈরি করে সেখানে বিশেষ কন্টেন্ট প্রদান করতে পারেন। পাঠকরা আপনার বিশেষ কন্টেন্ট পড়ার জন্য মেম্বারশিপ ফি প্রদান করবে। এটি একটি ভালো প্যাসিভ ইনকাম উৎস হতে পারে।
-
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটে বিভিন্ন পণ্যের অ্যাফিলিয়েট লিংক শেয়ার করতে পারেন। আপনার লিংক দিয়ে পণ্য কিনলে আপনি কমিশন পাবেন। অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট, ClickBank, ShareASale ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন।
১৪। আর্টিকেল লেখার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম
আর্টিকেল লিখে আয় করার জন্য বেশ কিছু জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। এগুলো আপনাকে লেখার কাজ করতে এবং তার মাধ্যমে আয় করতে সহায়তা করে। নিচে কিছু উল্লেখযোগ্য প্ল্যাটফর্মের কথা বলা হলো:
-
Upwork: Upwork একটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্স প্ল্যাটফর্ম যেখানে বিভিন্ন ধরনের লেখার কাজ পাওয়া যায়। এখানে আপনি প্রোফাইল তৈরি করে আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা প্রদর্শন করতে পারেন। ক্লায়েন্টরা আপনার প্রোফাইল দেখে আপনাকে কাজের অফার দিতে পারে।
-
Fiverr: Fiverr একটি আরেকটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্স প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনি আপনার লেখার সেবা বিক্রি করতে পারেন। এখানে আপনি নিজের প্রোফাইল তৈরি করে বিভিন্ন গিগ অফার করতে পারেন। আপনার গিগগুলির মাধ্যমে ক্লায়েন্টরা আপনাকে কাজের অফার দিতে পারে।
-
Freelancer: Freelancer একটি গ্লোবাল ফ্রিল্যান্স প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনি বিভিন্ন লেখার কাজের জন্য বিড করতে পারেন। এখানে আপনি বিভিন্ন প্রোজেক্টে অংশগ্রহণ করতে পারেন এবং কাজের ভিত্তিতে আয় করতে পারেন।
-
Medium: Medium একটি অনলাইন পাবলিশিং প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনি আপনার আর্টিকেল প্রকাশ করতে পারেন। Medium পার্টনার প্রোগ্রামের মাধ্যমে আপনি আপনার আর্টিকেল থেকে আয় করতে পারেন। আপনার আর্টিকেল যত বেশি পড়া হবে, তত বেশি আপনি আয় করতে পারবেন।
-
HubPages: HubPages একটি অনলাইন কমিউনিটি যেখানে আপনি আপনার আর্টিকেল প্রকাশ করতে পারেন। এখানে আপনি বিজ্ঞাপন, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এবং অন্যান্য উপায়ে আয় করতে পারেন।
সর্বপরি যা বলবো
আর্টিকেল লেখা এবং এর মাধ্যমে আয় করা বর্তমান সময়ে একটি জনপ্রিয় এবং সম্ভাবনাময় পেশা। সঠিক নিয়ম অনুসরণ করে এবং নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে আপনি একজন সফল আর্টিকেল রাইটার হতে পারেন। লেখার প্রতি আগ্রহ, প্রতিশ্রুতি এবং প্রচেষ্টা আপনাকে সফলতার পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে। লেখার মাধ্যমে আপনি আপনার ছড়িয়ে দিতে পারেন এবং আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারেন। আর্টিকেল লেখা একটি সৃজনশীল এবং মজার কাজ যা আপনাকে মানসিক প্রশান্তি প্রদান করে।
12 comments
Sohorab Hossain Arsad Jul 15,2024
Excellent!
Md bablu Jul 16, 2024
Excellent❤️
Mridul Aug 25, 2024
Thank you sir
Mridul Aug 25, 2024
Thank you sir
Md nur islam Aug 29, 2024
Good
Imran Sep 09, 2024
Very good
Imran Sep 09, 2024
So good
Imran Sep 09, 2024
So good job
Rokib Sep 10, 2024
Allah
Sakib Sep 11, 2024
Good
Sakib Sep 12, 2024
Good
Ahad Sep 12, 2024
Excellent
Pallob saha Sep 16, 2024
Nice
Bithi Sep 18, 2024
Nice
Antora Khatun Sep 21, 2024
Thank you
Md. Bashar khan Oct 01, 2024
টাকা তুলতে পারছি না কেন
sremon Oct 02, 2024
good
Md Rabbu Hossain Oct 07, 2024
Thanks
Jamiul Alom Pigeon Aug 17,2024
Nice video. This is improving our self
Rokib Sep 10, 2024
Alhamdulillah
Roman khan Raj Sep 19, 2024
onek kosto kort kaj kore 110 taka bkash a dici ekhon o taka painai prothome vabci hotovaga side ta valo ekhon dekhi side ta asolei fake
Roman khan Raj Sep 19, 2024
onek kosto kort kaj kore 110 taka bkash a dici ekhon o taka painai prothome vabci hotovaga side ta valo ekhon dekhi side ta asolei fake
Minhaj Sep 20, 2024
Nice
mahmud hasan kavi Oct 07, 2024
nice
Md Rabbu Hossain Oct 07, 2024
Thanks
Jamiul Alom Pigeon Aug 17,2024
Nice video. This is improving our self
Rajib baral Aug 25, 2024
Good
Md Ebrahim Sep 13, 2024
723359
Md Ebrahim Sep 13, 2024
723359
Roman khan Raj Sep 19, 2024
plz kew kaj korben na era manusher kosto ke mullo deyna ami kaj korci taka painai
Roman khan Raj Sep 19, 2024
plz kew kaj korben na era manusher kosto ke mullo deyna ami kaj korci taka painai
Airin Akter Aug 26,2024
অনেক উপকৃত হলাম
Md Ebrahim Sep 13,2024
Bahi amake kisu taka dia sajjo korun
Md Ebrahim Sep 13, 2024
Md Ebrahim
Md Ebrahim Sep 13,2024
01756067475 my Nagad nambare
Md. Bashar khan Oct 01, 2024
টাকা বিকাশে যাচ্ছে না
Md Ebrahim Sep 13,2024
01756067475 my Nagad nambare
Md Ebrahim Sep 13,2024
01756067475 my Nagad nambare
Tisha Sep 14,2024
Alhamdulillah
Bithi Sep 18,2024
Nice content
abushahin Sep 25,2024
Alhumdhuullah
Riyad Oct 04,2024
খুব সুন্দর কাজ