ফ্রিল্যান্সিং কি? কিভাবে শুরু করবেন?- জানুন বিস্তারিত!!

বর্তমানের বহুল জনপ্রিয় একটি পেশা হিসাবে দাড়িয়েছে ফ্রিল্যান্সিং। পড়াশোনার পাশাপাশি আয় এর জন্য তরুণদের সেরা পছন্দ হলো এই ফ্রিল্যান্সিং। অনেকেই তো এই ফ্রিল্যান্সিং কেই বানিয়ে নিচ্ছেন নিজের পেশা। আবার অনেকেই নিজের পায়ে দাড়ানোর সাথে সাথে অন্যেকো স্বাবলম্বী করে তুলছে।

মোট কথা একজন ফ্রিল্যান্সার আজ বিশ্ব ময়দানে খুব ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত। তবে আমাদের অনেকেরই ফ্রিল্যান্সিং কি? কিভাবে শুরু করবেন?  এই বিষয়গুলো নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তাই আজ আমরা এই সন্দেহ দূর করতেই ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং কি? কিভাবে শুরু করবেন? সফল ফ্রিল্যান্সার এর বৈশিষ্ট সমন্ধে আলোচনা করব। চলুন তবে শুরু করা যাক। 

আমরা আমাদের ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং কি? কিভাবে শুরু করবেন টপিকটিকে কয়েকটি পয়েন্ট আকারে ভাগ করে নিয়েছি। এর ফলে আপনার বুঝতে সহজ হবে।

কেননা পয়েন্ট গুলো ফ্রিল্যান্সিং এর স্টেপ বাই স্টেপ গাইডলাইন। আশা করি তা অনুসরণ করলেই আপনি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন। আর কিভাবে শুরু করবেন তা নিয়ে সন্দেহ থাকবে না। নিচের পয়েন্টগুলোর প্রতি নজড় রাখুন। 

ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং কি? 

ফ্রিল্যান্সিং কি এ প্রশ্নের উত্তরে সহজ কথায় বলা যেতে পারে এটি আপনার একটি অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসা স্বরূপ। আর এই ব্যবসার মূল ধন হিসাবে আপনাকে কিছু ইনভেষ্ট করতে হবে না। তবে কিছুটা মূল ধন লাগবে আর তা হলো আপনার মেধা বা স্কিল। 

যেমন ধরুন ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যায় তা নিয়ে যদি একটু সার্চ করেন তাহলে দেখতে পারবেন কাজের তালিকা। আর সেখানে সব কাজই মেধার দ্বারা ও দক্ষতার দ্বারা। তো মোট কথা এই যে অফিসের ওই বদ্ধ জীবনকে বাদ দিয়ে ঘরে বসে নিজের মেধার মাধ্যমে অনলাইনে যে ব্যবসা করা হয় তা মূলত ফ্রিল্যান্সিং। আশা করি ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং কি সে প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন। 

এ পর্যায়ে ফ্রিল্যান্সিং এর স্টেপ বাই স্টেপ গাইড অনুসরণ করুন- 

ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যায় সে সমন্ধে গবেষণাঃ 

আপনি যা কিছু করুন না কেন আপনাকে সকল কিছুর পূর্বেই হালকা গবেষণা করতেই হবে। কেননা গবেষণাই কেবলমাত্র একটি ভাল মানের কাজের জন্ম দিতে পারে। তাই প্রথম নির্দেশনা একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে গেলে তা হলো বেশি বেশি রিসার্চ বা গবেষণা করুন। 

ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যায় তা নিয়ে নেট ঘাটুন। মনে রাখবেন,  আপনার কাজ নির্বাচন এর ক্ষেত্রেই আপনাকে সর্ব প্রথম  এই রিসার্চ এর পরিচয় দিতে হবে। কেননা আপনি গিয়েই একটি কাজ বেছে নিতে পারেন না। 

এর জন্য আপনাকে দেখতে হবে ডিমান্ড কার বেশি, কোনটি কাজটি বেশি আপলোড হচ্ছে। এগুলো ঠিকঠাক দেখেই আপনি কেবল নিজের জন্য কাজ বেছে নিতে পারবেন। 

এছাড়াও পরবর্তীতে আপনাকে রিসার্চ কোয়ালিটি এর পরিচয় দিতে হবে কাজ করার সময়। আপনার ক্লায়েন্ট আপনাকে যে টপিক দিয়েছে বা আপনার সিলেক্ট করা টপিক নিয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ রিসার্চ করুন। এগুলো নিয়ে পরে আসা যাবে। 

রিসার্চ কোথায় করবেন?

এ প্রশ্নের জবাবে এক উওরে ইন্টারনেট। আপনি এখন কোন যুগে আছে তা ভুলে যাবেন না। তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে তথ্যই যখন প্রধান সম্পদ তখন সেই তথ্যের মূল স্থান হচ্ছে ইন্টারনেট। আর আপনার রিসার্চ বা গবেষণা এর সবচেয়ে ভালো মাধ্যমও ইন্টারনেট।

 এখান থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন এবং আপনার নিজস্ব কাজে তা পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্যবহার করুন। সফল ফ্রিল্যান্সার হতে গেলে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কোয়ালিটি। তাই রিসার্চ কোয়ালিটিকে বৃদ্ধি করুন এতে করে ক্লায়েন্টও খুশি হবে। এগুলো পরের ব্যাপার মূলত। যা কাজ পাওয়ার পর আপনি দেখতে পারবেন। 

প্রাথমিক দুটি কাজ নির্বাচন করুনঃ

ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যায় সেই লিস্ট থেকে দুটো কাজ প্রাথমিকভাবে সিলেক্ট করে নিতে হবে। এই পর্যায়েই আপনি একটি কাজকে নির্বাচন করতে পারবেন না। দুটো কাজ নির্বাচন করে একটু ভেবে নিন। ভেবে নিয়ে আপনাকে পরবর্তীতে ফাইনাল কাজ নির্বাচন করতে হবে। তাই রিসার্চ করে আপনি দুটো কাজকে নির্বাচন তালিকায় রাখুন।

উদাহরণস্বরূপ আপনি ধরুন গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং ওয়েব ডেভলপমেন্ট এর নির্বাচন করলেন।কেননা এ দুটো কাজের ডিমান্ড বেশি এবং আপনার সাথে মানান সই বলা যায়। তাই প্রাথমিকভাবে এই দুটোকে আপনার নির্বাচন তালিকায় রাখা উচিত। 

আমি বলছি না যে এ দুটি কাজই আপনাকে করতে হবে।বরং একটি কাজকেই নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। তবে এ দুটি কাজ সিলেকশন লিস্টে রাখুন। সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার এটি হলো দ্বিতীয় ধাপ।

ফাইনাল কাজ নির্বাচন করুনঃ

 এ পর্যায়ে আপনাকে ফাইনাল।কাজটি বেছে নিতে হবে।হ্যা এই পর্যায় হলো একটি কাজ নির্বাচনের।  আপনাকে এখন ঠিক করে নিতে হবে আপনি কি নিয়ে সামনে অগ্রসর হবেন। তবে এর আগে কিছুটা কাজ করতে হবে। আপনি আগের বার যে দুটো কাজ নির্বাচন করেছিলেন তা নিয়ে কোর্স করতে হবে। উভয় বিষয়েই ১ সপ্তাহ করে কোর্স করুন। এরপর যে বিষয়ে আপনি কমফোর্ট ফিল করবেন সেই বিষয়টি নিয়েই সামনে আগান। 

আশা করি এগুলো পর্যায় অনুসরণ করলে আপনি খুব তাড়াতাড়িই ভালো একটি কাজ সিলেক্ট করতে পারবেন। আর নিজের পছন্দের কাজ নিয়ে সামনে আগালেই আপনি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন খুব সহজেই। 

সময় নিয়ে কাজ শিখুনঃ

ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যায় সেখান থেকে কাজ  তো নির্বাচন করলেন এবার কি করবেন? 

কাজ নির্বাচন করলেই কি অনলাইন মার্কেটপ্লেসে জয়েন করতে পারবেন? 

না পারবেন না। এখন আপনাকে এখন উক্ত বিষয়ে কাজ শিখতে হবে। কাজ শেখার জন্য কোর্স করতে হবে। তবে একটা বিষয় মনে রাখবেন আপনআকে অবশ্যই সময় নিয়ে কাজ শিখতে হবে। তাড়াহুড়ো করবেন না। 

কাজ কোথায় শিখবেন?

আপনি এই ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ এর জন্য অনলাইনের ইন্টারনেট জগতে বিভিন্ন সোর্স পাবেন। সেগুলো থেকে একটি বেছে নিয়েই ভালোভাবে শেখা শুরু করতে পারেন। তবে এখানে দুটো বিষয় আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে।

এক হলো অনলাইনে অনেক সোর্স আছে তাই তার মধ্যে থেকে যে কোন একটি নিয়ে সামনে এগুতে হবে। কেননা একাধিক কোর্স নিয়ে শুরু করলে গোজামিলে পড়ে যাবেন। দ্বিতীয়ত যে বিষয়টি তা হলো কাজ শেখার মধ্যবর্তী পর্যায়ে সোর্স বা কোর্সটি পাল্টাবেন না। আর সবার শুরুতেই আপনি  কোর্স বাছাই এর ক্ষেত্রে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিবেন অবশ্যই।

এভাবে সময় নিয়ে কাজ শিখলেই একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন আশা করা যায়। আর পড়াশোনার পাশাপাশি আয় ও শুরু করতে পারবেন খুব তাড়াতাড়ি। 

সফল একজন ফ্রিল্যান্সার এর অধীনে কিছু দিন কাজ করুনঃ

কাজ শেখার পর আপনি সরাসরি মার্কেটপ্লেসে ঢুকতে পারবেন না। তার আগে কিছুদিন একজন সফল ফ্রিল্যান্সার এর কাছে কাজ করুন। তার প্রোজেক্টগুলোতে হাত বাটান। তবে এখানে দুটো জিনিস মাথায় রাখবেন। 

এক হলো যে ফ্রিল্যান্সার এর সাথে কাজ করছেন তার সাথে কখনোই খারাপ কোনো ব্যবহার করবেন না। যতটা পারবেন ভালো সম্পর্ক বজায় রাখার। এতে করে তার অনেক কাজের রহস্য সে আপনার সাথে শেয়ার করব। 

আর দুই নাম্বার যে কথাটি তা হলো এই সময়টাতে কাজ করার বিনিময়ে টাকার কথা মোটেও মাথায় আনবেন না। অনুশীলন এর এই সময়টাতে আপনি যদি টাকা চান , তবে অবস্থা বেগতিক হতে পারে। আর আপনি কিছু ভালো ভাবে নাও শিখতে পারেন। 

আর এটি করার মূল একটি কারণ রয়েছে। এতে করে আপনার অভিজ্ঞতা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে। মার্কেটপ্লেস, কাজ সমন্ধে ধীরে ধীরে জানতে থাকবেন। আর দেখবেন আপনি খুব তাড়াতাড়িই একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার দোড়গোড়ায় যেতে পারবেন। আর পড়াশোনার পাশাপাশি আয় ও করতে পারবেন। 

একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার এর অধীনে কাজ করার পর আপনাকে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। কেননা এবার আপনি একেবারে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে জয়েন করবেন। আর তাই একটু চালাকি এর আশ্রয় নিতে হবে।  

কি সেই চালাকি গুলো? 

আপনার সুবিদার্থে নিচে সেই ফ্রিল্যান্সিং টিপস ও পড়াশোনার পাশাপাশি আয় এর কলাকৌশল বলে দেয়া হলো। 

মার্কেটপ্লেস নিয়ে গবেষণা করাঃ

ফ্রিল্যান্সিং এর হোম গ্রাউন্ড হলো বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস গুলো। হোম গ্রাউন্ড কেন বলছি, কারণ এখানেই আপনার মূল কাজের লেনাদেনা চলবে। বায়ার এর কাজ আপনি এখানেই পাবেন এবং গিগ পোস্টও এখানে করতে হবে। 

তাই মার্কেটপ্লেস একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য।  কোথায় কোন কাজের চাহিদা বেশি, বা আপনার নেয়া স্কিল নিয়ে কোথায় খুব তাড়াতাড়ি সাফল্য অর্জন করতে পারবেন তা নিয়ে একটু ঘাটাঘাটি করুন। এতে করে আপনার মার্কেটপ্লেস সমন্ধে একটি সুস্পষ্ট ধারণা তৈরি হয়ে যাবে। ফলে আপনি মার্কেটপ্লেস এর গতানুগতি সেই সাথে মার্কেটপ্লেসে কি করলে কি হতে পারে সেই সমন্ধে একটি ধারণা তৈরি করতে পারবেন। তাই পড়াশোনার পাশাপাশি আয় এর জন্য উক্ত পয়েন্টটিকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়ে সামনে আগাতে হবে। 

মার্কেটপ্লেসে একটি মানসম্মত প্রোফাইল খোলা

আপনি যখন মার্কেটপ্লেস এর গতিবিধি সমন্ধে বুঝতে পারবেন তখন আপনাকে নেক্সট স্টেপে যেতে হবে। আর আমাদের দ্বিতীয় ধাপটি হলো মার্কেটপ্লেসে নিজের উপস্থিতি জানান দেয়া। আর এই উপস্থিতি জানান দিতে আপনাকে যা করতে হবে তা হলো এখানে একটি প্রোফাইল খুলুন। তবে প্রোফাইল খোলার আগে কিছু বিষয় মেনে চলে বাঞ্ছনিয়। 

নিচে কিছু পয়েন্ট আলোচনা করা হলোঃ 

  • টপ রেটেড ফ্রিল্যান্সার দের প্রোফাইল ঘাটুনঃ আপনাকে প্রথমেই যা করতে হবে তা হলো টপ রেটেড বা ভালো ফ্রিল্যান্সার দের প্রোফাইল দেখুন। তারা কিভাবে নিজেদের প্রোফাইলকে সাজিয়েছে সেই বিষয়টি খেয়াল করুন। সেই সাথে কি কি বিষয় যুক্ত করা আছে একটি প্রোফাইলে সেটা লক্ষ করুন। এতে করে সুস্পষ্ট ধারণা তৈরি হবে। 
  •  নিজের যেসব যোগ্যতা আছে তাই শুধু যুক্ত করুনঃ টপ রেটেড ফ্রিল্যান্সারদের প্রোফাইল দেখেই যে আপনাকেও টপ রেটেড সব পোর্টফলিও রাখতে হবে তা কিন্তু নয়। আপনি কিন্তু নতুন ফ্রিল্যান্সার তাই আপনার যোগ্যতা একটু কম হবে এটাই স্বাভাবিক। তাই আপনার নিজের যা আছে তাই শুধু যুক্ত করুন। আর হ্যাঁ, অন্যের প্রোফাইল থেকে কিছু কপি মারবেন না। আর এমন কিছু যুক্ত করবেন না যা আপনার মধ্যে নেই। 

এভাবেই আপনি দ্বিতীয় পয়েন্টটি অর্থাৎ মার্কেটপ্লেসে একটি মানসম্মত প্রোফাইল তৈরি করে ফেলতে পারবেন। যা খুব তাড়াতাড়িই বায়ার এর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হবে। 

ডেইলী কাজের জন্য বিড করা বা গিগ পোস্ট 

নতুন ফ্রিল্যান্সার দের একটি খারাপ দিক হলো আলসেমি। এটা কেন বলছি একটু দেখুন। নতুন ফ্রিল্যান্সার দের সবার ক্ষেত্রেই প্রায় দেখা যায় যে তারা নতুন অবস্থায় নিয়মিত গিগ পোস্ট করতে কিংবা কাজে বিড করতে ভুলে যায়। বা আলসেমি করেই তা থেকে বিরত থাকে। এতে করে হাজারো কাজের সুযোগ কিন্তু তাদের কাছ থেকে হাতছাড়া হয়ে যায়। তাই এখানে আপনার লক্ষণীয় দিকটি একটু দেখুন। আপনাকে নিয়মিতই গিগ পোস্ট কিংবা কাজের বিড করার ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।

আর তা হলেই কেবল আপনি খুব কম সময়ে সাফল্যের হাতছানি পাবেন। এবং পড়াশোনার পাশাপাশি আয় শুরু করতেও পারবেন। 

বায়ার এর সাথে যোগাযোগ ঠিক রাখা 

ধরুন আপনার কোনো গিগে কোনো বায়ার রিকুয়েষ্ট দিয়েছে যে তিনি কাজ করাবেন আপনাকে দ্বারা। বা আপনার কোনো বিডের রিসপন্সে কোনো ক্লায়েন্ট উত্তর দিয়েছে। তখন আপনার করণীয় কি? 

একটু ভালোভাবে লক্ষ করুন বেশির ভাগ ফ্রিল্যান্সরাই এই পর্যায়টাতে একদম দুমরে মুচরে যায়। কেননা তারা ভালোভাবে কথা বলতে পারেনা। আর ঠিকঠাক মতো যোগাযোগ না করার কারণেও বায়ার আর কাজ দিতে চান না। তাই লক্ষ করে দেখুন বায়ার এর সাথে যোগাযোগ করা কতটা জরুরি। 

আর এই যোগাযোগ এর সময় আপনাকে দুটো জিনিস মাথায় রাখতে হবে। তা হলোঃ 

  • ইংরেজিতে কথোপকথন করতে হবে। 
  • কথা বলার সময় সুস্পষ্টভাবে নিজের মেসেজ তার কাছে পৌছানো লাগবে। 

দেখুন আন্তর্জাতিক ভাষা কিন্তু এখন ইংরেজি তাই এর গুরুত্ব অনলাইন মার্কেটপ্লেস এও প্রচুর। আপনি একটু খোঁজ নিলেই তা জানতে পারবেন। তাই এখানে সাজেশন হচ্ছে ইংরেজি হালকা চর্চার মধ্যে রাখুন। পাশাপাশি নিজের কথার বলার ভাবটাকে স্পষ্ট করুন। এতে করে আশা করি আপনি ভালোভাবে যোগাযোগ করতে সক্ষম হবেন। যার ফলে খুব তাড়াতাড়ি এক প্রকার ইম্প্রেশন তৈরি হয়ে যাবে এবং পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করতে পারবেন। 

ঠিক সময়ে জমা দেয়া 

কাজ তো পেয়ে গেলেন এখন কি করতে হবে? এখন যা করতে হবে আপনার তা জানা আছে। আপনাকে এখন খুব মনযোগ দিয়ে কাজটা করতে হবে। প্রথম কাজ হলে তো তাতে ইম্প্রেশন এর এক আধটু ব্যাপার সেপার রয়েছে তাই সেখানে খুব বেশি সময় দেয়ার চেষ্টা করুন এবং বায়ারকে খুশি করার মতো স্যাম্পল তৈরি করুন। 

আর হ্যাঁ, মনে রাখবেন শুরুর এই কাজগুলোই কিন্তু পরে আপনার পোর্টফলিও হিসাবে কাজ করবে। তাই আপনি এখন যেমন ফিডব্যাক দিবেন। পরেও তেমনি ফিডব্যাক পাবেন। দেয়া আর নেয়ার একটা ব্যাপার আর কি। 

এখানে সবচেয়ে বড় যে জিনিসটা একটু মাথায় রাখবেন তা হলো ঠিক সময়ে জমা দিতে হবে আপনাকে। খুব বেশি দেরি করে কাজ জমা দিতে যাবেন না। এতে করে ক্লায়েন্ট ক্ষুব্ধ হয়ে আপনার অ্যামাউন্ট কমিয়ে দিতে পারেন এবং রেটিয়েও খুব একটা ভালো দিবেন না। 

তাই সঠিক সময়ে দেয়ার চেষ্টা করুন। তবে তাই বলে এত তাড়াতাড়ি দেয়ার চেষ্টা করবেন যখন কাজ এক প্রকার আউল ঝাউল হয়ে আছে। আর খুব তাড়াতাড়ি জমা দিতে গিয়ে ঘেটে ঘ করবেন না। সবচেয়ে ভালো হয়ে যোগাযোগের সময়ই ভালোভাবে সময় একটু বেশিই চেয়ে নেয়া। 

কাজে গাফিলতি না দেখানো

লাস্টলি আমি যে পয়েন্টটি আনতে চাই তা হলো কাজে কোনোভাবেই গাফিলতি দেখানো চলবেই না। আপনার কাজে আপনি কখনোই অমনযোগী হবেন না। এতে করে কাজটি খারাপ হয়ে যেতে পারে। আর হ্যাঁ, সবচেয়ে খারাপ যে জিনিসটি তা হলো কাজ কপি মেরে চালিয়ে দেয়া। বিশেষ করে কন্টেন্ট রাইটিং এর ক্ষেত্রে অনেকে স্পিনিং এর সাহায্য নিয়ে থাকেন। তবে আপনাকে বলে রাখছি মোটেও তা করবেন না।

প্রথম কাজটি সম্পূর্ণ নিজের হাতে করুন। কেননা পরবর্তী কাজের পোর্টফলিও এটি। আর একবার যদি খারাপ ট্যাগ আপনার পিঠে লেগে যায় তাহলে খুব একটা ভালোর মুখ দেখতে পারবেনও না। আশা করি এটি মনে রাখবেন। 

উপরোক্ত এই আর্টিকেলটিতে আমরা আজ আলোচনা করলাম ফ্রিল্যান্সিং কি? সেই সাথে ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং কি। আশা করি এর ফলে ফ্রিল্যান্সিং এর একটি ধারণা আপনি পেয়ে গেছেন। পাশাপাশি আরও একটি বিষয় এখানে ছিল আর তা হলো ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যায়, যার ফলে কাজ নির্বাচনের ফলে আপনার একটা ধারণা হয়ে গেছে। এই পয়েন্ট মেনে চললেই পরে আপনি সাফল্য পেতে পারবেন আশা করি। আর পরবর্তী পোস্টের জন্য সাথেই থাকুন।

To Write Your Thoughts Please Login First

Login

অনলাইন মার্কেটপ্লেস কি? কিভাবে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হবেন? জানুন বিস্তারিত!!

ফ্রিল্যান্সিং বর্তমানে একটি মাঠ কাপানো কাজ। সকল তরুন আবার অনেক প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষও টাকা ইনকাম এর জন্য এর পিছনে ছুটে চলেছে। ছুটে চলেছে নিজের ভাগ্য...

ফ্রিল্যান্সিং কি? কিভাবে শুরু করবেন?- জানুন বিস্তারিত!!

বর্তমানের বহুল জনপ্রিয় একটি পেশা হিসাবে দাড়িয়েছে ফ্রিল্যান্সিং। পড়াশোনার পাশাপাশি আয় এর জন্য তরুণদের সেরা পছন্দ হলো এই ফ্রিল্যান্সিং। অনেকেই তো এই ফ্রিল্যান্সিং কেই বানিয়ে...

ফ্রিল্যান্সিং করে আয় ক্রুন

ফ্রিল্যান্সিং অনলাইনে অর্থ উপার্জনের অন্যতম জনপ্রিয় উপায়। বেশ কিছু ওয়েবসাইট বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সারদের দক্ষতার উপর ভিত্তি করে ফ্রিল্যান্স কাজের সুযোগ দেয়। সেখানে আপনাকে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে...

ভিডিও দেখে আপলোড করে আয় করুন

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।  সুপ্রিয় অনলাইন বন্ধুরা। কেমন আছেন সবাই? আশাকরি ভালই আছেন। সকলের ভাল থাকার প্রত্যাশা নিয়ে শুরু করছি আজকের আর্টিকেল। বিভিন্ন ব্লগে লেখালেখি...

x Close