মাসে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করার বিস্বস্থ সাইট || অনলাইন ইনকাম ২০২২ !

বর্তমানে অনলাইনে জগতের যে উন্নতি সাধিত হয়েছে তাতে যে কেউ তার ক্যারিয়ারকে অনলাইনেই গুছিয়ে নিতে পারে। আর এর জন্য আপনাকে কোনো অফিসে কিংবা কোনো কোম্পানিতে কাজ করতে হবে না। শুধুমাত্র হাতের কাছে ইন্টারনেট সেবা এবং ডিভাইস থাকলে আপনিও ঘরে বসেই নিজের ঠিকানা করে নিতে পারেন অনলাইন ইনকাম কে।

প্রশ্ন হতে পারে কিভাবে করবেন অনলাইন থেকে ইনকাম। তার উত্তরে বলতে চাই আজকের এই পোস্টটি পড়লেই আপনি অনলাইন ইনকাম এর খুটিনাটি সব কিছু জেনে যাবেন। তো চলুন শুরু করা যাক অনলাইন ইনকাম ২০২১ এবং অনলাইন ইনকাম পদ্ধতি এর খুটিনাটি সেই সাথে অনলাইনে আয় করার ট্রাষ্টেড মাধ্যম। 

নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম-

শুরুতেই আসা যাক বর্তমানের বহুল জনপ্রিয় একটি মাধ্যম নিয়ে। যাকে আমরা সকলেই ব্লগিং বা ওয়েবসাইট চালানো বলে থাকি। আপনারা যদি ইতোমধ্যে ইন্টারনেটে ঘাটাঘাটি করে থাকেন তবে নিশ্চয় ,আমার এই কথাটি আপনার কাছে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে ।

তবে যদি বুঝে না থাকেন তবে বলছি। আপনি যদি একটি ওয়েবসাইটের ওনার বা মালিক হয়ে থাকেন তবে আপনি আপনার ওয়েবসাইটকেই বানিয়ে নিতে পারেন নিজের আয়ের মাধ্যম।

ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে আয় এর উপায়ও শুধু যে একটি তা কিন্তু নয়। আপনি প্রায় কয়েকটি উপায়ে অনলাইনে আয় করতে পারবেন। আর এই ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে আয় থাকছে আমাদের অনলাইন ইনকাম ২০২১ এবং অনলাইন ইনকাম পদ্ধতি এর প্রথম পয়েন্টে।

ওয়েবসাইট থেকে অনলাইন ইনকাম পদ্ধতি এর তিনটি উপায় নিচে আলোচনা করা হলো-

গুগল এডসেন্স থেকে অনলাইনে আয়

পৃথিবীর সেরা সার্চ ইঞ্জিন যে গুগল তা আমাদের সবারই জানা। আর এই সার্চ ইঞ্জিন কোম্পানিটি শুধু তাদের একটি ব্যবসাতেই বসে নেই। পাশাপাশি আরো কিছু প্রতিষ্ঠান তাদের রয়েছে। এদেরই মধ্যে গুগল এর এড এর জন্য প্রতিষ্ঠান হলো গুগল এডসেন্স।

হ্যাঁ, বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বা সার্চ ইঞ্জিনে পরিভ্রমণের সময় আপনি যেসব এড এর সম্মুখীন সবই এই গুগল এডসেন্স কর্তৃক পরিচালিত হয়। আর গুগল তার এই এড এর কার্যক্রমকে তার ডাটাবেসের অন্তর্গত সকল ওয়েবসাইটের সাথে ভাগ করে নিতেই ওয়েবসাইটে এড দেখানোর ব্যবস্থাটি গ্রহণ করেছে।

পাশাপাশি গুগল তাদের এই এডের টাকার কিছু শতাংশই তার ওয়েবসাইটগুলোর সাথে ভাগ করে নেয়। অর্থাৎ আপনি গুগল এডসেন্সের এই কার্যক্রমটিতে যুক্ত হয়ে নিজের ওয়েবসাইট থেকে অনলাইন ইনকাম ২০২১ করতে পারবেন।

গুগল এডসেন্স থেকে অনলাইন ইনকাম ২০২১ এর জন্য আপনাকে নিম্নোক্ত বিষয় সমূহ মেনে চলতে হবে এবং সেই সাথে অনলাইন ইনকাম পদ্ধতি গুলো-

১। নিজস্ব ওয়েবসাইট চালু করা-

আপনি ভাবছেন গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে এড দেখিয়ে অনলাইন থেকে ইনকাম করবেন অথচ আপনার নেই কোনো ওয়েবসাইট তাহলে তো স্বপ্ন শুধু স্বপ্নই থেকে যাবে, তাই না? আর এজন্যই আপনার প্রথম করণীয় হবে নিজের একটি ওয়েবসাইট খুলে ফেলা।

ওয়েবসাইট খোলার জন্য আপনি ওয়েবসাইটটি এইচটিএমএল , সিএসএস এর মাধ্যমে ডেভলপ করে নিতে পারেন এবং ডোমেইন এর মাধ্যমে লাইভ করতে পারেন। তবে এর জন্য আপনার দরকার পড়বে একটা মোটা অংকের টাকার। ঘাবড়ে গেলেন?

ঘাবড়ানোর কিছুই নেই। আপনি যদি প্রথম দফাতেই টাকা ইনভেস্ট না করতে চান তবে জনপ্রিয় দুটি ব্লগিং বা ওয়েবসাইট প্লাটফর্ম এ বিনা পয়সাতেই ওয়েবসাইট বানিয়ে ফেলতে পারবেন এবং অনলাইন আয় শুরু করতে পারেন। আর জনপ্রিয় দুটি ব্লগিং প্লাটফর্ম হচ্ছে-

ব্লগার – গুগল কর্তৃক পরিচালিত ব্লগিং প্লাটফর্ম।

ওয়ার্ডপ্রেস – বিশ্বের ৩৫% ওয়েবসাইট ওয়ার্ডপ্রেস দ্বারা গঠিত।

২। পর্যাপ্ত পরিমাণ কপিরাইট ফ্রি কন্টেন্ট রাখা-

আপনি ওয়েবসাইট তৈরি করলেন এবং সাথে সাথেই যে আপনি এড দেখিয়ে আয় করতে পারবেন তা কিন্তু নয়। আপনার ওয়েবসাইট এর এড দেখানোর জন্য ভিজিটরও যে লাগবে ।

আর তার জন্য চাই কন্টেন্ট। আর এই কন্টেন্টগুলোকে হতে হবে ইউনিক তা না হলে আপনি এডসেন্স এর জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না। পাশাপাশি আপনাকে এসইও বিষয়েই একটু জ্ঞান অর্জন করতে হবে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইন আয়-

অন্যের পণ্যকে প্রোমোট করার কথা তো কখনো না কখনো শুনে থাকবেন। আর তারই একটি রূপ হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। হ্যাঁ, জনপ্রিয় পণ্য বিক্রয়ের প্লাটফর্মগুলো থেকে তাদের প্রোডাক্টকে প্রোমোট করা বা কিনতে উৎসাহিত করার নামই হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। বলতে পারেন ওয়েবসাইট এর সাথে এর সম্পর্কটা কি?

আসলে এখনকার যেসব পণ্য বিক্রেতা রয়েছে তা সবই অনলাইন ভিত্তি হয়েছে। একটি প্রতিষ্ঠান শুধু এক জায়গাতেই নয় বরং পুরো একটি দেশ জুড়ে বিস্তার করতে পারে এই অনলাইন ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে। তাই তারা তাদের এই অ্যাফিলিয়েট ব্যবস্থাকেও করেছে অনলাইন ওয়েবসাইট ভিত্তিক। পণ্য বিক্রেতা ওয়েবসাইটগুলোতে আপনি তাদের সব পণ্যের অ্যাফিলিয়েট বা প্রোডাক্ট লিংক জেনারেট করতে পারবেন।

আর এই লিংকটিকেই নিজের ওয়েবসাইটে দিয়ে আপনি আপনার অডিয়েন্সকে উৎসুক করতে পারেন সেই প্রোডাক্টটি কিনতে। এবং কিনলে আপনি সেই প্রোডাক্ট থেকে একটি নির্দিষ্ট অ্যামাউন্ট এর টাকা পেয়ে যাবেন।

আর এভাবেই অনলাইন আয় হয়ে থাকে অ্যাফিলিয়েট এর মাধ্যমে। জনপ্রিয় কয়েকটি অ্যাফিলিয়েট সুবিধা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এর নাম নিচে দেয়া হলোঃ

অ্যামাজন- বর্তমানে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট এর জনপ্রিয়তা আমাদের সবার জানা।আর আপনিও এতে অংশ নিতে পারবেন।

বিডীশপ – দেশীয় অনেক প্লাটফর্মও এই অ্যাফিলিয়েট সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে। আর তাদের মধ্যে সবার সেরা হলো বিডীশপ ডট কম।

দারাজ - দারাজও আপনাদের এই অ্যাফিলিয়েট পরিষেবাটি দিয়ে যাচ্ছে।

ব্যানার বিজ্ঞাপন এর মাধ্যমে অনলাইন আয়-

ওয়েবসাইট এ ব্যানার বিজ্ঞাপন থেকে আয় বিষয়টি কিছুটা গুগল এডসেন্স এর এড এর মাধ্যমেই তবে এটি গুগল এডসেন্স এর সাথে কোনোভাবেই জড়িত নয়। আপনার ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট যদি পুরোপুরি কপিরাইট মুক্ত না হয়ে থাকে তবে ওয়েবসাইট ভিজিটর এর সংখ্যা অনেক বেশি হয় সেক্ষেত্রে আপনি ব্যানার বিজ্ঞাপন এর এই সুযোগটি কাজে লাগাতে পারবেন।

ব্যানার বিজ্ঞাপন এটা এড দেখানোর মতোই। তবে এই ব্যানার বিজ্ঞাপন এর জন্য আপনাকে কন্টাক্ট করতে হবে দেশী কিছু ক্লায়েন্ট এর সাথে বা দেশী স্বনামধন্য কোনো কোম্পানির সাথে।

এখানে প্রোসেসটা কিছুটা এমন আপনি কোনো কোম্পানির সাথে এই চুক্তি করবেন যে আপনি তাদের বিজ্ঞাপন নিজের ওয়েবসাইটে প্রদর্শন করবেন। যা গুগল এড এর মতোই কিছুটা তবে এখানে আপনার গুগল এর জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হতে হবে না। আর সেই সব কোম্পানির এড যখন আপনি নিজের ওয়েবসাইটে প্রদর্শন করবেন তখন তার উপর ভিত্তি করে আপনাকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণের টাকা তারা দিবে।

আর এভাবেই ব্যানার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আপনি অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন। ব্যানার বিজ্ঞাপনের এই প্রক্রিয়াটি আপনার জন্য গুগল এডসেন্স এর বিকল্প হিসাবে দাঁড়াতে পারে যদি আপনি একজন মুসলিম হন। আমরা জানি যে গুগল এড এর যে ৫০০ প্রকার রয়েছে তার মধ্যে কিছু অ্যাডাল্ট অ্যাড ক্যাটাগরি ও রয়েছে যার কারণে এই ইনকামটি পুরোপুরি হালাল নয়। হ্যাঁ, ব্লক করা যায় এড তবে তার সংখ্যা মাত্র ৩০০ প্রকার।

যার কারণে আপনার ইনকাম হারাম হালালের সংমিশ্রণে। আর এটা এড়াতেই আপনি ব্যানার বিজ্ঞাপনকে আপন করে নিতে পারেন। হ্যাঁ, এর মাধ্যমে আয় কম হবে তবে আপনি সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি এর মাধ্যমে রক্ষা করতে পারছেন। এটাই মুখ্য বিষয়।

ইউটিউব থেকে আয়-

ভিডিও দেখতে হবে মানেই ইউটিউব, হ্যাঁ বর্তমানের বিশ্বের অন্যতম ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম হলো ইউটিউব। প্রতিদিন প্রায় কোটির উপরে মানুষ এই ইউটিউবে আসে শুধুমাত্র ভিডিও দেখার জন্য। এত বড় একটি প্লাটফর্মকে তাই এড বা বিজ্ঞাপনের একটি বড় ক্ষেত্র বানিয়ে ফেলেছে গুগল।

আর এই বিজ্ঞাপন পরিষেবার মাধ্যমে তারা হাজারো মানুষের ইনকামের রাস্তা খুলে দিয়েছে। হ্যাঁ বলছি ইউটিউব থেকে অনলাইন আয় এর কথা।
শুনতে হয়তো অবাক লাগতেই পারে যদি আপনি প্রথমবার শুনে থাকেন যে ইউটিউব এর মাধ্যমে অনলাইন থেকে আয় করা যায়। তবে একবার বিষয়টি বুঝে গেলে আশা করি আপনার আর কোনো দ্বিধাদ্বন্দ থাকবে না।

তো ইউটিউব এর মাধ্যমে অনলাইন থেকে আয় এর প্রক্রিয়াটিও মূলত এড নির্ভরশীল। আপনি হয়তো ধারণা করতে পারছেন আমি কি বলছি।
হ্যাঁ, ইউটিউব এ ব্রাউজ করার সময় আপনার চোখের সামনে কখনো না কখনো কিছু এড এসে থাকবে। উদাহরণ হিসাবে ধরতে পারেন বর্তমানে ইউটিউবে অত্যন্ত বেশি পরিমাণে ভিউ হওয়া ফুড পান্ডা কিংবা দারাজ এর এড। তো এই এডগুলোর প্রক্রিয়াটি নিম্নরূপ হয়ে থাকে-

ইউটিউবকে এড এর জন্য টাকা প্রদান -

বিশ্বের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানগুলো বা কোম্পানিগুলো তাদের প্রচারের জন্য বিজ্ঞাপন ব্যবস্থাকে অন্যতম বলে মনে করে। আর এই সনাতন বিজ্ঞাপন এখন আর চলে না বিধায় তারা বেছে নিচ্ছে গুগল কিংবা ইউটিউব এর মতো জনপ্রিয় মিডিয়াগুলোকে। যারই অংশ হিসাবে এসব প্রতিষ্ঠান এড দেখানোর জন্য গুগল কিংবা ইউটিউবকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণের টাকা দিয়ে থাকে। আর এরই ভিত্তিতে ইউটিউব এড দেখায়।

ইউটিউব থেকে ইউটিউবার এর অনলাইন আয়-

ইউটিউব তার প্রাপ্ত অর্থকে শুধু যে নিজের মধ্যেই রাখে তা নয়। বরং আপনি যে এড বা বিজ্ঞাপন দেখতে পান সেসব এড বা বিজ্ঞাপন যে সব চ্যানেলে প্রদর্শিত হয় সে সব চ্যানেলকে ইউটিউব তার বিজ্ঞাপনের একটি অংশ প্রদান করে। আর এভাবেই একজন ইউটিউবার এর মূল আয়টি এসে থাকে।

ইউটিউব এর মূল আয়টি নির্ভর করে মূলত আপনার ভিউয়ারস কত তার উপর। অর্থাৎ আমরা ওয়েবসাইট এর ভিজিটর এর কথা যেমন বলেছিলাম তেমনি ইউটিউব এর জন্য সেটি হচ্ছে ভিউয়ারস অর্থাৎ আপনার ভিডিও কতজন দেখলো। আর সবার আগে যেটি তাহলে আপনাকে একটি এডসেন্স প্রাপ্ত ইউটিউব চ্যানেল প্রথমে দাড় করাতে হবে।

ইউটিউব থেকে স্পন্সরশীপ এর মাধ্যমে অনলাইন থেকে আয়-

স্পন্সর কথাটি আপনি কখনো কখনো অবশ্যই দেখেছেন। স্পন্সর মূল কিছুটা প্রোমোটার এর মতোই। অর্থাৎ অন্যের প্রোডাক্ট বা পণ্যকে প্রোমোট করা। আর এই স্পন্সর এর জন্য ইউটিউব এর মতো জনপ্রিয় প্লাটফর্ম আর হয়তো দুটো নেই। কারণ এই ইউটিউবেই আজ কোটি মানুষের ভিড়। স্পন্সরশিপ দিনে দিনে আরও বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করছে।

সেই সাথে কোম্পানিগুলোও তাদের নিজেদের প্রোডাক্ট প্রোমোট করার জন্য আরও বেশি স্পন্সর খুঁজে বেড়াচ্ছে। তো দেখা যাচ্ছে এই স্পন্সর এর জন্য এক বিশাল জায়গা ফাকা পড়ে যাচ্ছে। আর আপনিও এখান থেকে নিজের আয়ের উৎসটা খুব ভালোভাবেই খুঁজে বের করতে পারবেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে অনলাইন থেকে ইনকাম-

অ্যাফিলিয়েট কথাটির মাধ্যমে আপনাকে একটু আগেই পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়েছে। এতক্ষণে নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন এই অ্যাফিলিয়েট মূলত কি। তো আর সেই কথা নয়।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারদের জন্যও এক বিশাল প্লাটফর্ম হলো এই ইউটিউব। নিজেদের অ্যাফিলিয়েট সাইটের প্রোডাক্টগুলোর রিভিউ এর মাধ্যমে খুব সহজেই নিজের অডিয়েন্সকে আকৃষ্ট করা যায়। যার ফলে সেখান থেকেও একটা আয়ের মুখ দেখা যায়। আর দিনে দিনে এই ব্যবস্থাটিও অত্যন্ত জনপ্রিয়তা লাভ করেই চলেছে।

এভাবেই ইউটিউব থেকে আয় করা যায় ২ থেকে ৩টি উপায়ের মাধ্যমে।

ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইন থেকে আয়-

বর্তমানে বহুল প্রচলিত এবং জনপ্রিয় একটি শব্দ হলো ফ্রিল্যান্সিং। ফ্রিল্যান্সিং বলতে মূলত আউটসোর্সিং কে বুঝানো হয়। অর্থাৎ অফিস এর মত বাঁধা ধরা নিয়মে কাজ না করে অনলাইনে নিজের ক্লায়েন্ট এর কাজ করে আয় করাই মূলত ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং। ফ্রিল্যান্সিং এর বিষয়টির উৎপত্তি একারণেই যে বাইরের দেশগুলোতে মাঝে মাঝেই দেখা যায় যে যারা বিভিন্ন কোম্পানিতে জব করে তারা তাদের বিভিন্ন কাজ নিজে থেকে করতে অনিচ্ছুক।

তাই তারা এগুলো অন্যদের দিয়ে করাতেই অনলাইনের শরণাপন্ন হয়। আর এভাবেই একজন বাইরের ক্লায়েন্ট তার কাজগুলো যখন সম্মানীর বিনিময়ে অন্য একজনের কাছ থেকে করিয়ে নেয় তখন তাকে ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং বলা হয়।

অনেকেই ভাবতে পারেন যে এই কাজের মাধ্যমে আবার পেট চালানো সম্ভব কিনা। তাদের উদ্দেশ্য বলতে চাই যে শুধু পেট চালানো না আপনি আরও কয়েকটি ফ্যামিলি চালাতে পারবেন এই ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে। ফ্রিল্যান্সিংকে ক্যারিয়ার বলতে আপনার হয়তো বাধতে পারে। কিন্তু এটা সত্য যে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে নিঃসন্দেহে আপনি আপনার ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন।

বাংলাদেশের অন্যতম আইডল হিসাবে আপনি দেখতে পারেন ফ্রিল্যান্সার নাসিমকে যে নিজের পায়ে দাড়ানোর পাশাপাশি হাজারো তরুণ তরুণীকে নিজের পায়ে দাড় করিয়েছে। তারই সাথে আরও আপনারা হয়তো শুনে থাকবেন ফ্রিল্যান্সিং কেয়ার ইনস্টিটিউট এর প্রতিষ্ঠাতার কথা। এরকমই আরো লাখ লাখ মানুষের নজিড় আপনাকে দেখানো সম্ভব যারা শুধু ফ্রিল্যান্সিং করেই নিজের ক্যারিয়ারটাকে গুছিয়ে নিয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে অনলাইন আয়-

অনলাইন এ আয়ের একটি বড় অংশ জুড়ে আজ মার্কেটিং এর বিস্তার। হ্যাঁ, ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমেই আজ লাখো মানুষ নিজেদের পায়ে দাঁড়িয়েছে। আর ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি অন্যতম ধাপ হলো সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। শুনে হয়তো একটু চমকে উঠতে পারেন যে আপনি যে ফেসবুক ব্যবহার করছেন তারই মাধ্যমে অনলাইন থেকে আয় করাও সম্ভব ।

প্রশ্ন করতে পারেন যে ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়? তার উওরে আজ আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর খুটিনাটি বলব এই পোস্টে। একটি একটি করে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি চলুন চোখ বোলানো যাক-

ফেসবুক মার্কেটিং করে অনলাইন থেকে আয় -

প্রথমেই আসা যাক ফেসবুক মার্কেটিং নিয়ে। ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় তা জানার আগে আপনাকে এটি জানতে হবে। হ্যাঁ, মার্কেটিং এর সবচেয়ে বড় ক্ষেত্রে হিসাবে এখন ফেসবুককেই ধরা হয় কারণ আজ লাখো কোটি মানুষের বিচরণ এই ফেসবুকেই। এক গবেষণায় দেখা গেছে সনাতন পদ্ধতিতে মার্কেটিং এর চেয়ে হাজার গুণ বেশি ইফেক্টিভ এই ফেসবুক মার্কেটিং। প্রশ্ন করতে পারেন ফেসবুক মার্কেটিং কিভাবে হয়ে থাকে।

উত্তরটি খুবই সহজ। ফেসবুকের যে পেজ নামক ফিচারটি রয়েছে তার মাধ্যমেই এই মার্কেটিং এর প্রক্রিয়া সম্পাদন করা হয়ে থাকে। একটু ভালোভাবে বোঝাতে আপনাকে একটা উদাহরণ দেখানো যাক।

ধরুন একজন পাবলিক ফিগার বা সুপারস্টার এর কথা । যার একটি ফেসবুক পেজ রয়েছে। আর এই ফেসবুক পেজের মাধ্যমে তিনি লাখো মানুষের সাথে কানেক্টেড বা সংযুক্ত থাকেন। সম্প্রতি তার একটি মুভি রিলিজ হয়েছে এখন তিনি চাচ্ছেন মুভিটি যেন সবাই দেখে। এর জন্য তিনি কি করতে পারে বলুন?

এর জন্য প্রথমত তাকে তার অডিয়েন্সদেরকে জানাতে হবে। যাতে করে তারা জানতে পারে একটি মুভি রিলিজ হচ্ছে কারণ তা ছাড়া তারা সেই মুভিটি দেখবে কিভাবে। তো সেই পাব্লিক ফিগার অভিনেতা নিজের ফেসবুক পেজে সেই মুভির রিলিজ এর কথাটি বলে দিলেন। সাথে সাথেই তা পৌঁছে গেল লাখো মানুষের কাছে।

আর মুভি ভালোহোক কিংবা খারাপ তৎক্ষণাৎ কিন্তু অনেক মানুষই তা দেখতে যাবেন। এর মাধ্যমে মুভিটির প্রচার যেমন হলো তেমনি এক প্রকার মার্কেটিং ও হলো। আর এভাবেই পণ্যের প্রচার প্রচারণাও চালানো হয়ে থাকে ফেসবুকের মাধ্যমে যাকে সংক্ষেপে বা খুব সহজে আমরা ফেসবুক মার্কেটিং বলে ডেকে থাকি।

ইন্সটাগ্রাম মার্কেটিং-

মার্কেটিং এক হাতিয়ার বলা হয়ে থাকে ইন্সটাগ্রামকে। কয়েকদিনে আগে আসা এই সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম খুব তাড়াতাড়িই টপ লেভেলের মিডিয়াতে পরিণত হয়েছে। আর এর মূল কারণ হলো ইন্সটাগ্রামে এঙ্গেজমেন্ট খুব তাড়াতাড়িই হয়ে থাকে। তাই বিশেষজ্ঞদের মতে মার্কেটিং প্লাটফর্মে ইন্সটাগ্রাম থেকে দূরে থাকা নিছক বোকামি ছাড়া কিছু নয়।

ইন্সটাগ্রাম থেকে মার্কেটিং করে আয়ের সবচেয়ে বড় নজিড় আপনাকে দেখাতে পারি। আর তিনি হলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। যিনি তার ইন্সটাগ্রামে মার্কেটিং করে সবচেয়ে বেশী টাকা অনলাইন থেকে আয় করছেন। তো এ ব্যাপারে আশা করি আপনার আর কোনো রকম বিভ্রান্তি থাকার কথা না। তবে ইন্সটাগ্রাম মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে আপনাকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো মেনে চলতে হবে-

স্ট্র্যাটেজি অবলম্বন করা-

আপনি যাই করুন না কেন আপনার যেকোনো কাজেরই একটি স্ট্রাটেজি থাকতে হবে। আর ইন্সটাগ্রাম মার্কেটিং এতে ব্যতিক্রম কিছু নয়। আপনাকে আপনার সৃজনশীলতা ব্যবহার করে মার্কেটিং এর পোস্ট সাজাতে হবে। সেই সাথে কেমন পোস্ট দিলে অডিয়েন্স আকৃষ্ট হবে সে বিষয়গুলোও জানতে হবে। সর্বোপরি আপনার স্ট্রাটেজি হতে হবে একদম ভিন্ন এবং কার্যকরী। যাতে খুব তাড়াতাড়িই আপনি সফলতা পেতে পারেন।

অডিয়েন্সকে জানুন-

আপনার কোন পোস্টে বেশি লাইক কিংবা শেয়ার পাচ্ছেন তা দেখুন। নিজের অডিয়েন্সদের বোঝার চেষ্টা করুন। তারা কি চাচ্ছে তা সাধ্যমতো দেয়ার চেষ্টা করুন। সর্বোপরি এটা মনে রাখুন যে আপনি তাদেরকে যত বেশি এঙ্গেজ করতে পারবেন তত তাড়াতাড়ি আপনি সাফল্য লাভ করতে পারবেন।

হ্যাশ ট্যাগ ব্যবহার করুন-

আপনার মনে হতে পারে অনেকেই তাদের পোস্টে এসব হ্যাশ ট্যাগ কেন ব্যবহার করছে। তার সহজ উত্তর হচ্ছে পোস্টটি বেশি পরিমাণে যাতে জনপ্রিয়তা অর্জন করে তার জন্য। ইন্সটাগ্রাম এর ডেভলপরাদের কাছ থেকেই এই তথ্য পাওয়া যে হ্যাশ ট্যাগ অনেক বেশি কার্যকরী একটি পোস্টকে টপ র‍্যাংকে তুলে দিতে।

এঙ্গেজমেন্ট-

সর্বোপরি যে বিষয় সবার আগে আপনাকে মাথায় রাখতে হবে তা হলো এঙ্গেজমেন্ট। হ্যাঁ আপনাকে আপনার অডিয়েন্স এর সাথে এঙ্গেজ থাকতে হবে। তারা কি করছে কোন পোস্টে লাইক দিচ্ছে এসব বিশ্লেষণ করুন।
টার্গেটেড ফলোয়ারদের পোস্টে লাইক শেয়ার দিন। এর মাধ্যমেই আপনি ইন্সটাগ্রাম মার্কেটিংকে এক শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারবেন খুব সহজেই ।

টুইটার মার্কেটিং এর মাধ্যমে অনলাইন ইনকাম ২০২২ –

ফেসবুক, ইন্সটার ভিড়ে আমরা একটি মিডিয়াকে তো ভুলেই যাচ্ছি আর তা হল টুইটার। হ্যাঁ, আপনার কাছে সোশ্যাল মিডীয়া হিসাবে এর কোনো জনপ্রিয়তা নাই থাকতে পারে তবে মার্কেটিং এর জগতে এর রয়েছে এক বিশাল বিচরণ। ফেসবুক কিংবা ইন্সটাগ্রাম মার্কেটিং হয়তো বা তুমুল জনপ্রিয় ।

কিন্তু আপনি যদি প্রকৃত কাস্টমার খুঁজতে চান তবে টুইটারই আপনার জন্য শ্রেষ্ঠ মাধ্যম হবে। কারণ ফেসবুকের মতো কেউ টুইটারে ফেক অ্যাকাউন্ট চালায় না। যার কারণে আপনি এখানে সরাসরি কাস্টমারের এঙ্গেজমেন্ট পাচ্ছেন এবং এটিই হলো টুইটারের সেরা দিক। আর রাজনীতি বিদ থেকে সুরু করে সকল প্রকার মানুষই আজ এই টুইটার এর সাথে লিপিবদ্ধ যার কারণে এর জনপ্রিয়তাও আজ তুমুলে। আর ১৪০ শব্দের এই টুইট বার্তা লিখে খুব সহজেই আপনি কোনো প্রোডাক্টকে প্রোমট করতে পারবেন।

তবে টুইটারে মার্কেটিং এর জন্য আপনার প্রচুর পরিমাণে ফলোয়ার জোগান দিতে হবে। কারণ আপনার মার্কেটীং এর অডিয়েন্স কিন্তু তারাই। সেজন্য আপনি যখন একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট খুলছেন মার্কেটিং এর উদ্দেশ্য তখন আপনার লক্ষ্য থাকবে একটাই যে আমার ফলোয়ার বাড়াতে হবে। তবে এখানে একটা কিন্তু রয়েছে আর তা হলো সব প্রকার ফলোয়ার বাড়ানো যাবে না।

কথাটির মানে এই যে আপনি যে কাউকেই নিজের ফলোয়ার বানাতে পারবেন না। আপনি যে ক্যাটাগরিতে কাজ করছেন আপনাকে ঠিক তেমন ক্যাটাগরির লোক খুঁজতে হবে। আর এভাবেই আপনি টুইটার মার্কেটিং শুরু করতে পারেন।

পিন্টারেষ্ট মার্কেটিং করে অনলাইন ইনকাম ২০২২ -

তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করা পিন্টারেষ্ট এখন মার্কেটিং এর দুনিয়াতেও রয়েছে শীর্ষেই। কেননা পিন্টারেষ্টে থাকছে সঠিকভাবে পণ্য সাজানো গোছানর ব্যবস্থা। যা নিয়ে আমরা এখন জানব।

পিন্টারেষ্ট মার্কেটিং কেন এতটা জনপ্রিয় তা একটু আপনাকে বলি। বর্তমানে পিন্টারেষ্ট এর প্রায় ৮০% ব্যবহারকারী হলো আমেরিকার। আর মাথানষ্ট করার মতো বিষয় হলো আমেরিকার এই ৮০% এর মধ্যে শতকরা ৮৫ জন মহিলাই নিজের কেনাকাটা করার আগে পিন্টারেষ্টে যায় এবং সেখান থেকে নিজের সিদ্ধান্তে পৌছায়। তো বুঝতেই পারছেন পিন্টারেষ্ট মার্কেটিং কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

আবার এও দেখা গেছে যে আমেরিকার ৪০ জন বাবাই তার সন্তানের নতুন ঘড়ি কিংবা যাবতীয় জিনিসগুলো কেনার আগে পিন্টারেষ্টের শরণাপন্ন হোন।

তাহলে একবার ভাবুন মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে পিন্টারেষ্ট আপনার কতটা সহায় হতে পারে। তাই তো সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এ পিন্টারেষ্টকে আওতাভুক্ত না করলে কখনো বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেয় যায় না। আর নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকলে তারও মার্কেটিং এরই মাধ্যমে করা যায়। আর না থাকলে অন্যের ওয়েবসাইটকে নিজের পিনে যুক্ত করেও আপনি আয় করতে পারবেন খুব সহজেই এই পিন্টারেষ্ট থেকে।

রেডিট মার্কেটিং করে অনলাইন ইনকাম ২০২২-

৩০০ মিলিয়ন এক্টিভ ইউজার সম্বলিত অন্যতম একটি প্লাটফর্ম হলো রেডিট। শুধুমাত্র মার্কেটিং এর জন্যই এর রয়েছে এক আলাদা কদর। রেডিট মার্কেটিং থেকে যে আয় করা যায় তা আজ অনেক পুরানো। এখন আমরা জানব কিভাবে একজন ইফেক্টিভ রেডিট মার্কেটার হয়ে আয় করা যাবে।

রেডিট মার্কেটিং টিপস-

লেটস্ট ট্রেন্ড সমন্ধে জানুন-

লেটেস্ট ট্রেন্ড সমন্ধে জানতে রেডিট একটি কার্যকরী মাধ্যম হিসাবে সর্বোধিক পরিচিত। অনেক মার্কেটারই তার নিজের রিসার্চ এর জন্য রেডিটকে রিসার্চ টুল হিসাবে ব্যবহার করে থাকে। কিভাবে করবেন তা একটু জানা যাক-

আপনি যা সমন্ধে জানতে ইচ্ছুক তা লিখে সার্চ দিলেই আপনি রেডিটে তার ডিটেইলস পেয়ে যাবেন। যেমন মানুষ কেন তা পছন্দ করছে কেনই বা তা এতটা ট্রেন্ডি হয়ে যাচ্ছে এই সব বিষয়াদি। যার ফলে আপনার রিসার্চ এর কাজটি রেডিট করে দিবে।

আকর্ষণীয় কন্টেন্ট হেডলাইন লেখার আইডিয়া নিন-

আপনি যদি খুব সুন্দরভাবে আকর্ষণীয় কন্টেন্ট লিখতে চান তবে অবশ্যই আপনাকে তার টাইটেল বা হেডলাইনকে সুন্দর করে সাজাতে হবে। আর এই আকর্ষণীয় হেডলাইন বা টাইটেলটি বানাতেই আপনাকে সাহায্য নিতে হবে রেডিট এর। রেডিট এর সাব-ব্র্যান্ড এর হেডলাইনগুলো দেখলে আপনি খুব তাড়াতাড়িই তা বুঝে যাবেন আশা করি।

যাদের আগ্রহ আছে আপনার ব্র্যান্ডে তাদের সংযুক্ত করুন-

আপনার প্রোডাক্ট এর সাথে রিলেভেন্ট বা সম্পর্কিত কন্টেন্টের দিকে নজড় রাখুন।সেখানে তারা কমেন্ট করছে তাদেরকে তালিকাভুক্ত করে ফেলুন। আর সেই সব পোস্টে প্রসঙ্গ বুঝে কমেন্ট করার চেষ্টা করুন এতে করে আপনার প্রোডাক্ট এর এক প্রকার মার্কেটিং হয়ে যাবে তবে এখানে কোনোভাবেই আপনি কিন্তু বাজে কমেন্ট করবেন না । তাহলে হিতে বিপরীত হয়ে যেতে পারে।

রেডিট থেকে ট্রাফিক অর্জন করুন-

রেডিট থেকে খুব সহজেই আপনি একজন কন্ট্রিবিউটর হয়ে সেখান থেকে ট্রাফিক অর্জন করে ফেলতে পারবেন। আর তাই শুরুর কাজটি হলো আপনাকে একজন কন্ট্রিবিউটর হিসাবে সেখানে যুক্ত হতে হবে।

রেডিট কন্টেন্টে এড যুক্ত করে অনলাইন থেকে আয়-

রেডিট থেকে মার্কেটিং ছাড়াও আরো এক প্রকার ভাবে আয় করা সম্ভব আর তা হলো আপনার রেডিট কন্টেন্ট এ পেইড এড বা বিজ্ঞাপন যুক্ত করা। আর এই এড বা বিজ্ঞাপন যুক্তের মাধ্যমে আপনি ওকটি ভালো অ্যামাউন্ট এর টাকা উপার্জন করতে পারবেন। আর যারা এই রেডিট এর সাথে যুক্ত তারা প্রত্যেকেই এই এড সম্পর্কে সচেতন।

এই ছিল আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মূল আলোচনাটিতে। আর এইসব সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর অনলাইন কাজ শিখুন ঘরে বসেই। কেননা আপনি অনলাইন কাজ শিখুন লিখে ইউটিউবে সার্চ দিলেই পেয়ে যাবেন হাজার হাজার ভিডিও টিউটোরিয়াল।

ভার্চুয়াল এসিস্টেন্ট হিসাবে কাজ করে অনলাইনে আয়-

ইন্টারনেট জগতের আয়ের অন্যতম একটি মাধ্যম হলো কারোর ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে কাজ করে আয়। হ্যাঁ, ইন্টারনেটে এখন ভার্চুয়াল এসিস্টেন্ট হলো একটি টপ ডিমান্ডিং জব। আর ক্রমেই এর চাহিদা বেড়েই চলেছে। তাই আর বলছি কি আপনিও যদি চান তবে পুরোটুকু পড়ুন।
ভার্চুয়াল এসিস্টেন্ট মূলত এমন একজন এসিস্টেন্ট এর কথা আমাদের জানান দিচ্ছে যার কাজ মূলত এসিস্ট করা তবে সে ফিজিক্যালি আমাদের সাথে নেই।

অর্থাৎ আপনার কাজটিও হবে এমনি যে আপনি কাজ করবেন তবে আপনাকে আপনার ক্লায়েন্ট এর সাথে থাকতে হবে না। আপনি ঘরে বসেই নিজের ক্লায়েন্ট এর কাজ করতে পারবেন। আর ইন্টারনেট এর মাধ্যমে ঘরে বসেই অন্যের কাজে সহায়তাকেই মূলত ভার্চুয়াল এসিস্টেন্ট এর জব হিসাবে অ্যাখ্যায়িত করা হয়।

তো কেন আপনাকে ভার্চুয়াল এসিস্টেন্ট রূপে কেউ নিবে বা এই কাজে কেন কাউকে নিয়োগ দেয়া হয় সেই প্রশ্ন হয়তো এতক্ষণে আপনার মনে উদিত হয়েছে। তার উওরে এটি বলতে চাই যে বাইরের দেশগুলোতে কোম্পানিতে নিজেদের কাজ নিজেরা করতে যখন অন ইচ্ছুক হন বা নিজেদের কাজের পরিমাণ কিছুটা বেড়ে যায় তখন তারা বাইরের কাউকে হায়ার করে নিজেদের কাজ বা নিজেদের শিডিউলটি গুছিয়ে নেয়।

আর এভাবেই ভার্চুয়াল এসিস্টেন্ট জবটির আধিপত্য সৃষ্টি হয়েছে।

আপনাকে ভার্চুয়াল এসিস্টেন্ট হিসাবে কাজ পেতে হলে আপওয়ার্ক, ফাইভার এর মতো মার্কেটপ্লেসগুলোতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যোগাযোগ করতে হবে। কেননা ভার্চুয়াল এসিস্টেন্ট এর কাজগুলো আপনি সেখানেই পাবেন অত্যধিক। আর একবার যখন আপনি কাজ পেয়ে যাবেন তখন আর আপনাকে পেছন ফিরে তাকাতে হবে না। তো এখন আপনাকে কাজগুলো ভালোভাবে সম্পাদনের কিছু ট্রিক্স বলছি।

আপনি যখন একজন ভার্চুয়াল এসিস্টেন্ট তখন আপনার মূল কাজটাই হবে আপনার ক্লায়েন্ট এর মিটিংগুলো অ্যারেঞ্জ করা এবং পাশাপাশি তার বাকি কাজের শিডিউল মেইন্টেইন করা। তো মূল কাজটা এখান যা তা হলে একটি রুটিন বানানো। মাঝে মাঝে আরও কিছু কাজ যেমন বিজনেস মেইল সেন্ট করাও হয়ে থাকে। তাই আপনাকে এই বিষয়গুলো রপ্ত করতে হবে। আরো ভালোভাবে বুঝতে হলে আপনাকে নিচের কয়েকটি কাজের উপর জোর নজড় দিতে হবে শীঘই।

গবেষণা ও তথ্য সংগ্রহ যেমন ওয়েব রিসার্চে পারদর্শী হওয়া।

  • ইবুক প্রচার
  • গেস্ট ব্লগিং
  • ব্লগ ম্যানেজমেন্ট
  • ইমেইল ব্যবস্থাপনা

মূলত উপরোক্ত কাজগুলোতে আপনি যদি পারদর্শী হয়ে উঠতে পারেন তাহলেই আপনি একটি ভাল মানের স্যালারি পেতে পারবেন এই ভার্চুয়াল এসিস্টেন্ট এর জব থেকে। পাশাপাশি আরও একটি টিপস আপনাকে দিতে চাই আর তা হলো আপনাকে অবশ্যই নিজের একটি পোর্টফলিও বানিয়ে নিতে হবে।

পোর্টফলিও বানানোর সুবিধা-

পোর্টফলিও বানানোর মূল সুবিধা যেটি তা হলো আপনি এটি ভালো মানের কাজের হিস্টরি দার করাতে পারবেন। আপনার ফিউচার কাজের কোনো ক্লায়েন্টকে দেখাতে পারবেন যে আপনি কোথায় কোথায় কাজ করেছেন। আর এর উপর ভিত্তি করলে দেখা যাবে যে আপনি খুব তাড়াতাড়ি তার কাজের জন্য মনোনীত হয়ে গিয়েছেন।

অনুবাদ করে আয়-

ইন্টারনেট জগত বা ফ্রিল্যান্সিং এর কাজের অন্যতম একটি উপায় বা মাধ্যম হলো অনুবাদ করে আয়। হ্যাঁ, আপনি যাকে ট্র্যান্সলেশন হিসাবে জানেন তাকে কাজে লাগিয়েই নিজের ক্যারিয়ারটাকে গুছিয়ে নিতে পারেন আর ইতো মধ্যে অনেকেই তাদের এই কাজ শুরুও করে দিয়েছেন।
অনুবাদ করে আয় করার এক প্রমাণ আমরা সম্প্রতি কালের কন্ঠের এক প্রতি বেদনের মাধ্যমেই জানতে পারি যেখানে বলা হয়ে যে অনুবাদ করেও মাসে আয় করা সম্ভব ৩৫ হাজার টাকা করে। আর এই কাজের চাহিদা সম্পর্কেও সেখানে বিস্তারিত একটি ধারণা দেয়া হয়েছে।

তো বুঝতেই পারছেন অনুবাদ করে অনলাইনে আয় করা বিষয়টি সম্পূর্ণই সত্য একটি বিষয়। তাই এর সম্পর্কে আপনি কোনো সন্দেহ নিশ্চয় পোষণ করবেন না। তো অনুবাদ বা ট্রান্সলেশন করে অনলাইন থেকে আয় করার জন্য আপনি দেশে যেসব প্রতিষ্ঠান পাবেন তাতে আপনাকে ফিজিক্যালি সেখানে উপস্থিত থেকে কাজ করতে হবে।

যাই হোক এ নিয়ে ঘাবড়ানোর কিছুই নেই কারণ এখন আপনাকে কয়েকটি এমন কোম্পানি বা ওয়েবসাইট এর নাম বলব যেখান থেকে আপনি খুব সহজেই আয় করতে পারবেন, ঘরে বসেই। তো চলুন দেখা যাক সাইটগুলোর নাম-

  • ট্র্যান্সলেট ডট কম(Translate.com)
  • উনবাবেল(unbabel)
  • ওয়ান হাওয়ার ট্র্যান্সলেশন(Onehourtranslation.com)
  • রেভ(rev.com)
  • টেথরাস(Tethras)
  • টেকমাস্টার(Techmaster)
  • লিওনব্রিজ(Lionbridge)
  • অ্যাকলারো(Acclaro)
  • সিএসসি ট্র্যান্সলেশন(CSC Translation)
  • ইনডিড(Indeed)

আর এর পাশাপাশি আপনার জন্য তো অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলো থাকছেই। তো দেরি না করে আজই লেগে পড়ুন আপনার কাজে, সাফল্য থাকবে দোর গোরায়।

অনলাইন টিউটরিং করে অনলাইন থেকে আয়-

তরুণ সমাজ বিশেষ করে ভার্সিটি পড়ুয়া স্টুডেন্ট কিংবা কোনো স্কুলের টিচারদের কাছে অন্যতম এবং পছন্দের একটি কাজ হলো নিজের কাজের পাশেও টিউটরিং এর কাজটিকে সাইড ইনকাম হিসাবে রাখা। আর ভার্সিটি স্টুডেন্ট দের পকেট ইনকাম এর একটি মাধ্যম হলো এই টিউটরিং। এখন সব ক্লাসের সব ধরনের স্টুডেন্টই এই টিউটরিং এর সাথে যুক্ত। তবে এর সবই হলো ফিজিক্যালি বাসায় বা কোচিং এ গিয়ে পড়ানো। এমন যদি হতো বাসাতে থেকেই ক্লাস নেয়া যেত?

হ্যাঁ, বিষয়টা নিশ্চয় অনেক ভালো হতো। আর তা এখন আমাদের সামনে সদৃশ। হ্যাঁ, অনলাইন টিউটরিং এর কথাই বলছি। বর্তমানে এই টিউটরিং হয়ে গেছে কিছুটা অনলাইন সাপেক্ষ। টিচার কিংবা স্টুডেন্ট রা নিজেদের এই টিউটরিংকে অনলাইনেই চালিয়ে যেতে অধিক ইচ্ছুক এখন। আর আপনিও অংশ নিতে পারেন এই পরিষেবাটিতে।

অনলাইনে টিউটরিং এর কাজ আপনি ফেসবুকে বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে পেয়ে যেতে পারেন তবে সবচেয়ে ভালো হয় কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্লাটফর্ম বেছে নেয়া । তাই এখন আপনাকে পরিচয় করিয়ে দিতে চাই জনপ্রিয় কিছু অনলাইন টিউটরিং সেবা প্রদানকারী প্লাটফর্ম এর সাথে।

নিচে চোখ রাখুন-

  • ভেদান্তু ডট কম
  • মাই প্রাইভেট টিউটর ডট কম

এই ওয়েবসাইটগুলোতে রেজিস্টার বা নিবন্ধন এর মাধ্যমে আপনি নিজের ইনকাম এর রাস্তা বের করতে পারেন। আর একবার নিজের স্থান ঠিক করতে পারলেই আপনাকে আর পায় কে।

নিজস্ব বই বিক্রি করে আয়-

বই লেখা আগে অনেক শক্ত একটি কাজ থাকলেও এখন তার উলটো ব্যাপারটি আমরা আমাদের চারদিকে দেখতে পাচ্ছি। যেকেউ নিজেদের লেখা বই এখন প্রকাশ করতে পারে অনলাইন এই। আর মজার ব্যাপার হলো যে এই বই বিক্রি করে আয়ও করা সম্ভব। আর্টিকেলের এই অংশটিতে আমরা এ বিষয়টিই জানব যে কিভাবে বই লিখে বা নিজস্ব বই বিক্রি করে অনলাইন থেকে আয় করা সম্ভব ।

মার্কেটপ্লেস এর মাধ্যমে বই বিক্রয়-

অনেক বই পিপাসু লোকই ইন্টারনেটে বই খোজার জন্য রীতিমত পাগল হয়ে যান। কারণ তাদের দরকার বই। আর এই বই এর চাহিদাকে কাজে লাগিয়েই বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস বইকে একটি ব্যবসায়ীক পণ্যে দাড় করিয়েছেন। এমনি কয়েকটি মার্কেটপ্লেস এর কথা নিচে বলা হলোঃ

পে হিপ(payHip) এর মাধ্যমে অনলাইন থেকে ইনকাম-

পে হিপ বর্তমানে অন্যতম একটি ই-বুক কেন্দ্র। পাঠক সমাজের বেশির ভাগই তাদের ই-বুক এর জন্য এই পে-হিপ এর নিকটে নির্ভরশীল। আর এটাকে কাজে লাগিয়েই তারা তাদের পাঠক সমাজের জন্য এক সুযোগ লাগিয়েছে যার মাধ্যমে যে কোন পাঠকই নিজের লেখা বইকে পাবলিশ করে অনলাইন ইনকাম করতে পারবেন।

আর সাথে থাকছে বইয়ের লিংক জেনারেট করার সুবিধা যার মাধ্যমে আপনি অন্য কাউকে আপনার বইয়ের লিংক দিয়ে তাকে এই বই কিনতে উৎসুক করে তুলতে পারেন।

অ্যামাজন কিন্ডলে পাবলিশিং( Amazon Kindle Publishing) –

পৃথিবীর সর্ব বৃহৎ ই-বুক প্লাটফর্ম হিসাবে কিন্ডলে কে অ্যাখ্যায়িত করা হয়। আর আমাজনের এই কিন্ডলেও আপনার জন্য রাখছে ই-বুক লিখে অনলাইনে আয় করার সুবিধা। হ্যাঁ, অ্যামাজনের এই প্রতিষ্ঠানটিতে আপনি নিজের লিখে ই-বুক পাবলিশ করে অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন। আর সবচেয়ে মজার এবং বড় কথাটি কি জানেন?

কথাটি হলো আপনার বই এখানে যেই কিনুক না কেন আপনি এখান থেকে বিক্রিত বইয়ের ৭০ ভাগই পাবেন। অর্থাৎ তারা আপনাকে বেশি অ্যামাউন্টই দিয়ে দিবে আর কমটি তারা নিবে। যা সত্যি আমার দ্রৃষ্টি কেড়েছে। আপনিও একজন লেখক হলে এটি হতে পারে আপনার জন্য চরম সুযোগ।

ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে বই বিক্রয়-

শুধু যে মার্কেটপ্লেসেই বই বিক্রি করতে হবে তা কিন্তু নয় বরং আপনি নিজদের ওয়েবসাইটেও বই পাবলিশ করে সেখানে অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন। আপনার ওয়েবসাইটটিকে এজন্য হতে হবে একটি আদর্শ সাইটের মাফিক এবং একটি ই-কমার্স প্লাটফর্ম এর মতোই। আপনাকে বেশি বেশি নজড় দিতে হবে ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট এর উপর।

আর সবচেয়ে বড় কথাটি হলো আপনাকে নজড় রাখতে হবে আপনি নিয়মিত বুক রিভিউ লিখছেন কিনা। কেননা একজন পাঠক কিন্তু আপনার দেয়া বুক রিভিউ পড়েই আপনার বই সমন্ধে জানবে। তাই যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন নিজের বই এর বুক রিভিউ দেয়ার। এতে করে আপনার বই এর এঙ্গেজমেন্ট বাড়বে এবং সেলও বৃদ্ধি পাবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

নিজস্ব ভিডিও কোর্স তৈরি করে অনলাইন থেকে আয়-

আপনি কোনো জিনিস শিখতে গেলে নিশ্চয় কোনো মাধ্যমের সাহায্য নিয়েছেন, তাই না? এক কথায় বলতে গেলে যাকে কোর্স বলা হয়। হ্যাঁ, ইউটিউব কিংবা কোনো ওয়েবসাইটে দেখা আপনার সেই কোর্স ভিডিও এর কথাই বলছি। এই সব কোর্স ভিডিও তৈরি করার মাধ্যমেও আপনি অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন খুব সহজেই।

নিজস্ব ভিডিও কোর্স বিক্রি করে অনলাইন থেকে ইনকাম এর জন্য আপনাকে শুরুতেই যে কাজটি করতে হবে তা হলো আপনাকে একটি কোর্স ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। আর এই প্রথম কাজটি সম্পাদনের ঠিক পর পরই আপনাকে কোনো একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর ভিডিও তৈরি করতে হবে। এর জন্য আপনি বর্তমানে ট্রেন্ডি এমন কোনো বিষয়কে খুঁজে নিতে পারেন।

আর একবার আপনার সেই ভিডিও সিরিজ তৈরি হয়ে গেলে তা আপনি নিজের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করতে পারবেন এবং তা পেইড করে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন। তবে এখানে একটি মুখ্য বিষয় হলো আপনার কোর্স সমন্ধে পাঠক সমাজকে ধারণা দিতে অবশ্যই আপনাকে কিছু কোর্স বিনামূল্যেই দিতে হবে। আর সঠিক প্রচার

প্রচারণার জন্য আপনি সোশ্যাল মিডিয়া গুলোকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারেন।

এখন এখানে একটা সন্দেহ এমন দেখা যায় যে আমি এমন করলে সর্বোচ্চ অনলাইন থেকে আয় কত হতে পারে?

উত্তরে এটা পরিষ্কার করতে চাই যে ধরুন, আপনি একটি কোর্স সিরিজ তৈরি করলেন যার মূল্য হলো ৩০০ টাকা করে। যদিও এর চেয়ে বেশি দামের তৈরি করা হয়। যাই হোক এখন এই কোর্সে যদি ৩০ জন জয়েন করে তবে আপনার অনলাইন থেকে ইনকাম হবে প্রায় ৯০০০ টাকার মতো। একই ভাবে আপনার বাদ বাকি অনলাইন থেকে ইনকাম গুলো দেখতে পারেন অংশগ্রহণকারী এবং আপনার কোর্স ফি গুণ করে।

গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয়-

বর্তমানে ইয়ং জেনারেশনের কাছে তুমুল জনপ্রিয় একটি কাজ হলো গ্রাফিক্স ডিজাইন। অনেকেই কাজটি শখের বসে শিখলেও পরে নিজের অনলাইন ইনকাম এর পিছনেই লাগিয়ে দেয় এই গ্রাফিক্স ডিজাইনকে। আর পেশা হিসাবেও কিন্তু এর রয়েছে এক বহুল জনপ্রিয়তা। গ্রাফিক্স ডিজাইন করেই এখন নিজের পায়ে দাড়াচ্ছে। স্টুডেন্ট অনলাইন ইনকাম এরও একটি বিশাল মাধ্যম হলো এটি।

কথাটির সত্যতা প্রমাণ করার জন্য আপনাকে বিকলাঙ্গ ফাহিম ভাইয়ার কথা বলতে পারি যিনি কয়েকদিন আগেই আমাদের ছেড়ে গিয়েছেন। তিনি গ্রাফিক্স ডিজাইন করে নিজের বাবা মাকে টাকা উপার্জন করে খাওয়াতেন। শুধু তাই নয় নিজের মতো অন্যদেরও এই পেশায় আনার জন্য ব্যবস্থাও নিয়েছিলেন। বুঝতেই পারছেন এর গুরুত্ব কতটা। আর আপনিও কিন্তু পারেন এর মাধ্যমে খুব সহজেই ঘরে বসে অনলাইনে আয় করতে।

গ্রাফিক্স ডিজাইন করে বর্তমানে ৩০ হাজার টাকা থেকে লাখ টাকা ঘরে বসে অনলাইনে আয় করা যায়। আর এই বিষয়টি সত্য হতে পারে আপনার জন্যও যদি আপনি এতে যথাযথ সময়টুকু দিতে পারেন।

তবে শুরুতেই আপনাকে যা করতে হবে তা হলো গ্রাফিক্স ডিজাইন এর অনলাইন কাজ শিখুন। গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার জন্য আপনাকে হাজার কিংবা লক্ষ টাকা খরচ করতে হবে না। আপনি ইউটিউব কোর্স করেই গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে ফেলতে পারবেন।কেননা ইউটিউব গ্রাফিক্স ডিজাইন এর অনলাইন কাজ শিখুন লিখে সার্চ দিলেই পেয়ে যাবেন হাজার হাজার টিউটোরিয়াল।

তবে আপনি যদি চান এই ক্ষেত্রে আরও বেশি সুনাম কামাবেন তবে গ্রাফিক্স ডিজাইনে স্নাতক করতে পারেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এর ফলে আপনার দাম আরও কিছুটা বাড়বে এবং কাজ পাওয়ার চান্সও তখন হবে আকাশ ছোয়া।

আর একবার যদি ভালোভাবে শিখে ফেলতে পারেন তাহলেই আপনি এক চূড়ান্ত সাফল্যের মুখ দেখতে পারবেন এই গ্রাফিক্স ডিজাইন এর হাত ধরেই।

ওয়েব ডেভলপমেন্ট করে অনলাইনে আয়-

অনলাইন কাজ বা ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে সেরা ১০টি কাজের যদি একটি তালিকা প্রকাশ করা হয় তবে আপনি অবশ্যই ওয়েব ডেভলপমেন্ট এর নাম খুঁজে পাবেন। এই ওয়েব ডেভলপমেন্ট এর মাধ্যমে বাংলাদেশের লাখো তরুণ আজ নিজের ফ্যামিলির হাল ধরেছেন যার জ্বলন্ত প্রমাণ হলো ফ্রিল্যান্সার নাসিম। যিনি শুধু নিজেই নন বরং তার মতো আরো মানুষকে কাজ খুঁজে দিয়ে করেছেন স্বাবলম্বী। আপনিও তাই পারবেন ওয়েব ডেভলমেন্ট করে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে।

কিন্তু কি এই ওয়েব ডেভলপমেন্ট তা আন্দাজ করতে পাচ্ছেন কি?

হ্যাঁ, ওয়েবসাইট বানানোকেই মূলত আমরা ওয়েব ডেভলপমেন্ট হিসাবে অ্যাখ্যায়িত করে থাকি। আপনি সার্চ ইঞ্জিনে যত ওয়েবসাইটই দেখুন না কেন এর পেছনের কারিগর কিন্তু একজন ওয়েব ডেভলপার। একজন ওয়েব ডেভলপারই যথাযথ কাজের মাধ্যমে ওয়েবসাইটকে দাড় করান।
আর ওয়েবসাইট ডেভলপমেন্ট এর এই কাজগুল কিন্তু ২ কিংবা ৩ হাজারে সীমাবদ্ধ নয়। বরং এর বাজেট হয়ে থাকে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত। তো একজন ওয়েব ডেভলপার হতে গেলে আপনাকে যে সব জিনিস জানতে হবে তা হলো -

  • এইচটিএমএল
  • সিএসএস
  • জাভাস্ক্রিপ্ট

এগুলো একটা ওয়েবসাইটের প্রাথমিক উপাদান যা আপনাকে শিখতেই হবে। আর এই গুলোতে দক্ষ হলেই কেবল আপনি ওয়েব ডেভল্পার হিসাবে কাজ শুরু করতে পারবেন।

ওয়েব ডিজাইন করে অনলাইনে আয়-

অনেকেই ওয়েব ডেভলপমেন্ট এবং ডিজাইনকে এক ভেবে তাল গোল পাকিয়ে ফেলেন। তাদের জন্য জানাতে চাই যে এ দুটো বিষয় মোটেও এক নয়। একটা ওয়েবসাইটের ফেমওয়ার্ক বা স্ট্রাকচার তৈরি করা হলো ওয়েব ডেভল্পমেন্ট এর কাজ । অপরদিকে ওয়েব ডিজাইন হলো সেই ফ্রেম ওয়ার্ক বা স্ট্রাকচারকে যথাযথভাবে ডিজাইন এর মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা।

উদাহরণ হিসাবে একটি বাড়ির উদাহরণ দেয়া যেতে পারে। ধরুন আপনি একটি বাড়ি বানাবেন এর জন্য আপনি প্রয়োজনীয় ইট কিংবা সিমেন্ট দিয়ে একটি স্ট্রাকচার দার করালেন। কিন্তু এতেই কি কাজ শেষ হয়ে যাবে?

না মোটেও নয়। এর পর যেসব কাজ আছে তা হলো বাড়িকে রঙ করা পাশাপাশি অন্য বিষয়গুলো দেখা। আর ওয়েব ডেভলপমেন্ট এবং ডিজাইন হলো ঠিক এদের মতোই।

ইট কিংবা সিমেন্ট দিয়ে বাড়ি দাড় করানো হলো ওয়েব ডেভলপমেন্ট এবং ডিজাইন বা রঙ করা হলো ওয়েব ডিজাইন। অনেকেই এই ওয়েব ডিজাইনকে ফ্রন্ট এনড ডেভলপমেন্ট বলে থাকেন। আর এই কাজটিও ঠিকই কই রকমেরই তবে এখানে কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে যেমন আপনাকে ডিজাইন সমন্ধে ধারণা লালন করতে আপনাকে গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে জানতে হবে এবং সিএসএস এর প্রতি জোর নজর দিতে হবে।

আর তাহলেই কেবল একজন সফল ওয়েব ডিজাইনার হিসাবে আপনি আত্ম প্রকাশ করতে পারবেন। আর এ সম্পর্কিত কাজগুলো আপনি কিন্তু অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতেই পেয়ে যাবেন অহরহ।

আর্টিকেল লিখে অনলাইন আয়-

বর্তমানে অন্যতম একটি মাধ্যম হলো আর্টিকেল লিখে আয় করা। হ্যাঁ, আর্টিকেল লিখে অর্থাৎ ঘরে বসে হাতে লিখে আয় করে এখন অনেকেই নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছেন। আর ফ্রি ল্যান্সিং এর ভাষায় এই ঘরে বসে হাতে লিখে আয় বা আর্টিকেল রাইটিংকে মূলত কন্টেন্ট রাইটিং হিসাবে অ্যাখ্যায়িত করা হয়। স্টুডেন্ট অনলাইন ইনকাম এর এক বিশাল ক্ষেত্র জুড়ে আছে আর্টিকেল রাইটিং।

আর্টিকেল রাইটিং এখন লোকাল কিংবা ইন্টারন্যাশনাল উভয় ক্ষেত্রেই একটি জনপ্রিয় কাজ। আর বলা হয়ে থাকে ফ্রি ল্যান্সিং এর সেরা ১০টি কাজের মধ্যে আর্টিকেল রাইটিং হলো একটি। কথায় শুধু নয় বাস্তবেও তাই। আপনি আপওয়ার্ক কিংবা ফাইভারে খোঁজ নিয়ে দেখলেই বিষয়গুলো বুঝতে পারবেন।

আর্টিকেল লিখে স্টুডেন্ট অনলাইন ইনকাম শুধু যে আপনি ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটগুলো থেকেই করতে পারবেন তা কিন্তু নয় বরং দেশি অনেক সাইট এর মাধ্যমেও আপনি নিজের আয়কে দাড় করাতে পারেন। তো আর্টিকেল রাইটিং ডিমান্ড সমন্ধে জানতে আপনি যদি একটু সার্চ দিয়ে দেখেন তাহলে বাংলা সাইটের কথাও জেনে যাবেন। আর তারই কিছু তালিকা এখন আপনার সামনে তুলে ধরছি-

জে আইটিঃ বর্তমানের তুমুল জনপ্রিয় অনলাইন ইনকাম বাংলাদেশি সাইট হলো জে আইটি। যেখান থেকে আপনি মাসে ৮ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা খুব সহজেই অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন। আর এই সাইটে কাজ করে আপনি অনলাইন ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট নিতে পারবেন।

হতভাগা ডট কম: জে আইটি এর মতোই আরো একটি অনলাইন ইনকাম বাংলাদেশি সাইট হলো হতভাগা ডট কম বাংলা। এবং ঠিক একইভাবে আপনি এখান থেকেও আয় করতে পারবেন ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। অনলাইন ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট এর কথা চিন্তা করলেও হতভাগা ডট কম বেস্ট হবে। এভাবেই দুটো অনলাইন ইনকাম বাংলাদেশি সাইট থেকে আপনি অনলাইন ইনকাম করতে পারবেন। যার সাথে পেয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশি সাইট + অনলাইন ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট।

আর তার সাথে তো থাকছে ঘরে বসে হাতে লিখে আয় করার সুযোগ। যার মানে এক ঢিলে দুই পাখি নয় বরং তিন পাখি বলা চলে।

এ তো গেল দেশি মানুষের লোকাল ক্লায়েন্ট এর কথা এবার একটু বাইরে চোখ বোলানো যাক। আপনি যদি আপওয়ার্ক এর খোঁজ নিয়ে দেখেন সেখানে আর্টিকেল রাইটিং এর বিশাল চাহিদা দেখতে পারবেন একইভাবে অন্যান্য গুলো যেমন ফাইভার কিংবা ইনডিডও একই।
মোট কথা এই যে আর্টিকেল রাইটিং হতে পারে আপনার জন্য সাফল্যের এক চাবিকাঠি। যাকে কাজে লাগিয়ে আপনি নিজের ক্যারিয়ারকে খুব সহজেই সাজিয়ে তুলতে পারবেন। আর দেশি সাইট থাকায় অনলাইন ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট নিয়ে তো কোনো ঝামেলাই থাকছে না।

নিজস্ব পণ্য বিক্রয় করে অনলাইনে আয়-

অনলাইনে এখন বাদ বাকি কাজগুলোর পাশাপাশি নিজের ব্যবসা দাড় করানোও সম্ভব।হ্যাঁ, নিজের প্রোডাক্ট বা পণ্য বিক্রি এর জন্য আপনি অনলাইনকে এক লাভজনক মাধ্যম হিসাবে ধরতে পারেন কারণ এখন এই অনলাইনে পণ্য বিক্রির মাধ্যমেই লাখো টাকা আয় করা সম্ভব।
সম্প্রতি প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনে ই-ক্যাব এর সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন যে, এই বছর অর্থাৎ ২০২০ সালে অনলাইনে প্রায় ২৭ হাজার গরু বিক্রি হয়েছে। তিনি আরও জানান যে তাদের এই এই অনলাইনের পথে যাত্রা শুরু হয়ে এক বছর আগেই।

এরই সাথে আরও একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায় যা কিছুটা ছিল এমন, ই-কুরিয়ার এর প্রতিষ্ঠাতা বিপ্লব ঘোষ বলেন যে, অনলাইনের মাধ্যমে তাদের নতুন উদ্যোক্তা যেমন বেড়েছে তেমনি ডেলিভারিও বেড়েছে । ফলে ব্যবসায় লাভজনক সাফল্য দেখা দিচ্ছে।

আশা করছি উপরের দুটো প্রতিবেদনই আপনার জন্য যথাযথ সাক্ষর বহন করবে। আপনিও ঠিক এদের মতোই নিজেও অনলাইনেই আয় এর ঠিক মতো ব্যবস্থা করে নিতে পারেন নিজের ব্যবসাকে অনলাইন ভিত্তিক করে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

পিটিসি থেকে অনলাইন আয়-

বর্তমানে অনলাইনে আয় এবং ফ্রি টাকা ইনকাম এর একটি বিপুল ও জনপ্রিয় মাধ্যম হলো পিটিসি সাইট গুলো থেকে অনলাইনে আয়। বিশ্বাস না হলেও সত্যি যে এই কাজগুলোর জন্য আপনার কোনো প্রকার অভিজ্ঞতার দরকার পড়বে না। কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়াই দিনে যদি ৩০ থেকে ৪০ মিনিট এর পিছনে ব্যয় করেন তাহলে আপনি এর ইনকাম সমন্ধে একটি বিস্তারিত ধারণা পেয়ে যাবেন।

অনেকেই বলেন যে পিটিসি থেকে ফ্রি টাকা ইনকাম ভুয়া। আসলেই কিছু ক্ষেত্রে এই কথাটি সত্য, তবে সব ক্ষেত্রে এমনটা নয়। আজ যে সাইটগুলোর সাথে আপনার পরিচয় করাবো সেগুলো নিয়ে আপনি কোনো সন্দেহের অবকাশই রাখতে পারবেন না।

তার আগে একটু বলে নিই পিটিসি সাইট সমন্ধে। আসলে পিটিসি সাইট হলো এমন কিছু সাইট যেখানে এড বা বিজ্ঞাপনে ক্লিক করলেই আপনি একটি নির্দিষ্ট অ্যামাউন্ট এর টাকা পাবেন। আর এই সুবিধা সম্বলিত সাইটকেই মূলত পিটিসি সাইট রূপে গণ্য করা হয়।

তো আমাদের আজকের যে ফ্রি টাকা ইনকাম সাইটের কথা আপনাকে বলব তার নাম হলো লেজিবাক্স। লেজিবাক্স এর কথাই কেন বলছি অন্যসব সাইট থাকতে সেই প্রশ্নের জবাব দিচ্ছে লেজিবাক্স এর সুবিধাগুলো তুলে ধরার মাধ্যমে-

মাত্র ২ সেন্ট হলেই আপনি টাকা তুলতে পারবেন লেজিবাক্স থেকে। সেই সাথে লেজিবাক্স এ থাকছে বিপুল পরিমাণে এড বা বিজ্ঞাপন। তার পাশাপশি যে বিষয়টি আমাকে আকৃষ্ট করেছে তা হলো রেফার করে আয় করার সুবিধা। শুধু তাই নয় এখান থেকে রেফার করে আপনি আজীবন অনলাইন থেকে আয় করে যেতে পারবেন।

আর এখানে আয়ের পদ্ধতিটা আপনাকে একটু বুঝিয়ে দিচ্ছি।

১। প্রতিদিন ৩০টি এডে ক্লিক করলে আপনি পাবেন ২০ সেন্ট।

২। আপনার রেফারেলে যারাই থাকুক তাদের ক্লিক করা এডেও আপনি সেম পরিমাণ অ্যামাউন্ট পাবেন।

৩। যার ফলে আপনার মাসিক আয় দাঁড়াতে পারে আনুমানিক ১৫৬ ডলার।

আর এভাবেই খুব সহজেই আপনি নিজের ইনকাম শুরু করতে পারেন একটি পিটিসি সাইট থেকে কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়াই। পিটিসি সম্পর্কে ধারণা পেতে অনেক অনলাইন ইনকাম এপ ও রয়েছে যাতে প্রাথমিক ধারণাটুকু পেতে পারবেন।

ডাটা এন্ট্রি করে অনলাইন আয়-

কোনো এক ডাটাকে স্থান থেকে অন্য স্থানে অর্থাৎ কোনো কিছুকে স্থান পরিবর্তন করে একটি অ্যারেঞ্জড রূপ দেয়াই হলো মূলত ডাটা এন্ট্রি। এই ডাটা এন্ট্রি মূলত হতে পারে হাতে লেখা কোনো কিছু কম্পিউটারে সংরক্ষণ বা কোনো কোম্পানির হিসাব নিকাশকে ডাটা হিসাবে সংরক্ষণ।
আর বর্তমানে এই ডাটা এন্ট্রি ইন্টারনেট জগতে এক তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করেছে ফ্রিল্যান্সিং ওয়ার্ক বা কাজ হিসাবে। যে কেউ তার ইচ্ছামতো ইনকাম করতে পারে ডাটা এন্ট্রি করে।

আপনার হয়তো মনে হতে পারে এর আর দাম কি?

কিন্তু বলতে চাই আর্টিকেল রাইটিং কিংবা ওয়েব ডেভলপ এর পরপরই সেরা দশের জায়গাটি কিন্তু ডাটা এন্ট্রির। আর তাই এর জনপ্রিয়তা নিয়ে কোনো প্রশ্ন বা সন্দেহ উঠার কথা না। যাই হোক বর্তমানে বিশ্বে সুবিন্যস্ত ডাটার চাহিদা বাড়ার কারণে ডাটা এন্ট্রি এর চাহিদাও অনেকাংশে বেড়ে গিয়েছে।

তো কি কি লাগবে এই ডাটা এন্ট্রি এর জন্য, তাই না?

ডাটা এন্ট্রি এর জন্য আপনার সর্ব প্রথম যে জিনিসের দরকার পড়বে তা হলো দ্রুত টাইপিং দক্ষতা। হ্যাঁ আপনাকে অনেক ডাটা দেয়া হবে কাজের সময় যা করতে আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণ সময় বলতে খুব কমই পাবেন। আর আপনার টাইপিং স্কিল যদি এক্ষেত্রে ভালো না হয়ে থাকে তবে আপনি পস্তাতে পারেন। যাই হোক এটি হলো মুখ্য বিষয়।

এরপর যে জিনিসটি লাগবে তা হলো ইন্টারনেট থেকে তথ্য খুঁজে বের করার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা। পাশাপশি আরও যে জিনিসটি প্রয়োজনীয় তা হলো প্রোজেক্ট সমন্ধে ধারণা নিতে ইংরেজিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ধারণা নেয়া। এছাড়াও অনেক অনলাইন ইনকাম এপ এ আপনি উপরোক্ত বিষয়গুল নিয়ে পরিষ্কার ধারণা পেতে পারেন।

উপরোক্ত বিষয়গুলো মেনে চললেই আপনি ডাটা এন্ট্রি সুনাম অর্জন করতে পারবেন আশা করা যায়।

ই-কমার্স ব্যবসা করে অনলাইনে আয় করুন-

সম্প্রতি সময় এখন ই-কমার্সের এই নামে একটি প্রতিবেদন ছাপে প্রথম আলো। সেখানে বলা হচ্ছে যে এই ই-কমার্স ব্যবসা এর মাধ্যমে পণ্যের সেল নাকি ২০% থেকে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪০% এ। আর এভাবেই এখন লাখো মানুষের কাছে ই-কমার্স এতটা জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

বাংলাদেশে ই-কমার্স এর যাত্রা শুরুর খুব একটা দিন বেশি হয়নি। ২০১৩ সালে এই ই-কমার্স প্লাটফর্ম এর যাত্রা শুরু আর খুব কম দিনেই তা যেন সাফল্যের চূড়ায় উঠে গিয়েছে। আপনিও এমনটাই করতে পারেন । তবে একটি সাফল্যজনক ই-কমার্স ব্যবসা শুরুর আগে আপনাকে অবশ্যই কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।

তা আমি নিম্নে বলে রাখছি-

ওয়েবসাইট তৈরি- প্রথমত আপনার দরকার পড়বে একটি ওয়েবসাইটের যেখানে আপনি নিজের অনলাইন স্টোরটি রেডি করবেন।

প্রোডাক্ট লিস্টিং- আপনি আপনার ই-কমার্স সাইটে কোন কোন প্রোডাক্ট রাখবেন তার একটি তালিকা থাকতে হবে আপনার কাছে। এর ফলে আপনার কাজ কিছুটা সহজ হয়ে যাবে।

পণ্যের মূল্য নির্ধারণ- কোন পণ্যটির দাম বা মূল্য কত তা আপনাকে ওয়েবসাইটেই নির্ধারণ করে দিতে হবে। যাতে করে ভিজিটর বুঝতে পারে যে আপনি কোন প্রোডাক্টটির কেমন প্রাইস রাখছেন।

ডেলিভারী- আপনার স্টোর থেকে কেউ কিছু কিনলো এখন তা কিভাবে আপনি তার নিকট পৌছাবেন?
এর জন্য আপনার থাকতে হবে একটি বিশ্বস্ত ডেলিভারী সিস্টেম। যা আপনার পণ্যকে খুব ভালোভাবে ক্লায়েন্ট এর কাছে পৌঁছে দিবে।

পেমেন্ট সিস্টেম- আপনি ক্রেতার কাছ থেকে কিভাবে টাকা নিবেন তার জন্য একটি একটি পেমেন্ট সিস্টেম অবশ্যই নির্ধারণ করে দিতে হবে।
এসব কিছুর পরও আপনার যে জিনিসটি অবশ্যই দরকার হবে তা হলো রিফান্ড পলিসি। হ্যাঁ, আপনার ক্লায়েন্ট এর জিনিস নষ্ট হলে তার দায় ভার কে নিবে বা পুড়িয়ে দেবে সেই পলিচসি।

উপরোক্ত বিষয়গুলো মেনে চললেই আপনি একটি ভালো ই-কমার্স সাইট দাড় করাতে পারবেন।

পরিশেষে-

আজকের আর্টিকেল জুড়ে আপনার জন্য ছিল অনলাইন ইনকাম ২০২১ সমন্ধিত বিভিন্ন কিছু। যার মধ্যে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি আপনাকে সব বিষয়ে ধারণা দেয়ার। আশা করছি উপরোক্ত আর্টিকেলটি আপনাকে আপনার চূড়ান্ত লক্ষ অর্জনে সাহায্য করবে। আর এরকমই নতুন কিছু পেতে পাশেই থাকুন ধন্যবাদ।

To Write Your Thoughts Please Login First

Login

গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায় । গুগল এডসেন্স এর নিয়ম

গুগল এডসেন্স কে সোনার হরিণ ও বলা হয়। কেননা এটা খুবই মূল্যবান একটি এডভার্টিসমেন্ট একাউটন্ট। আজকে আমি আলোচনা করব কিভাবে গুগল এডসেন্স পাওয়া যায় ও...

ফেসবুক থেকে কিভাবে অনলাইনে আয় করা যায়- জানুন বিস্তারিত!!

সবচেয়ে সেরা সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম এর কথা জিজ্ঞেস করলে আপনার কাছে তার উত্তর কি হবে? নিশ্চয় ফেসবুক তাই না? হ্যাঁ, আপনার মতো ৫ বিলিয়ন মানুষের...

অনলাইন ইনকামের গোপন রহস্য- জিনে নিন এবং ধুমসে অনলাইন আয় করুন

অনলাইন ইনকাম বিষয়টি এখন একটি ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকেই চাকরি এবং পড়ালেখার পাশাপাশি অনলাইন থেকে ভালো পরিমাণে ইনকাম করছেন। আবার অনেকেই এই পেশা নতুন করে...

গ্রাফিক্স ডিজাইন কি? Graphics Design করে কিভাবে আয় করবেন ?

আমরা মুভি কিংবা অ্যানিমেশন সবাই দেখে থাকি| যে কোনো ক্ষেত্রে এরকম কিছু বিষয় থাকে যেখানে গ্রাফিক্স ডিজাইন উপস্থিত। কিন্তু আমরা সেগুলো ব্যবহার করে থাকলেও ভাবি না মূল...