সবচেয়ে সেরা সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম এর কথা জিজ্ঞেস করলে আপনার কাছে তার উত্তর কি হবে? নিশ্চয় ফেসবুক তাই না? হ্যাঁ, আপনার মতো ৫ বিলিয়ন মানুষের উত্তরও যে এটাই। বিশ্বের ৫ বিলিয়ন মানুষকে নিয়ে এগিয়ে চলেছে উক্ত প্লাটফর্মটি। ফেসবুক সৃষ্টির সেই শুরু থেকেই এর বিপুল জনপ্রিয়তার কথা কম বেশি সবারই জানা।
তবে বিগত দিনগুলোতে এটি একটি সোশ্যাল মিডীয়ার বাইরেও অনেক খানি পরিচিতি অর্জন করেছে। মার্কেটিং এর অন্যতম একটি সেক্টর হিসাবে ফেসবুকের হাকডাক এখন সব খানেই। তাই বলছি ফেসবুক এখন আর শুধু চ্যাটের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। ফেসবুক পরিচিত হয়েছে এক বিশাল আয়ের প্লাটফর্ম হিসাবে।
আজ আমরা আলোচনা করব ফেসবুক থেকে কিভাবে অনলাইনে আয় করা যায়, সেই সাথে ফেসবুকের মার্কেটিং ফিল্ড। চলুন তবে শুরু করা যাক।
ফেসবুক থেকে আয় করার উপায়
ভাইয়া ফেসবুককে নিয়ে এত আশার আলো দেখাচ্ছেন কেন?
আমাদের মূল আলোচনায় যাওয়ার আগে আপনার মনে আসা একটি প্রশ্ন পরিষ্কার করে দিতে চাই। আপনি এখন বলতে পারেন যে এত স্কোপ ফেসবুকে কিভাবে? ফেসবুক থেকে কিভাবে অনলাইনে আয় করা যায়?
তাহলে শুনুন প্রতিদিন ১ দশমিক ১৮ বিলিয়ন সক্রিয় ইউজার উপস্থিত থাকে ফেসবুকে। আর সেই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়েই অনেকে মার্কেটিং এর মাধ্যমে এখান থেকে আয় করছে। উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরছি Shopclues এর কথা। তারা এক সাক্ষাৎকারে বলে যে ফেসবুক আসার পর তাদের সেল বেড়েছে ১৫ গুণ। এমনি আরও অনেক নমুনা রয়েছে। আর আপনিও পারবেন ফেসবুক থেকে আয় করতে।
ফেসবুক থেকে কিভাবে টাকা আয় করবেন?
ফেসবুক থেকে আয় করতে চান, চ্যাটিং এর বাইরেও একে ব্যবহার করতে চান? তাহলে সেই পন্থাগুলোই নিচে উপস্থাপন করা হলো। জেনে নিন টিপসগুলোঃ
ফেসবুকে পণ্য বিক্রি করেঃ
চলুন একটু ফিরে যাওয়া যাক ২০০৭ সালে। কেন ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছি তা একটু পরেই না হয় বুঝবেন। ২০০৭ সাল সময়টাতে ফেসবুক এমন একটা জায়গা পরিণত হয় যেখানে সব ধরনের পণ্য পাওয়া যেত। মানুষ এখানে কেনা বেচা করত। এছাড়াও নিজের পণ্যগুলো অনলাইনে ছেড়ে দিত। এটা এ কারণেই যে যে কেউ ফেসবুক চালাক সে জন্য আমার পণ্য সম্পর্কে এট লিস্ট জানতে যেন পারে। ১০০ জন জানলে ৫ জন তো অবশ্যই কিনবে। এই স্ট্রাটেজি দিয়ে মানুষ জন আগে ফেসবুকে প্রোডাক্ট যুক্ত করতো।
তাহলে ২০০৭ সাল যা এখন থেকে ১৩ বছর আগের কথা তখন যদি মানুষ ফেসবুককে এত ভালোভাবে কার্যকরী বানাতে পারে। তাহলে আজ ২০২১ সালে দাঁড়িয়ে আপনি কেন পারবেন না?
পারবেন না এটা শুধুই অজুহাত। আপনি আসলে করছেন না এটাই আসল উত্তর। উঠে দাঁড়ান দেখবেন কত সুযোগ আপনাকে দিচ্ছে ফেসবুক। নিজের স্থানীয় ব্যবসাটাকে অনলাইন করণ করে অনেক বেশি সেল বাড়াতে পারবেন খুব সহজেই। সেই সাথে ফেসবুকেই আপনার অনলাইন স্টোর খুলে ফেলতে পারবেন। এভাবে আপনি আয় করতে পারবেন এখান থেকে।
সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার-
আপনার যদি একটি বড় ফ্যান ফলোয়ার এর গোষ্ঠী থাকে তাহলে আপনি একজন সোশ্যাল মিডীয়া ইনফ্লুয়েন্সার হিসাবে কাজ করতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হয়ে কি হবে?
আপনি যদি একটু খোঁজ নিয়ে দেখেন তাহলে দেখবেন যে বড় বড় কোম্পানিগুলো তাদের প্রোডাক্ট প্রোমোট করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের খুঁজে থাকে। এক্ষেত্রে আপনার বড় ফ্যান সার্কেল থাকলে আপনিও তাই করতে পারেন।
আর এই প্রোডাক্ট প্রোমোট করার জন্যই তারা আপনাকে টাকা দিবে। এভাবে ফেসবুক থেকে আয় করা যায় খুব সহজেই।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং-
একজন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হওয়া বা একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হওয়া দুটোই একই কথা। পার্থক্যটা শুধু এক জায়গায়। আপনি যদি একজন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হোন তবে আপনাকে প্রোডাক্ট দেয়া হবে প্রোমোট করার জন্য।
অপরদিকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে আপনাকে কোনো ওয়েবসাইট থেকে প্রোডাক্ট এনে তার প্রোমোশন গাইতে হবে। এরপর কেউ যদি আপনার সেই প্রোডাক্টটি আপনার দেয়া লিংক থেকে ক্লিক করে কিনে তাহলে আপনি একটি অংশ পাবেন সেই পণ্যের মূল্য থেকে।
তবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য আপনাকে বেশি পরিমাণ ফ্যান ফলোয়ার থাকা আবশ্যক নয়। কিন্তু থাকলে কিন্তু ভালো।
এভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেও আপনি ফেসবুক থেকে আয় করতে পারবেন খুব সহজেই।
লাইক এবং শেয়ার বিক্রি করে-
"আমি কি ভুল শুনলাম ? "
নাহ, আপনি ঠিকই শুনেছেন আপনি ফেসবুক লাইক এবং শেয়ার বিক্রি করেও আয় করতে পারবেন। বর্তমানে অন্যতম একটি উপায় হলো এটি। বিভিন্ন পেজ তাদের খ্যাতি বৃদ্ধির জন্য লাইক বৃদ্ধি করতে চায়।
এক্ষেত্রে আপনি যদি লাইক এবং শেয়ার বিক্রি করতে চান তবে কিন্তু পারবেন। লাইক এবং শেয়ার বিক্রিও একটি জনপ্রিয় উপায়।
এভাবে লাইক এবং শেয়ার বিক্রি করেও আপনি ফেসবুক থেকে আয় করতে পারবেন খুব সহজেই।
ফেসবুক ভিডিও তে অ্যাড দেখিয়ে আয়-
আপনি কি একজন ভিডিও ক্রিয়েটর? বা কন্টেন্ট ক্রিয়েটর? তাহলে এ পয়েন্ট আপনার জন্যই। আপনি যদি ফেসবুকে ভিডিও তৈরি করে থাকেন তাহলে আপনি সেই ভিডিও দ্বারা আয় করতে পারবেন।
বর্তমানে ফেসবুক তাদের এই মনেটাইজেশন চালু করেছে। যার মাধ্যমে যে কেউই ভিডিওতে অ্যাড দেখাতে পারবে ইউটিউব এর মতো। তবে এক্ষেত্রে কিছু কথা রয়েছে যা হলো আপনি ফেসবুকে ভিডিও তৈরির ক্ষেত্রে ভালো কন্টেন্ট তৈরির চেষ্টা করবেন। ভায়োলেন্ট কন্টেন্ট হলে তাতে মনেটাইজেশন হবে না।
এছাড়াও বাদ বাকি বিষয় জানতে আপনি ফেসবুক এর নীতিমাল দেখতে পারেন।
এভাবেও আপনি ফেসবুক থেকে আয় করতে পারবেন খুব সহজেই।
ফেসবুক পেজ বিক্রি করে আয়-
বর্তমানে মানুষ রাতারাতি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার জন্য খুঁজে থাকা বেশি বেশি লাইক যুক্ত পেজ। এতে করে তারা যেন খুব তাড়াতাড়ি নিজের কন্টেন্টে লাইক পেতে পারে সেটি দেখে।
এক্ষেত্রে আপনি কিভাবে আয় করবেন?
ধরুন আপনি একজন সোশ্যাল মিডীয়া ইনফ্লুয়েন্সার। সেক্ষেত্রে আপনার এক বিশাল ফ্যানগোষ্ঠী থাকার কথা। আর এই ফ্যানগোষ্ঠী মিলে আপনার একটি ফেসবুক পেজ রয়েছে আপনার মূল পেজ এর বাইরেও। তো দেখা গেল কেউ একটু ভালোমানের পেজ খুজছে। সেক্ষেত্রে টাকার বিনিময়ে আপনি সেই পেজ বিক্রি করে দিতে পারেন।
আর ভবিষ্যতেও এমন পেজ বানিয়ে তা বিক্রি করতে পারেন।
উক্ত পদ্ধতিতেও আপনি ফেসবুক থেকে মোটা অংকের টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং করে ফেসবুক থেকে আয়ঃ
বর্তমানের অন্যতম এবং জনপ্রিয় একটি কাজ হলো ফ্রিল্যান্সিং। দেশের হাজারো তরুণ তরুণী নিজেদের পায়ে দাঁড়িয়েছে শুধুমাত্র এই ফ্রিল্যান্সিং করেই। তবে ফ্রিল্যান্সিং এর শুরুর দিকটায় বা মাঝে মাঝেই একটা সমস্যা পরিলক্ষিত হয়।
কি সমস্যা তা কি জানেন আপনি?
সমস্যাটি হচ্ছে কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে। আপনি যখন প্রথম কাজ শুরু করবেন তখন কাজ পেতে যেয়ে ঝামেলা হবে। আপনি খুজেই পাবেন না। এক্ষেত্রে হতাশা আপনাকে জেঁকে বসতে পারে। আর তাই এটি এড়ানোর জন্য আপনি একটি পন্থা অবলল্বন করতে পারেন। আর তা হলো ফেসবুক থেকে কাজ খোঁজা। ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমন্ধিত বহু গ্রুপ আপনি ফেসবুকে পেয়ে যাবেন। সেই গ্রুপ গুলোতে নিয়মিতই কাজ পোস্ট করা হয়।
আপনি নর্মাল বিড এর চেয়ে এখানে অনেক বেশী সুযোগ পাবেন নিজেকে তুলে ধরার। কাজ পাওয়ার জন্য আপনি সরাসরি ক্লায়েন্ট এর ইনবক্সে মেসেজ দিয়ে কাজ নিতে পারেন।
এভাবে খুব সহজেই ফেসবুকে আয় করতে পারবেন। তাও আবার ফ্রিল্যান্সিং কাজ খোঁজার পাওয়ার মাধ্যমে।
ফেসবুক ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল থেকে আয়ঃ
ফেসবুক থেকে আয় করার একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক ইন্সট্যান্ট আর্টিকেল থেকে আয়। ফেসবুক ইন্সট্যান্ট আর্টিকেল থেকে আয় করতে পারবেন খুব সহজেই।
আপনার যদি একটি নিউজ পোর্টাল বা ব্লগ থেকে থাকে তবে তার পোস্টকে খুব সহজেই ফেসবুকে শেয়ার দিতে পারেন। তবে ইন্সট্যান্ট আর্টিকেলের জন্য ফেসবুক কতৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে হয়। আপনার আবেদন যদি গৃহীত হয় তবে আপনি এর পার্মিশন পেয়ে যাবেন।
আর ইন্সট্যান্ট আর্টিকেল এর অনুমোদন পেলে আপনি আপনার ব্লগ পোস্টে ফেসবুকের বিজ্ঞাপনও দেখাতে পারবেন।
মূলত এভাবে আপনি ফেসবুক ইন্সট্যান্ট আর্টিকেল থেকে আয় করতে পারবেন খুব সহজেই।
ফেসবুক পেজ দিয়ে ফেসবুক থেকে আয়-
আপনি হয়তো ফেসবুকের পেজ ফিচারটির সাথে পরিচিত আছেন। ফেসবুক পেজ ফিচারটি ফেসবুক থেকে আয় করার এক জনপ্রিয় মাধ্যম। ফেসবুক পেজকে কাজে লাগিয়েই অনেকে আয় করে থাকেন।
এ পর্যায়ে আমরা সেই জিনিসটাই জানব কিভাবে আপনি ফেসবুক পেজ থেকে আয় করবেন। নিচে এর একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেয়া হলোঃ
টপিক নির্ধারণঃ
আপনার ফেসবুক পেজ তৈরির ক্ষেত্রে প্রথম যে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে তা হলো টপিক নির্ধারণ। আপনি কি নিয়ে ফেসবুক পেজটি খুলবেন তা প্রথমে নির্বাচন করতে হবে। কেননা এটি দ্বারাই আপনাকে পরে অডিয়েন্স টার্গেট করতে হবে। তাই সবার শুরুতে নিজের নিশ নির্বাচন করুন।
ফেসবুক পেজের জনপ্রিয় কিছু নিশ নিয়ে আপনি কাজ করতে পারেন। জনপ্রিয় কিছু নিশ হলোঃ
গল্প, কবিতা, টেকনোলজি, শর্ট আর্টিকেল, রোমান্টিক আর্টিকেল ইত্যাদি।
আপনি এগুলো নিয়ে কাজ করলে একটি ভালো সাফল্য পেতে পারবেন।
পেজে নিয়মিত আর্টিকেল প্রকাশ করাঃ
দ্বিতীয় যে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে তা হলো পেজে আপনাকে নিয়মিত হতে হবে। আর এই নিয়মিত থাকার একটি কারণ হচ্ছে আপনাকে ডেইলী আর্টিকেলে পাবলিশ করতে হবে। আপনি যদি তাদের এই ইচ্ছাকে প্রাধান্য না দিতে পারেন তাহলে অডিয়েন্স হারানো শুরু করবেন। ফলে ফেসবুক পেজ কোনো কাজেই আসবে না।
ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলাঃ
আপনার ফ্যান ফলোয়ারদের সাথে ভালো একটি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। তাদের কমেন্টের রিপ্লাই দেয়া বা পেজে আসা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেয়ার মাধ্যমে আপনি তাদের সাথে ফ্রি হতে পারবেন। আর ভালো সম্পর্ক তৈরি করা কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই চেষ্টা করুন ভালো সম্পর্ক বজায় রাখার।
বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করাঃ
আপনার ফেসবুক টি দিয়ে বিভিন্ন ফেসবুকে গ্রুপে যুক্ত হোন। এতে করে আপনার পেজের নামও ছড়ীয়ে পড়বে মানুষের কাছে। সেই সাথে ফ্যান ফলোয়ারও বাড়তে পারে। তাই ফেসবুকে গ্রুপে যুক্ত হওয়ার জিনিসটি সর্বদাই মাথায় রাখতে হবে।
ফেসবুক পেজ থেকে কিভাবে আয় হবে?
ফেসবুকে পেজ থেকে আপনি মূলত কয়েকটি ভাবে আয় করতে পারেন। যেমন আপনি পেজে মনিটাইজেশন করে টাকা আয় করতে পারবেন। ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশন মানে হলো এখানে এড দেখানোর জন্য যথাপোযুক্ত হওয়া। কিছু ক্রাইটেরিয়া রয়েছে যা আপনি একটু ঘাটলেই জানবেন।
ফেসবুকে পেজে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেও আয় করতে পারবেন খুব সহজেই। আপনার যদি একটি বিশাল ফ্যান গ্রুপ থাকে তাহলে আপনি অ্যাফিলিয়েট লিংক দিতে পারেন এখানে সেখান থেকে কেউ প্রোডাক্ট কিনলেই একটি অংশ পাবেন।
ফেসবুক পেজে স্পন্সর করে আয় করতে পারবেন আপনি। এটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ফেসবুক থেকে আয় করার জন্য।
এভাবেই ফেসবুক থেকে আপনি আয় করতে পারবেন খুব সহজেই।
আজকের আর্টিকেলে আমরা জানলাম ফেসবুক থেকে কিভাবে অনলাইনে আয় করা হয়। সেই সাথে ফেসবুক থেকে আয় করার বিভিন্ন টিপস। উক্ত বিষয় গুলোকে কাজে লাগিয়ে খুব সহজেই চ্যাটিং কিবা রিয়াক্টিং এর এই জায়গাটিকে বানিয়ে ফেলতে পারবেন টাকা ইনকামের জায়গা। আশা করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
পরবর্তী আর্টিকেলের জন্য সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।
1 comments
Nowsad hasan Sep 01,2022
kaj khub vlo
Ibrahim Sep 24, 2022
Thankhotovaga.com/blog/make-money-facebook/3761