গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয় করার উপায় নিয়ে আজকের এই টিউটরিয়াল। টাকার মুখ দেখতে এখন আর মানুষকে চাকরির জন্য ইন্টারভিউ দিতে হয় না। কিংবা অফিসে গিয়েও ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে স্যারের বকুনি খেতে হয় না। একদম তরুণ অবস্থায় একজন মানুষ তার আয় শুরু করতে পারবেন খুব সহজেই। আর এই সুযোগটা মানুষকে এনে দিয়েছে ফ্রিল্যান্সিং।
ডিজিটাল যুগের এক অন্যতম সুবিধা হিসাবে অ্যাখ্যায়িত করা যায় ফ্রিল্যান্সিংকে। উন্নত বিশ্বের মানুষেরা যেমন ছুটে চলেছে এর পিছনে তেমনি বাংলাদেশও কিন্তু পিছিয়ে নেই এই সেক্টরে।
আর এই ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ এর পরিসরটা অনেক বেশি বড় হওয়ায় খুব সহজেই যে কেউই কোনো রকম কাজ বেঁছে নিয়ে তা শুরু করতে পারবেন। আজ এমনি একটি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ নিয়ে আলোচনা করব। সেরা ১০ ফ্রিল্যান্সিং কাজ এর মধ্যে থাকা সেই গ্রাফিক্স ডিজাইন হলো আমাদের আজকের আলোচনার মূল প্রতিপাদ্য বিষয়।
গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয় করার উপায়
আজকের আলোচনায় থাকছে গ্রাফিক্স ডিজাইন করে অনলাইনে আয়ের উপায়। গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয় ইত্যাদি বিষয়। দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।
গ্রাফিক্স ডিজাইন কি?
interaction-design এর মতে গ্রাফিক্স ডিজাইন হলো এমন এক প্রকার শিল্প যার মাধ্যমে দক্ষ লোকজন চাক্ষুস কন্টেন্ট তৈরি করে থাকে খুব কম কথাতেই মেসেজ আদান প্রদানের জন্য। চাক্ষুস এই মাধ্যমটি তৈরির জন্য দক্ষ লোকেরা বিভিন্ন টাইপোগ্রাফি এবং ডিজাইন ব্যবহার করে থাকেন যা একজন ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতাকে সজীব করে।
তো এবার প্রথম লাইনটার ব্যাখ্যায় আসা যাক। গ্রাফিক্স ডিজাইন মূলত একটি শীল্প যার মাধ্যমে চাক্ষুস কন্টেন্ট তৈরি হয় মানুষের মাঝে মেসেজ দেয়ার জন্য। এক্ষেত্রে এটাই বুঝানো হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইন বলতে আমরা যে ডিজাইন করা ব্যানার গুলোকে বুঝি বা কোনো লোগো ইত্যাদি। যা খুব কমের মধ্যেই অনেক বড় একটি মেসেজ দিতে পারে।
আশা করি গ্রাফিক্স ডিজাইন কি সে সমন্ধে আপনার ধারণা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।
গ্রাফিক্স ডিজাইন কেন শিখবেন?
আপনার মনে এ প্রশ্ন আসতে পারে যে এত এত সব ফ্রিল্যান্সিং কাজ থাকার পরেও কেন আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনকেই বেঁছে নিবেন? ওয়েব ডেভলপমেন্ট বা ডিজাইন করে যেখানে ১০০০ ডলার ইনকাম করা যায় সেখানে কেন এটীকে বাছবেন?
আপনার মনে প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক আর তা দূর করার জন্যই নিচের পয়েন্টগুলো খুব ভালোভাবে পড়ূন আশা করি বুঝতে পারবেন।
গ্রাফিক্স ডিজাই শেখার জন্য কম সময় প্রয়োজন -
গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার সবচেয়ে ভালো ফায়দা আমার কাছে যা মনে হয়েছে তা হলো এই কাজটি আপনি খুব কম সময়েই আয়ত্ত করে নিতে পারবেন। ওয়েব ডেভলপমেন্ট এর মতো এখানে কোড এর কোনো রকম আলাপ আলোচনা নেই। তাই ওয়েব ডেভলপমেন্ট শিখতে যেখানে আপনার লাগতো ৫ থেকে ৬ মাস সেখানে এটী ২ থেকে ৩ মাসে একদম ভালো ভাবে শিখতে পারবেন এবং কাজ শুরু করতে পারবেন।
অনেক কম সময়েই তুলনামূলক বেশি টাকা-
গ্রাফিক্স ডিজাইন এর একটী প্রোজেক্ট করতে আপনার সর্বোচ্চ হলে ১ সপ্তাহ লাগতে পারে। আর এই একটি প্রোজেক্ট করেই কিন্তু ৫০০ থেকে ৭০০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। সময়ের হিসাবে টাকার ইনকাম ধরলে কিন্তু এটা অনেক বেশি। তাই কম সময়ে বেশি টাকা ইনকাম এর সুযোগ থাকছে এই ক্ষেত্রে।
পার্টটাইম জব হিসাবে গ্রহণ-
আপনি কি কোম্পানি তে জব করেন? বা আরও কোনো বড় ফ্রিল্যান্সিং কাজ এর সাথে যুক্ত আছেন এবং পাশাপাশি আরও কাজ করতে চাচ্ছেন?
সেক্ষেত্রে গ্রাফিক্স ডিজাইন হতে পারে আপনার অন্যতম পছন্দ। কেননা একদম কম সময় দিয়েও আপনি এখান থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। পাশাপাশি আপনার যে বাকি কাজগুলোও রয়েছে তা নিয়েও থাকতে পারবেন। মোট কথা পার্টটাইম জব হিসাবে এটি একটি বিকল্প হতে পারে।
মোবাইলেও করতে পারবেন-
বাংলাদেশের বেশির ভাগ তরুণ তরুণির ক্ষেত্রে যে সমস্যাটি পরিলক্ষিত হয় তা হলো তারা পিসি কিংবা ল্যাপটপ কিনে উঠতে পারেনা। যদিও কাজ করার একটা পর্যায়ে তারা নিজেদের টাকা দিয়ে কিনে। কিন্তু তার আগের টুকু কিভাবে করবে তাই না?
এক্ষেত্রেও গ্রাফিক্স ডিজাইন এক আস্থার নাম। কেননা গ্রাফিক্স ডিজাইন আপনি করতে পারবেন মোবাইলেও। মোবাইলে গ্রাফিক্স ডিজাইন করেও ভালো টাকা আয় করতে পারবেন যদিও তা পিসির মতো হবে না।
গ্রাফিক্স ডিজাইন থেকে আয় করার এত এত সব জায়গা রয়েছে আর এর চাহিদাও বিপুল। সেই সাথে এর কিছু সুবিধাও রয়েছে যা আপনাকে উপরে দেখানো হলো। এখন আশা করি আপনি নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন যে কেন আপনার গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে আয় করা উচিত।
গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার-
গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ শুরু করার আগে আপনাকে তা শিখতে হবে। আর গ্রাফিক্স ডিজাইন পুরোটাই প্রায় সফটওয়্যার ভিত্তিক হওয়ায় আপনি সফটওয়্যার এর কাজ শিখলেই এর কাজ আয়ত্ত করতে পারবেন। তো চলুন দেখে নেয়া যাক গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার কি কি। এবং কিসের কাজ শিখতে হবে আপনাকে।
এডোবি ফটোশপ -
গ্রাফিক্স ডিজাইন এর সফটওয়্যারগুলোর একেবারে শুরুর তালিকায় যার নাম এসে যায় তা হলো এডবি ফটোশপ। গ্রাফিক্স ডিজাইন এর দুনিয়ায় এক বিপ্লব ছড়িয়েছে এই সফটওয়্যারটি। এডবি কোম্পানির উক্ত সফটওয়্যারটি বাজারে আসার পর থেকেই জনপ্রিয়তা পেয়েই চলেছে। আর এডোবিও তাদের কাস্টমারদের ভালো সেবা দিতে প্রতি বছরেই নতুন সব ভার্শন নিয়ে আসে।
গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে হলে তাই আপনাকে শুরুতে ফটোশপ এর কাজ শিখতে হবে। এর মাধ্যমে আপনি ফটো ইডিটিং এর একটি ভালো ধারণা পেয়ে যাবেন। সেই সাথে কালার গ্রেডিং সমন্ধেও একটা ভালো কনসেপ্ট তৈরি হবে। অনলাইনে কাজ শিখুন লিখে সার্চ দিলেই আপনি ফটোশপ এর টিউটোরিয়াল হাতের নাগালে পেয়ে যাবেন আশা করি।
এডোবি ইলাস্ট্রেটর-
ফটোশপ এর কিছুদিন পরেই আসে এডোবি এর ইলাস্ট্রেটর। মূলত ভেক্টর ডিজাইন এর জন্য তৈরি এই সফটওয়্যার এখন ব্যবহৃত হচ্ছে লগো ডিজাইন থেকে শুরু করে গ্রাফিক্স ডিজাইনেও। এডোবি ইলাস্ট্রেটরও ফটোশপ এর মতো এক বিপ্লব নিয়ে এসেছিল ডিজাইন এর দুনিয়ায়।
তাই দ্বিতীয়ত আপনাকে যে কাজটির প্রতি জোর নজর দিতে হবে তা হলো এডোবি ইলাস্ট্রেটর। এডোবি ইলাস্ট্রেটর এবং ফটোশপ এর কাজ শেখাকে একটা অত্যাবশকীয় উপাদান ধরা হয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর জন্য। এর টিউটোরিয়াল পেতে অনলাইনে কাজ শিখুন লিখে সার্চ দিলেই কিন্তু অনেক টিউটোরিয়াল পেয়ে যাবেন।
এডোবি ইন-ডিজাইন-
ডিজাইন এর জন্য বিশেষ করে তৈরি করা এডোবি এর সফটওয়্যার হলো এডবি ইন-ডিজাইন। নামের মধ্যে তার কাজের কথা ফুটে উঠছে। ডিজাইন এর ক্ষেত্রে এডোবি ইন-ডিজাইন এর কাজ সম্পর্কে জানা একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। ফটোশপ এবং ইলাস্ট্রেটর এর পরেই আপনি ইন-ডিজাইন শিখতে পারবেন।
তবে ফটোশপ কিংবা ইলাস্ট্রেটর এর ব্যাসিক ঠিক না থাকলে আপনার একটু গড়বড় হয়ে যেতে পারে ইন-ডিজাইন এর ক্ষেত্রে। তাই খেয়াল রাখবেন ভুল হয়ে যাচ্ছে না তো। কাজ শিখতে অনলাইনে কাজ শিখুন লিখে সার্চ দিলেই লাখো টিউটোরিয়াল পেয়ে যাবেন। সেখান থেকে একটি নিয়েই কাজ শুরু করে দিন।
কোরেল ড্র-
ইলাস্ট্রেটর এর জমজ ভাই বলা যায় কিংবা কিছু ক্ষেত্রে তার চেয়েও এগিয়ে। আর সেই সফটওয়্যারটি এর নাম হলো কোরেল ড্র। ভেক্টর ডিজাইন এর ক্ষেত্রে সফটওয়্যারটি যে কতটা উন্নত তা আপনাকে বলে মনে হয় বোঝানো সম্ভব হবে না। আপনি নিজে নিজেই ব্যবহার এর পরেই তা বুঝতে পারবেন। তবে কোরেল ড্র একটু বেশি হেভি হওয়ায় আপনাকে এর সাথে এর স্পেসিফিকেশন দেখে নিতে হবে। আপনার ল্যাপটপ বা পিসিকে এর সাথে যায় সেটি দেখতে হবে।
আর কাজ শেখার ক্ষেত্রে অনলাইনে কাজ শিখুন লিখে সার্চ করলেই অনেক টিউটোরিয়াল পেয়ে যাবেন আশা করি। আর এভাবেই এর কাজ শিখতে পারবেন।
মোবাইলে গ্রাফিক্স ডিজাইনের প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার-
উপরোক্ত একটি পয়েন্টে আমরা আলোচনা করেছিলাম যে গ্রাফিক্স ডিজাইন আপনি মোবাইলেও করতে পারবেন। কিন্তু কিভাবে করবেন তার জন্য তো দরকার সফটওয়্যার এর। তা আপনি মোবাইলে কিভাবে পাবেন?
মোবাইলে এই গ্রাফিক্স ডিজাইন এর সফটওয়্যার এর বিকল্প হিসাবে আপনি পাবেন অ্যাপস। হ্যাঁ, গুটি কতেক মোবাইল অ্যাপস এর মাধ্যমে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে পারবেন। নিচে আলোচনা করা হলোঃ
পিক্সেলল্যাব ব্যবহারে মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন-
মোবাইলে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কথা ভাবলে শুরুতেই যে অ্যাপ্স এর কথা মাথায় আসে তা হলো পিক্সেলল্যাব। একদম ভালো মানের একটা মোবাইল অ্যাপস হলো এটী।ফটোশপ কিংবা ইলাস্ট্রেটর এর মতোই আপনি এখানেও পারবেন ফন্ট যুক্ত করতে। এছাড়াও থ্রিডি, শ্যাডো আরও অনেক ফিচার রয়েছে। গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য এককথায় পারফেক্ট যাকে বলা যায়।
পিক্সআর্ট ব্যবহারে মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন -
মোবাইলে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কথা মাথায় আনলে দ্বিতীয়তে যে অ্যাপস এর কথা মাথায় আসবে তা হলো পিক্সআর্ট। পিক্সআর্ট ব্যবহার করে আপনি মোবাইলে ভালো মানের ফটো ইডিটিং থেকে শুরু করে একটী লেখা থ্রিডিও করতে পারবেন। আরও অনেক ফিচার সমন্ধে আপনি জানবেন ব্যবহারের পর।
ফটোশপ এক্সপ্রেস ব্যবহারে মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন -
মোবাইলেও একটি ফটোশপ সফটওয়্যার বিদ্যমান। অনেকের মতো তা হলো মোবাইল এর ফটোশপ। আর এই ফটোশপ এক্সপ্রেস ব্যবহার করেও ভালোমানের গ্রাফিক্স ডিজাইন করা সম্ভব। ফটো ইডিটিং এর পাশাপাশি কালার গ্রডিং এর জন্য একটি নামীদামী সফটওয়্যার হল এটি। আপনিও ব্যবহার করতে পারেন।
ক্যানভা ব্যবহারে মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন -
অনলাইন এর ডিজাইন ওয়ার্ল্ডে সমৃদ্ধ সফটওয়্যার হলো ক্যানভা। আপনাকে ডিজাইন করার সুযোগ দেয়ার পাশাপাশি এটি আপনাকে রিসোর্সও সরবরাহ করবে এটিই। গ্রাফিক্স ডিজাইন এর জন্য এটি শিখতে পারেন।
আর উক্ত সফটওয়্যারগুলো মোবাইলে গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে আপনাকে সহযোগিতা করবে।
গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ কোথায় পাবেন?
উপরোক্ত সফটওয়্যার এর কাজ শেখার পরই আপনি লেগে পরতে পারেন কাজ খুঁজতে । তবে তার আগে কিছুদিন কারর অধীনে কাজ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করাও ভালো হবে। কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে মার্কেটপ্লেস গুলোর দিকে তাকাতে হবে। অনলাইনে এই কাজের চাহিদা এখন অনেক বেশি।
বিভিন্ন কাপড় এর ওয়েবসাইটগুলো তাদের প্রোডাক্টের ডিজাইন এর জন্য, আসবাব পত্র বা মগের মতো ডেইলী ব্যবহৃত জিনিসগুলোতেও ডিজাইন এর জন্য অনেক লোক দরকার। আর তাই কাজের ক্ষেত্রও অনেক বড়। আপনি তা খুঁজে পাবেন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে।
এছাড়াও ফেসবুকে গ্রাফিক্স ডিজাইনার গ্রুপ গুলোতে যুক্ত থাকুন। কেননা সেখানেও কাজের পোস্ট হয়ে থাকে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
আককের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করলাম গ্রাফিক্স ডিজাইন কি, গ্রাফিক্স ডিজাইন করে অনলাইনে আয়ের উপায় এবং আরও নানা টিপস। আপনার কর্ম ক্ষেত্রে আসা করি উক্ত জিনিসগুলো কাজে দিবে। সেই সাথে একটি ভালোমানের স্যালারি প্রতি মাসে পাওয়ার জন্য আপনার অন্য কাজের পাশাপাশিও একে রাখতে পারেন।
Tracking Code: 680651
ইনকাম সমন্ধিত এমনি পোস্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। পরবর্তী পোস্ট সবার আগে পড়তে ফলো করুন।
8 comments
MD SOJIB HASSAN Aug 25,2022
You are right
Md Rojib Ali Nov 12, 2022
You are right
MD MASUDUR RAHMAN Aug 29,2022
You are right
Eliyas Aug 31,2022
You are Rigt
Ibrahim Sep 25,2022
hotovaga.com/blog/graphics-design-income/3761
Zahin Oct 12,2022
hotovaga.com/blog/mobile-income-bkash-payment/4346
Hamim Islam Oct 21,2022
hotovaga.com/blog/graphics-design-income/4630
Asaduzzaman Ripon Nov 06,2022
Khub Vlo chilo
Nowfa Nov 24,2022
ভালো লেখনি।ধন্যবাদ