স্টুডেন্টদের অনেক সময় এমন হয় যখনই তারা মনযোগ দিয়ে প্রতিদিন পড়ার চেষ্টা করে তখন কিছুদিন বা কিছুক্ষন পড়ার পরই তারা তাদের আশেপাশের ছোটখাটো জিনিসের কারনে মনযোগ হাড়িয়ে ফেলে কখনও কখনও কর্মজীবীরাও কাজের প্রতি মনযোগ হাড়িয়ে ফেলে। এই সমস্যা দূর করার জন্য কিছু ছোটখাটো কৌশল আছে যা আমাদের সচরাচর জানানো হয়না।
১| আপনার ভবিষ্যতে নিজেকে কল্পনা করুন। অর্থাৎ ভবিষ্যতে আপনি কেমন হবেন তা কল্পনা করুন। আপনি ভবিষ্যতে নিজেকে যেইভাবে কল্পনা করছেন তাকে বাস্তবে রূপ দিতে চাইলে আপনার বর্তমানে পরিশ্রম করতে হবে।
২| আপনার আশেপাশে অনুপ্রেরণামুলক বাক্য লিখে রাখবেন এমন যায়গায় যা আপনার চোখ ফাকি দিতে পারবে না। তবে নরম বা মিষ্টি বাক্য নয় এমন বাক্য যা আপনাকে বাস্তবতা মনে করাবে।
৩| আপনি পুরো এক সপ্তাহে কি করলেন তার গুগল কেলেন্ডারে একটি লিস্ট তৈরি করুন। আপনি সারাদিন যা করবেন সব কিছু লিস্টে রাখবেন এবং যতটুকু সময় আপনি পড়াশোনা বা কাজ করছেন তা খালি রাখবেন তখনই আপনি বাস্তবতার সম্মুখীন হবেন এবং বুঝতে পারবেন আপনি কতক্ষণ সময় কাজে লাগাতে পারতেন। আপনার লিস্ট থেকে আপনি যা যা করলেন সেই কাজ গুলোকে দুটি ভাগে ভাগ করুন। যেই কাজগুলো করতেই হবে যেমন- খাওয়া, ঘুমানো ইত্যাদি। আর যেই কাজগুলো আপনি নিজেকে বিনোদন দেওয়ার জন্য করেছেন যা না করলেও চলবে। এরপর দেখুন আপনার সময়কে কাজে লাগানোর জন্য কত সময় আছে।
৪| পড়ালেখা বা কাজ করার জন্য আপনার জন্য সর্বোত্তম সময় বাছুন। আমাদের সবারই এমন একটি সময় আছে যখন আমরা সম্পূর্ণ মনোযোগী থাকি। কারও কারও রাত্রে পড়া ভালো হয় কারও দিনে আবার কারও দুপুরে। আপনি চিন্তা করে দেখন আপনার কখন সম্পূর্ণ মনোযোগ আসে এবং সেই সময় কাজ করুন। যদি ঐ সময় আপনার অন্য কোনো কাজ থাকে তবে সেই কাজ করার জন্য আপনার লিস্টে যেই সময় খালী ছিলো সেই সময় ঐ কাজটি করুন।
৫| পড়াশোনা বা কাজ করার জন্য শুরুতে নিজের জন্য সহজ সময়সূচি তৈরি করুন। অর্থাৎ "আমি আজকে ২ ঘন্টা পড়বো" না বলে যতটুকু সময় আপনার সুবিধা ততটুকু সময়ের সময়সূচি তৈরি করুন এবং আস্তে আস্তে প্রতি সপ্তাহে সময় বাড়ান। এর মানে এই নয় যে আপনি ১মিনিট দিয়ে শুরু করবেন ১৫-২০ মিনিট দিয়ে শুরু করুন না পাড়লে ১০মিনিট। সপ্তাহে যেখনো একটি দিন নিজেকে ছুটিদিন যাতে আপনার মস্তিষ্ক ক্লান্তিদূর করতে পারে।
৬| নিজেকে পুরুষ্কৃত করুন। পড়ার আগে বা কাজের লাগে বলুন "এইটা শেষ করলে আমি এইটা করতে পারবো"। "আমার পড়া শেষ হলে আমি টিভি দেখবো"। এইভাবে সপ্তাহে প্রতিদিন পড়াশোনা করতে পারলে সপ্তাহ শেষে নিজেকে আরও বড় পুরুষ্কার দিন।
৭| পড়াশোনা বা কাজ শুরু করার আগে নিজের কোনো পছন্দের সুবাসের ঘ্রাণ নিন। কেনো? UC Irvine এর একটি গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে ঘ্রাণ মস্তিষ্ককে সজাগ করে। পরিক্ষার শুরু করার আগে স্মৃতিশক্তি সতেজ করতে একই ঘ্রান ব্যবহার করুন।
৮| "আমার পড়তে হবে" "আমার কাজ করতে হবে" এইটা বলা বন্ধ করুন! যখন আপনি বলবেন আমার এইটা করতে হবে ব্রেইনের কাছে মনে এটি শাস্তির মতো লাগবে এমন লাগবে যে এটি করতে না চেলেও করতে বাধ্য। পরিবর্তে বলুন "আমি পড়তে চাই" "আমি কাজ করতে চাই" এইভাবে কথাটি বললে ব্রেইনেই মনে হবে এটি আপনার পছন্দের কিছু যা আপনি করতে চান এবং সে এটি করতে সতেজ হয়ে যাবে।
পরিশেষে আমাদের মস্তিষ্ককে ভালোভাবে ট্রেইন করতে পারলেই আমরা সব পারবো।
4 comments
Shakib hasan Dec 07,2024
এটা আমাদের করা উচিত
Shakib hasan Dec 12, 2024
অনেক গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল।
Md Rakib Dec 14, 2024
Good
Mst Seja Akter Dec 25, 2024
Good
Omar Dec 11,2024
It's so helpful for anybody
Mst Seja Akter Dec 25,2024
এটা অনেক ভালো
Mst Seja Akter Dec 25,2024
এটা অনেক ভালো